ভূমিকা :


গিন্নী : আজ কিন্তু বাপের বাড়ি যাব, পাঁচশো টাকা দিও,
দুপুরেরটা রেখে গেলাম, রাতে হোটেলে খেয়ে নিও।
কর্তা : এখনো তো সপ্তাহ পার হলনা, এইতো ঘুরে এলে?
গিন্নী : যেতে ইচ্ছে করেনা তবুও কেন যে যাই সব ফেলে!
কর্তা : শোন  রাস্তার যা অবস্থা, বাচ্চা-কাচ্চা  নিয়ে,
এভাবে রোজ বের হওয়া ঠিক না দিলাম বলে দিয়ে।
গিন্নী : আমি কিন্তু এবার গিয়ে থাকব দুই তিন দিন,
সব দেখে রেখো, কেমন! মাত্র তো তিনটা দিন!


প্রথম পর্ব


একদিন বাদে :
কর্তা : হ্যালো কি করছো তোমরা, মেয়ে দুটো কই?
গিন্নী : অই অমনি ডাক পড়েছে, আসতে না আসতে অই!
আমি এখন মায়ের সাথে গল্প করছি বারান্দায় বসে,
বড়টা খেলছে, ছোটটা জ্বালাচ্ছিলো, মেরেছি কিল কষে!
তোমার জন্য কোথাও গিয়েও এতটুকু শান্তি নেই!
অমনি ডাক পড়েছে, আমি এখানে এসেছি যেই!


দ্বিতীয় পর্ব


গিন্নী : হ্যালো : বাব্বা খবর নিলে না এই তিন চার দিনে!
        ও আর বলতে হবে না ফেলেছি তোমায় চিনে!
আমার না হয় খোঁজ নিলে না, মেয়ে দুটোর তো খুঁজবে!
বাব্বা আজব মানুষ তুমি, তোমাকে কে আর বুঝবে?
শুধুই ভাবি, একেমন জীবন, আমি সরল সোজা বলে,
তোমার ঘর করতো না আমি না হয়ে, অন্য কেউ হলে!


তৃতীয় পর্ব


কর্তা : কি ব্যাপার সকালে গেলে, বিকালে আবার ফিরলে যে
গিন্নী : কি করব যেয়ে ভাল লাগছিল না আজ আমার হল কি যে!
যেয়ে কেন মন দাঁড়াচ্ছিল না তুমি কি তার বুঝবে?
তোমার জন্যই তো ফিরে এলাম, তুমি আর আমায় খুঁজবে?
নাহ! আরো একদিন থাকলে মনে হয় ভাল হত
বাড়ি এসে ভাল্লাগছেনা, চিন্তা তোমার খাওয়ার জন্য সেতো!


কর্তা : নারী প্রেমিকা, নারী সহধর্মীণি, সুখ-দুঃখের অংশিদার,
এদের হৃদয় বুঝতে গিয়ে হোচট হয়েছি বারংবার!
আগে তো না বুঝে তার সাথে করতাম খুনসুটি,
এখন ভাবি স্বভাব দোষ তাই ধরিনা কোন ত্রুটি।