সেই তুমি স্কুল পড়ুয়া কত সুশ্রী ছিলে,
তোমার আঁখিকোনে কত শত আঁকিবুকি ছিল স্বপ্নের সমাহার।কত রাত কাটিয়েছো নিদ্রাবিহীন!
গভীর রজনীতে ভাংগা জানালার পাশে দাড়িয়ে যখন আঁধারে লুকিয়ে থাকা কথা শান্তনা খুঁজতে,
আমারো তব বড্ড ইচ্ছে হতো গগন থেকে কিছু কথা শান্তনা নিয়ে তোমার ওই ভাংগা জানালার কার্নিশে ঝুলিয়ে রাখি।অবহেলা,ধিক্কার কত কিছুই না তোমাকে আকড়ে ছিল!
তবুও প্রথম প্রণয়ের সরমে  নিজের অনুরাগ ছোট ছোট ইচ্ছা দিয়ে সাজাতে চেয়েছিলে জীবনটাকে।পেরছো কি?
সেই তুমি এখন কতটা পরিবর্তন।একাকিত্ব দিন-রজনী ভাবনার চাদর আর স্মৃতিময় সময়গুলোকে সঙ্গী করে অগ্রসর হচ্ছো।
বলে ছিলে ভালোবাসি কি না? আমি বলেছিলাম যদি শেষক্ষনে যাবার পথে আমার কথা ভেবে হাঁটার গতি ধীরু হয়ে যায় তখন ভেবো ভালোবেসেছিলাম।
শীতের সকালে ঘুম ভাঙ্গার পর যদি বারান্দার হালকা বাতাস তোমাকে আলতো স্পর্শ করে যায়
তখন ভেবো ভালোবসেছিলাম।
ফুটপাত ধরে হাঁটার সময় রোদেলা দুপুরে তোমার নাকের ডগায় লেগে থাকা ঘামকে পরশ করে বুঝে নিও সেইক্ষনেও ভালোবেসেছিলাম।
বড্ড মনে পরছে?এই গোলক-ধাঁধার ভূবনে হয়তো বা কোন একদিন দেখা হয়ে যাবে,
সেদিন না হয় তেমার  কাজল পড়া আঁখিকোনে আমাকে লুকিয়ে নিও।
আচ্ছা এখনো কি নদীর তীরে পা ঝুলিয়ে বসে  একা একা নদীর সাথে কথা বলো?
এখনো কি রাগু রাগু মুখে কারো জন্য অপেক্ষার ঝুড়ি হাতে বসে থাকো?
কি করবো বলো?সময় যে আপোষ করে নি, আমারো তো বড্ড ইচ্ছে হয় তোমার মায়াবীমুখপানে তাকিয়ে থাকি জীবনের শেষ অব্দী।
ইচ্ছে হয় তোমার কঙ্কণ ভরা হাতে হাত রেখে শেষ না হওয়া পথে হেঁটে চলি নিরন্তর।
গগনের বুকে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রাখি অগনিত স্বপ্ন।
হাতে আমার প্রিয় বেলী ফুল আর আমার লেখা শেষ কবিতাটি নিয়ে গগনপানে আলু-থালু কেশ উড়িয়ে দাড়িয়ে থেকো সেই চিরচেনা স্হলে।
ঠিক চলে আসবো রিমঝিম কোন এক পল্লবোদিনে।