ভেবেছিলে প্রান্তরের খা খা শুন্যতা নিয়ে কি করে থাকব !
দু একটি নদী বইয়ে দেব কেঁদে কেঁদে !
তোমার ধুসর চোখের আঙিনায়
হিজলের ফুলের মত দুলিয়ে দেব আমার নম্রতা?


দেখ হাত বাড়িয়ে কেমন আকাশকে টেনে আনি,
আকাশ দেয় মেঘ, আলো, কুচো বৃষ্টির হিরে,
সুর্য মুছে নেয় মন খারাপের ভেজা জল,
আমার শাদা সিঁথির ভাঙ্গাপথে গোধূলি রঙ ঢালে , জ্বলে উঠে তারা,
যদি অহংকার ভাবো তো তাই!
আমি অহংকারের গোলাপী গালে চুমু খেয়ে দূরের হয়ে থাকব !


এই যে ভোরে খোলা বারান্দায় লেজ দুলিয়ে বসে আছে নাগরিক ফিঙে,
আমি তাকে জল দিই, তার জন্যে হাতের তালুর মত উষ্ণতা,
তার চোখে পড়ে নিই প্রত্যাবর্তনের আভাস,
তুমি আসবে ! জানি ত তুমি আসবেই।
আমার অপেক্ষার নদীতে সহিষ্ণুতার যে আগুণ সে ত তোমাকে পোড়াবেই ।


যতটা আঘাতে পুড়িয়েছি মন। মুখ ডুবিয়ে তুলে নেব সব দাগ।
ভালবেসে নদী হব ! ভালবাসা নদী। ছুঁয়ে ছুঁয়ে খুব কাছের !