উঠতে বসতে আইন পাড়েন, খেতে শুতে ধারা,
সব সময়ই মেজাজটা তার হয়ে থাকে চড়া!
কোকিলের ন্যায় রক্ত চক্ষু, বড় সাহেব নীলু,
চাল চাপালে ফুটে যাবে টগবগাটগ ঘিলু ৷
বড় সাহেব আইন কষেন, যেথা নরম জায়গা,
শক্ত কাঠে দাঁত বসানো কম্মে তো তার নাইগা ৷


দূর্বলের প্রতি অত্যাচার, দমন, পীড়ন, শোষণ,
সবলের গায়ে তেল মাখিয়ে করেন কত তোষণ!
নিজে কত আইন ভাঙেন, রাখেন না সে খবর,
স্টাফদের বুকের উপর দিয়েছেন বিদীর্ণ এক কবর!
যেখানেতে সুই ফোটে না সেখানে ফাল ফোটান,
কাজের নামে কেঁচো খুড়তে কেউটেটাকে উঠান!


সময়াসময় ইচ্ছা মত অফিস করেন রাতবিরাতে
পান থেকে চুন খসলে দমিয়ে রাখেন খিস্তিতে ৷
চা চিনি থেকে সব কিছুর কড়াই-গণ্ডাই হিসেব নেন,
বুঝতে চান না, সম্মানটা যায়, কর্মটা তার এহেন!
মাস গেলে তিনি মাইনে পান, হাজার পঞ্চাশ ষাট,
তাতেও এমন ভাব দেখান, যেন শূন্য সদাই গাট!


সবখানেতে প্যাচ মারা আর দর কষা তার স্বভাব!
টাকা পয়সার নয়; আছে কিঞ্চিত মনুষত্যের অভাব!
একদা এক বাদামওয়ালা বাদাম বাদাম হাঁকতে,
এসে প'লে তার দোরে, দারোয়ানকে কন্ ডাকতে ৷
দাম শুধালে; বাদামওয়ালা কয় বাদামের শ বিশ,
বললেন সাহেব এত কেন? দু শ রাখো তিরিশ ৷


বাদামওয়ালা বলল বাবু দুশ তবে নিয়ে যান,
পয়সা দেওয়া লাগবে না এমনিতেই আপনি খান!
বাদামওয়ালার কথা শুনে সাহেব গেলেন চুপসে!
সবখানে চলে না দরাদরি, জ্ঞানটা পেলেন খুব সে!
নীলু সাহেব কী বাঁচাবেন? পয়সা না কী সম্মান?
আহা! পয়সা বাঁচাতে সম্মানটা ভেঙে হল খান খান!


রচনা : ০১/০১/২০১৬ খ্রিঃ, রাত ১টা ৷


(দ্রষ্টব্য : লেখাটি কাউকে হেয়প্রতিপন্ন করার উদ্দেশ্যে নয়,
          সম্পূর্ণ কাল্পনিক, যদি কারো জীবনের সাথে মিলে
          যায় তবে কাকতালীয়, এজন্য লেখক দায়ি নয়)