আমি  উত্তাল জনতায় ও হেটেছি,
শূন্য রাজপথেও চলেছি ।
আমি হাতে তালি দিয়ে গান গেয়েছি ,
নির্বাক বেঞ্চে বসেও থেকেছি ।
আমি অতলে ঝাঁপ দিয়েছি, বিন্দু জলকে ভয়ও করেছি ।
আমি আকাশকে মুঠিতলে আনার জন‍্য দু'বাহু বারিয়েছি,
বিশাল আকাশ দেখে কেঁপেও উঠেছি ।
দু:খকে কদম মুচী , করতে বাদ্ধ করেছি ।
শিশুর বিথা কান্না দেখে, আমিও কেঁদেছি ।
মাতালকে বাহু ধরে পথ হাটিয়েছি
আবার,
মাতাল হয়ে পথের ধূলায় গড়াগড়িও করেছি ।


আমি সব যা তোমায় আছে ।
আমি সেই অকল‍্যাণ, যা বিশ্ব গড়ে ।
আমি হতাশা বুকে লইয়া নৌকা বাঁই।
পিছের ঝড়ের দিকে ফিরেও চাই নাই!
আমি আশীর্বাদও লইয়াছি,
অভিশাপও সইয়াছি !
কই কেউতো আমার মঙ্গল করিলো না,
অমঙ্গলও হইলো না ।
আমি নিজে  যা দমিয়াছি,
তাই ফিরে পাইয়াছি ।
কভু, স্রষ্টারে দোষী নাই।
ভীরু লোকে দোষে স্রষ্টারে, নিজে সুখি হবার তরে ।
আমিতো ভীরুর, কাতারে দাড়াই নাই।


শুধু জয় ছিনিবার জন‍্য, জন্মাই নাই।
আমি হারিতে চাই,
অপমানিত হতে চাই,
জ্বলিতে চাই,
পুড়িতে চাই।
কিন্তু, তোমার সুখের ঘরে বন্ধী হয়ে বাঁচিতে চাই না।
হয়তো, আমি উড়িতে  পারিবো না
কিন্তু, হাত ঝাঁকানো ছাড়িবো না।
হয়তো, আমি জয়ের মালা পাইবো না
কিন্তু, পরাজয়কে ভয় করিবো না ।
করিবো না, করিবো না,
ও আমি, করিবো না মরিলেও।