একটি মুখ হারিয়ে গেছে, এই সুন্দর ভুবনে!
কোথায় গেলে পাব তারে? ভাবি সঙ্গোপনে!
নিদারুন শূন্যতা অনুভূত হয় অন্তর্স্থলে,
সর্বাঙ্গে বয় মরুঝড়, ভাবি বিরলে!
কখনও হারাই নীবিড় মায়াময় স্বপ্নালোকে,
পিয়াসী হৃদয় বিমোহিত হয় কোন্ পলকে ৷


খুঁজি প্রজাপতির ডানায়, ফুলের শোভায়,
ঘাসফুলে, শাপলা ফোটা বিল আর ডোবায় ৷
বহতা নদীর উচ্ছলিত তরঙ্গের খাঁজে খাঁজে,
তার অনুপস্থিতির ডঙ্কা বাজে, এ হিয়া মাঝে!
সে কী শিশিরস্নাত নিটোল কুমুদে থাকে?
না কী হলুদ পাখি? আঙিনায় এসে ডাকে?


তাকে খুঁজি গোলাপ গাঁদা ডালিয়াতে,
তারই তূল্য সে-ই, পাই না কোনটাতে ৷
ফুল পাখি ঝর্ণা থেকে সুরভী ছন্দ ও সুর-
নিয়ে, কবিতা লিখতে পাড়ি দিই সাত সমুদ্দুর ৷
নিভৃতে একাকী মনের সাথে দৈতালাপন
কেন এ প্রাণে, উৎস্যূক উৎকণ্ঠা অনুক্ষণ?


তাকে খুঁজি কপোতের নির্মল পাখার শুচিতে,
কত কিছু ভুলি, পারি না মন থেকে তাকে মুছিতে!
ভাস্কর হতে চেয়েছিলাম শুধু তোমার জন্য মৃন্ময়ী,
সহস্তে গড়ব তোমার প্রতিকৃতি, এমন প্রত্যয়ী ৷
শিল্পী হতে চেয়েছিলাম, শুধু একটি ছবি আঁকব,
কল্পনার সব রঙ দিয়ে তাকে এঁকে রাখব ৷


নিষ্ঠুর সময় সব স্বপ্ন ভেঙে করেছে চূর্ণ,
মনের ক্যানভাসে সব রঙ আজও মজুদ পরিপূর্ণ ৷
আজও বৃথা সে মুখটিকে সদা খুঁজে বেড়াই,
হাঁটতে হাঁটতে ক্লান্ত, সময় নেই একটু দাঁড়াই!
এভাবে পৌঁছে গেছি ধূসর গোধূলি ক্ষণে,
দেখা নাই; অস্তমিত হলাম পশ্চিম গগণে!


রচনা : ২৬/০৮/১৯৯৬ খ্রিঃ