সামনে গেলে লাথি মারো! দূরে গেলে কাঁদো!
অভিমানে মুখ লুকায় আকাশের চাঁদও!
মলিন ওই পদতলে কী সন্তানের স্বর্গ?
স্বর্গ নয়, সেথাবস্থিত অসহায়ের নিষ্ঠুর মর্গ!
ভুবনে যতগুলো মা, জান্নাত কী ততগুলো?
জানি তত নয় তাহলে কীভাবে এত হলো?


মানুষ করতে পারবে না তবে কেন জন্মদিল?
না কী জন্ম দেওয়ার মাঝেও কোন স্বার্থ ছিল?
মাগো পৃথিবীর মুখ দেখিয়ে আমায় ধন্য করনি,
আর বইতে পারি না উপহার যা দিয়েছে ধরনী ৷
আমি দেখেছি মা, একপাল ছানা নিয়ে মা কুকুরে,
কত মমতায় আগলে রাখে, ছোট্ট বুকের কোটরে ৷


ওরা তো বোধহীন তবে এত মমতা কোথা পায়?
যদি মানুষ না হয়ে কুকুর হতাম, পেতাম বুকে ঠাঁই!
ওই মায়ের পদতলে জান্নাত কীভাবে থাকে?
যে মা চেনেন না তার নিজের সন্তানটাকে?
যে মা বোঝেন না সন্তানের প্রাণের আকুতি!
মুখ ফিরিয়ে নেন, হলে সামান্য ত্রুটি বিচ্যূতি ৷


মা সেজে করো না পবিত্র নামের অপমান!
আগে মা হতে শেখো পরে জন্ম দিও সন্তান!
অযোগ্যতার কারণে কুসুমকোমল সন্তানদের
ইহকাল পরকালে হতে হয় ইন্ধন নরকের!
মা তো মমতাময়ী, ক্ষমাশীলা, করুণার আধার,
মায়ের আশীর্বাদে দূর হয় যত পাহাড় বাঁধার ৷


আমার মা আছে, কই বিপত্তি হয়না তো কভু দূর?
বুকের 'পর পাথর চাপা, মোর দুঃখ সাত সমুদ্দুর!
যে মা সব অভিযোগ হতে মুক্ত, যিনি দয়ার খনি,
তেমন মা নাই কোটি কোটি, তিনি শুধু একজনই ৷
তিন ভুবনে খোদা মহিমান্বিত করেছেন যাঁকে,
মা তুমি সে নও, আমি সদা খুঁজি সেই মাকে!


রচনা : ০১/০৪/২০১৬ খ্রিঃ