অামি সেদিন বুঝেছি
যেদিন তোমায় হারিয়েছি
বাবা,তোমায় হারিয়েছি।
জীবন নয় তো খেলার মাঠ
মুক্ত শীতল ছায়া।
নয় জীবন সুখের দোলনা
রঙ্গিন ফ্রেমের চশমা।


কত জ্বালা সইতো বাবা, বুঝাই যেতো না
হাত বাড়িয়ে, কিছু অামার চাইতে হতো না
হাসি মুখে মোদের তরে,
বিলায়ে দিতো সব।
মোদের খুশিরর জন্য ঝরাতো
গায়ের জল।
বিনিময়ে কিছু বাবা চাইতো না অাবার,
চাহিদারও শেষ কভু হতো না অামার।


এখন নেই বাবার ছায়া।
অামি অচেনা অাকাশে উড়ি
কেউ হাত ধরে, চিনিয়ে দেয় না কিছু
হয় না,  অামার জন্য ভীম
হাত ধরে রাখেনা নিজের হাতে
অামি হারিয়ে যাই পথে।


কেউ ভালবাসে না অামায়,
অামার বাবার মত করে ।


অাজ বড় মনে পরছে তাকে !
অামি তার অবাদ্ধ ছেলে
কিছু দিতে পারিনি তাকে
তাই সরণে চোখ ভেজে ।


রাত ১০টার সময় বাবা যখন অাসতো
TV-র রুম থেকে দৌড়ে
যেতাম পড়ার ঘরে ।
সে সব কিছু বুঝে মুচকি হাসে।
রাতে খাবারের জন্য ডাকে
অামি তখন দিতাম না সারা,
এখন তার একটু অাহ্বান শোনার জন্য
কাতোর অামার মন
নেই সেই অাহ্বান,
নেই সেই মিষ্ট ছলনা।
অামি একা নিশি জাগি
কেউ বলে না ঘুমতে যা !
তার শাসনে যে কত মায়া,
হারিয়ে তা বুঝি।
অামি বাঁধন হারা পাখি
নিজের অাকাশ খুঁজি ।


উৎসর্গ:যারা বড় অসময়ে পিতাকে চিরতরে হারিয়েছেন, সে সব সন্তানদের জন্য।
রচনাকাল :২২/০৩/২০১৩ইং