রৌদ্রের প্রখরতা শেষে ক্লান্ত সূর্য বিকেলের রক্তিম আলো ছড়িয়ে
অস্ত পানের কোলে নিজেকে সমর্পণ করছে
জানান দিচ্ছে এখন আমার যাওয়ার সময়।
পাখিরা বুঝে সূর্যের ভাষা ফিরে যায় নিজ কুঠিরে।
অপেক্ষার প্রহর গুনে আবার সকাল হবে, সূর্য উঁকি দিয়ে আবার ফিরে আসবে
পাখির কাকলিতে মেতে উঠবে রাত্রিরে নিস্তব্ধ আঙিনা।


ক্লান্তি হীন সমুদ্রের ঢেউ বারংবার আছড়ে পড়ে কুলের বুকে
সকাল দুপুর রাত্রী, রৌদ্র, ছায়া, রাতের আঁধার,
অমাবস্যা বা জ্যোৎস্না শোভিত পূর্ণিমা,
ঝড় কিংবা শান্ত হিমেল হাওয়া সমুদ্রের কাছে সমান।


ভৃগুর উপর বসে রূপসী চাঁদের আলো আর তারাদের খেলা দেখি
কত্তো রঙ বেরঙের তারার মেলা
তারা সব মুছে দিতে চায় চাঁদের কলঙ্ক!
এক ফালি মেঘ এসে ঢেকে দেয়
ক্ষণিক আঁধার বিচলিত করে মন
ঠিক তক্ষুণি অনুভূত হয় একাকীত্বের বেদনা।
বুকের বাঁয়ে চিন চিন করে ব্যথা শুরু হয়
আর বুঝি তারার খেলা রূপসী চাঁদের আলো দেখা হবেনা!
ওই তারাদের সাথে খেলতে দূর আকাশে চলে যাবো,
হয়তো তাদের মতো রঙিন হবোনা
আধো আলো আধো আঁধারে উঁকি দিবো
দূরের আকাশ থেকে পূর্ণিমা রাতে দেখবো প্রিয়ার কোমল মুখ।
উল্কা হয়ে ঝড়তে চাইবো তার লোটন খোঁপায়!


অমাবস্যার আঁচলে যখন ঢেকে যাবে, আঁধারে দেখা হবেনা
তখন ভুলে যেওনা,
মনে রেখ ছিলাম একাত্মতা হয়ে, খোঁপায় গুঁজেছিলেম বেলীগুচ্ছ
ভেজা চুলের সোঁদা গন্ধে মাতাল হয়েছিলাম, ভালোবেসেছিলাম।


আজ এই প্রান্ত বেলায় নিখাদ প্রেমের দিব্যি করে বলছি
প্রখর তপ্ত সূর্য বা রূপসী চাঁদ কিংবা আলোকিতো তারা নয়
সমুদ্রের ঢেউ হয়ে থাকতে চাই।
ক্লান্তিরা যেনো গ্রাস করতে না পারে, হতে চাই সমুদ্র সফেন।


রচনাকালঃ
১৮ নভেম্বর ২০২০ খ্রিস্টাব্দ।
ঢাচিশাভি