শোনা হে মোর প্রাণাধিকা আমায় বেসো ভালো,
আমাদের অন্তরে যেনো বিভো জ্বালেন আলো।
দুটি হৃদয় মিলাইলো বিভো অদ্যকার পূণ্য যামে,
হাত তুলে প্রাণ খুলে কৃতজ্ঞতা জানাই তার নামে।


অদ্যকার ন্যায় অবিরত থাকুক সমুদয় দিবারাত,
কভু যেনো প্রভুকে না ভুলি কাম্য করি তুলি হাত।
দু'জনের কভু না করি হেলা, বুকে নিই সদা তুলি,
বিপথে কভু পা না বাড়াই দয়াময় প্রভুকে  ভুলি।


কখনো কাউকে করবো না আঘাত কোনো ছলে,
মমতায় সদা দু'জনের যেনো বেঁধে রাখি অঞ্চলে।
কামনা করি বিপদ এলে ধৈর্য রাখবো সজতনে,
কেউ কভু কুবচন যেনো বলবো না কারো সনে।


এ প্রার্থনা যেনো খোদা রাখেন সরল সঠিক পথে,
হারায় না যেনো তমশায় তাকে ভুলি কোনো মতে।
ভুলবশত কেউ কারো প্রতি করলে অসদাচার,
ক্ষমা করে দিয়ে দু' জন মন খুলে হাসি আবার।


জীবিকার তাগিদে যাবো বাইরে তুমি থাকবে বাড়ি,
যেনো রেখোনা কোনো কাজ অসম্পন্ন করে আড়ি।
দু' জনের সদা বিশ্বাস করবো, না করবো প্রহেলিকা,
কারো ভুলেও ভাববো না শত্রু শোনো হে প্রাণাধিকা।


আনন্দ-বেদনার লহরিতে পাই যদি সামান্যতম ব্যথা,
অন‍্যের আশার একটু খুশিতে ভুলে যাবো সে কথা।
বিপদে-আপদে যেনো দুজন দুজনের হই সহমর্মি,
দু' জন  যেনো উভয়ের নিকট হই আদর্শ সহধর্মী।


আনন্দ-বেদনাকে যেনো দু' জন করে নিই ভাগাভাগি,
অভিমানে ভুল বুঝা বুঝিতে যেনো না করি রাগারাগি।
যা খাবো তোমাকেও খাওয়াবো তা হোক লবণ ভাত,
উত্তম পরিধেয় দেবো অবিচার করবো না তব সাথে।


বাবা মা ভাই বোনের সাথে হাসি মুখে কথা বলো,
গোয়ার হয়ো না পৃথিবীর উপরে  নম্র হয়ে চলো।
সকল আদেশ নিষেধ হাসি মুখে করবে পালন,
যা তোমার অসাধ্য মুখে তা করবো না উচ্চারণ।


তোমাকে সদা বাসবোভালো করবো না অবিচার,
যা তোমার নিকট দুর্বোধ্য তা  বুঝাবো বারংবার।
প্রার্থনা করি মোদের সন্তান যেনো হয় গো পূণ্যবান,
মিথ্যাকে পায়ে দলে সত্যপথে হয় যেনো আগুয়ান।


(লেখাটি ১৭/০৯/১৯৯৬ তারিখে রচিত, প্রতিটি রচনাই লেখকের নিকট সন্তানতূল্য হোক সে কানা খোড়া । জানি এটি কবিতা হিসেবে মানসম্মত নয়। তবুও কিছুটা সংশোধন করে আসরে পোস্ট দিলাম)