একটি শিশু, সূর্য চেনে না
চার দেয়ালে বন্ধী থেকে।
ঘরের কোণের ঐশ্বর্য
পথের ধূলোর থেকেও নগণ্য
পথের বাঁকেই, তাকে জ্ঞান লুকায়ে
ধূলো মাখা  জ্ঞান মাঝারে
নিজেরটা,নিতে হয় বেঁছে।
ঘরের দামী বইয়ে
অাছে গাদি-গাদি কৃত্রিম  জ্ঞান।
নিজের জ্ঞান নিতে হয় কেরে,
বৃক্ষের ডানা বেয়ে,
পথিকের গালি শুনে।


যেজন, রাখে দমিয়ে
অাপন শিশুকে সুখের কারাগারে,
পঙ্গু মানব করে !
একটুকরো অাকাশ বারান্দার,
এক কোণে।
তাকিয়ে থাকে সৃষ্টিশীল চোখে !
হঠাৎ শব্দে কেঁপে ওঠে।
জানালা থেকে নিঃচুপ দেখে,
কি করে,জমির সস্তা মানবগুলো।


তার, পৃথিবী তিনজোড়া কক্ষ
তার, ভুবন রঙ্গিন টেলিভিশন।
একটি শিশু, সূর্য চেনে না
চার দেয়ালে বন্ধী থেকে।
মন্দ বোঝে না
মুদ্রার দু'পিঠ দেখে না,
ছলনার রং বোঝে না
কারাগারের শিশু ভবিষ্যতের,
অালেয়া খুজতে পারে না !


সুখের কারাগারে,
রোদেলা মুক্তির অানন্দ থাকে না।
তোমার শিশুর মঙ্গল চেয়ে
অদৃশ্য পঙ্গু করো না ।
না হয়,
শিশুর মঙ্গলই চেয়ো না !


সৃষ্টির বার্তাকে ঘুরতে দাও,
এই মুক্ত ভুবনে।
বাতাস লাগাতে দাও গায়
জল ছিটাতে দাও
রোদে পুড়ে  ঝলসাতে  দাও।
প্রকৃতিতে সৃষ্টির অালিঙ্গন,
ছরিয়ে দাও।  
এই ভুবন তার রঙ্গে
সাঁজাতে দাও।


রচনাকাল : ২৭/১১/২০১২ইং