একাত্তরের সাতই মার্চে রেসকোর্স ময়দান
কানায় কানায় পূর্ণ ছিলো শুনতে আহ্বান।
তৈরী হয়ে থাকো সবে তাড়াতে সব পাক
দরাজ কন্ঠে দিলেন নেতা স্বাধীনতার ডাক।


উনিশ মিনিট কথা শুনে উজান স্রোতে রক্ত
ভয় ছিলোনা মুজিবরের সাত কোটি তাঁর ভক্ত
তৈরী হতে থাকলো সবাই লাল-সবুজের জন্য
রক্ত দিবে স্বাধীন হবে বিশ্বে হবে গণ্য।

পাক শাসকের নড়লো টনক বুঝলো সময় শেষ,
বাঙালি সব যুদ্ধে যাবে গড়তে স্বাধীন দেশ।
একাত্তরের ছাব্বিশে মার্চ পাক সেনাদের হানা,
কে মোনাফেক কে রাজাকার ছিলোনা তা জানা!


পদ্মা, মেঘনা, যমুনা জল লাল যে হলো রক্তে,
আস্তে আস্তে নড়ছে খুঁটি পাক শাসকের তক্তে।
ন’মাস জুড়ে চললো যুদ্ধ শহিদ ত্রিশ লাখ,
ডিসেম্বরের ষোল তারিখ বিজয় দিলো ডাক।


লাখো শহিদ, বীরাঙ্গনার স্বাধীন বাঙলা দেশে
পাকের কিছু কুলাঙ্গার রইলো ছদ্ম বেশে
পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট কেমন করে ভুলি!
ধানমন্ডির বত্রিশে ঝড়ের মতো গুলি
বঙ্গবন্ধু-বঙ্গমাতা জামাল-কামাল রাসেল....
দেয়ালগুলো  সাক্ষি আজো গাঁথা বুলেট সেল।
যিনি  দিলেন স্বাধীনতা লাল-সবুজের ঝান্ডা,
তাঁর বুকেতে চালাও গুলি, চাইলে হতে পান্ডা!


জাতির পিতার রক্তে রাঙা এই বাঙলার মাটিতে
ও কুলাঙ্গার কাঁপেনা পা? বঙ্গ জুড়ে হাঁটিতে?
শেখ মুজিবুর জাতির পিতা নয়তো কেহ অন্য,
স্বাধীনতার স্বাদ যে দিলেন ধন্য পিতা ধন্য।


উনিশ মিনিট যা বলেছেন তাতেই অবাক বিশ্ব
বঙ্গকন্যা শেখ হাসিনা জাতির পিতার শিষ্য।
বঙ্গবন্ধু বিশ্ব নেতা, কার ক্ষমতা কর্ষে?
শ্রদ্ধার্ঘ জাতির পিতা জন্ম শত বর্ষে।।


“মুজিব শতবর্ষ”


১৭ মার্চ ২০২০ খ্রিস্টাব্দ।