ওদের কোনো শত্রু নেই, নেই কোনো সমাজ
ওদের কোনো বন্ধু নেই, নেই কোনো কাজ
সারা জমিন ওদের বাড়ি, কোথা যাবে নেই জানা,
জীবন ওদের বাঁধনহারা, ভুলে গেছে ঠিকানা ৷
কারো সাথে সখ্যতা নেই, নেই কাজের তাড়া,
বিস্মৃত মন বয়ে বেড়ায়, হৃদয়ে দেয় না নাড়া!


কভু নেই কোনো ব্যস্ততা, নেই কোনো সাজ সজ্জা,
ছিন্ন বস্ত্রাচ্ছাদিত, খসেছে ভূষণ ও লজ্জা!
অবসন্নতা জুড়ে আছে, সমস্ত অস্তি-মজ্জা,
যেথা ইচ্ছা সেথা পাতে সে সুখের শয্যা ৷
নেই কোনো অভিযোগ, কিংবা কোনো অভিমান,
অনিদ্রা-অনাহারে, আহ! দেখ কার সোনাচান!


জীবনের তরে সকল হিসাব জীবন নিয়েছে চুকিয়ে,
ক্লান্তির বোঝা বইছে সদা, জীবন থেকে লুকিয়ে ৷
আহার নিদ্রা কিছু নেই, নেই কোনো ভাবনা,
এ হুশটুকুও হারিয়েছে কী পাবো কী পাবে না ৷
সকলে ঘরে যায়, এর ঘরে ফেরা নেই,
যেখানে মন চায় থেকে যায় সেখানেই ৷


পাখির মত ডানা মেলে ওড়ে সারাদেশ,
আহ কার প্রিয় স্বজন পাগল পাগলিনী বেশ!
ঘর নেই বাড়ি নেই, নেই উৎসব পার্বণ
জানে না কেউ, সে কার ভাই, কার বোন ৷
কোথা কোন প্রান্তে খুঁজে তারা হয়রান!
স্মৃতিভ্রম হয়ে সে দিতে পারে না সন্ধান ৷


শীত গ্রীষ্ম বরষায় কোন নেই উৎকণ্ঠা!
বজ্র ঝড়ের মাঝেও ভয়ভীতিহীন মনটা ৷
মনে নেই কোন বক্রতা অথবা কুটিলতা
ফুটপাথের সাথে নীবিড় গড়ে ওঠে সখ্যতা !
নিজ খেয়ালে আপন ভুবনে যা খুশি তা করে,
সে কী আর ফিরতে পারবে না প্রিয় স্বজনের তরে?


জীবনটা ছিল হয়ত রঙে রঙে রঙিন
কেউ সে রঙ ছিনিয়ে করে দিয়েছে রঙহীন ৷
কার কোন আঘাতে সে আত্মকে ভুলেছে
না আকাশ না পাতাল, মাঝখানে ঝুলেছে!
জানে না কেউ হয়ত ওর স্মৃতিটুকু নিয়ে মনে,
ছবিখানা বুকে চেপে চোখ মোছে গৃহ কোণে!


রচনা : ০১/০৩/২০১৫ খ্রিঃ