আমি চলে যাব,চলে যাব দূরের নির্জন কোনো পট্টনে,
আমাকে ধরে রাখার শেষ ইচ্ছাটুকুও জাগে নি কারো বিজ্ঞত্বে।
চোখে কেবল ধুসর শূন্যতা,সুনীল আকাশ স্বচোখে হয় না নিরখা।
ধূলে আচ্ছাদিত বইপত্রের ঊনে ছেড়া কাগজে লেখা কবিতার স্তুপ থেকে যায় ঠিকানাবিহীন।
কারো বচনে শুনিনি কভু থেকো যাও কবি থেকো যাও আমাদের সহগমনে।
আমি চলে যাব,চলে যাব মলিন হওয়া স্মৃতির অগোচরে।
কত শত দিন স্নিগ্ধকর ভোরে বক পাখির মতো ভেসে আসা স্বপ্নকে ছুঁয়ে দেখতে চেয়েছি।
কতই না পিপাসিত আমার মস্তিষ্ক, কলমের ডগায় জীবন্ত শব্দগুলো খুঁজে না পাওয়ার ঢের হতাশা।
আমি চলে যাব, চলে যাব মাঝিবিহীন কোনো তরী চেপে।
নিজের সুখের আল্হাদে সুরটুকু বলি দিয়েছি বারংবার,
গোধূলীর আবিরে চোখ রাখলেই নেমে আসে সন্ধ্যা।
নিদ্রাবিহীন আমি ভোর হবে কিসের আশায়?
সবাই নীল চন্দ্রটুকু পরশ করে আমার জন্য রেখে যায় অমাবস্যা।
আমি চলে যাব, চলে যাব সবার অবহেলার অগোচরে।
প্রতিদিন সময়কে বিক্রি করে সন্ধ্যা শেষে ক্লান্ত দেহটাকে নিয়ে ঘরে ফিরি,
চাঁচল্য শব্দটা উরে মেখে আমি চলে যাব সুদূরে।
কেউ বাঁধেনি কভু মন বাঁধনের ফাঁদে,
আমি চলে যাব,চলে যাব ক্রূরমতি মেঘের দলে।
সবার হৃদয়ের দরজায় খিল মেরে চলে যাব বিদায়ক্ষনে।
কেউ অশ্রুসিক্ত হবে না কভু,নিবে না কেউ নোনতা জলের স্বাদটুকু।
নিজেই নিজের নিলাম ডাকি বারবার,
সিদ্ধলাভ হয় না আমার কভু।তোমরা বিদাও দাও আমাকে,
আমি চলে যাব,চলে যাব প্রকৃতির সবটুকু ভালোবাসা করণে মেখে।