ওরে ও ভুক্তভোগীর দল-
তোদের হিংস্র খেলা থামবে কবে বল?
দাউ দাউ অগ্নিশিখা জ্বলছে মোর বক্ষতলে!
নেত্রকোণে অশ্রুধারা ঝরছে নিরবধি,
বিত্তবান মানবের ছলছাতুড়ি -
দুর্বলদের বক্ষে মারে কষে লাথি!
সমীরণে প্রবল তুফান উঠবে যেদিন,
ধ্বংস হবে অচল-অবনী।
নেত্রকোণে ছানি ওদের-
প্রাচীর ঘেরা প্রকান্ড ঈর্ষা যাদের।
জগদীশ্বর তুমি কি আজ দেখছো বটে?
হৃদস্হলে রক্ত ক্ষরিছে মোর দমে দমে!
কর্ণ ও চক্ষুদ্বয় তোমার রাখিও খোলা,
প্রশ্ন জাগে মোর ক্ষনে ক্ষনে।
প্রজারা সদা  কেনা নৃপতির হাতের মোওয়া?
হা!হা!হা! পায় যে মোর বড্ড হাসি।
প্রভু এ  তোমার কেমন খেলা?
পঞ্চত্বপ্রাপ্তি মোর অক্ষিগোলাকের কাছাকাছি,
তৃষ্ণা যে মোর অতি বেশি-
শয়নকক্ষে মোর জল নেই এক ঘটি!
স্বস্হির নিশ্বাস নেবার মতো-
এক চিলতে গগনতলে কোন স্হল নেই।
ব্যঙ্গ করে সবে কতকিছুই না বলে!
কলমের কালি শেষ না হওয়া অব্দী,
অনল জ্বলবে মোর লেখার ছন্দে নিরবধি।