দ্বিজাতি তত্ত্বের ভিত্তিতে বিভক্ত হয় অখণ্ড ভারতবর্ষ
তখন বাংলাদেশের স্বাধীনতার দুর্মুল্য মানিকটি,পশ্চিম পাকিস্তান নামক বিষাক্ত কালসাঁপের মাথায় স্বেচ্ছায় তুলে দেন
ধর্মপ্রান মুসলমানেরা।
তারা হয়তো বুঝতে পারেননি?
মহামুল্য স্বাধীনতার মণিমুক্তাটি এক সময় নিজেদের ভাণ্ডারে আনতে,
বিঁষধর পাকিস্তানি কালসাঁপের বিঁষদংশনে
ক্ষত বিক্ষত হবে বাংলার নিরীহ জনগোষ্ঠি।


হলো ও তাই, উনিশশো একাত্তর খ্রীষ্টাব্দের সাতই মার্চে এদেশের এক সূর্যসন্তান ঢাকার ঐতিহাসিক রেসকোর্স ময়দানে স্বাধীনতার মানিক রতন ছিনিয়ে আনার জন্য বাঁশের লাঠি নিয়ে কালসাঁপের মোকাবিলা করার ডাক দিলেন,আরো বললেন যার যা আছে তাই নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ো স্বাধীনতা আর মুক্তির লড়াইয়ে।


বাঙালি প্রস্তুত ছিল,অপরদিকে এই মহাপ্রস্তুতি দেখে চুঁপিসারে ফণাতোলে ফুঁসফুঁস করছিল বিঁষাক্ত কালসাঁপ।
অবষেশে পঁচিশে মার্চ উনিশশো একাত্তর সেই ভয়াবহ কালরাতে কালকেঁউটে পাকিস্তানিরা তাদের ভয়াবহ বিঁষদংশনে ঘুমন্ত অবস্থায় হত্যা করলো লাখো নিরীহ বাঙালিকে।
নাঁগপাশে বন্দীকরে পাকিস্তানে নিয়ে গেলো সাড়ে সাতকোটি বাঙালির প্রানের ভোমরা সেই সূর্যসন্তান লৌহমানবটিকে।


আচমকা বিঁষদংশনে নিদ্রাভঁঙ্গ বাঙালি যখন দেখলেন নিজ ভুমির এমন বিপন্ন রূপ?
তখন তারা মরিয়া হয়ে উঠলেন স্বাধীনতার মণিমুক্তাটি নিজেদের আয়ত্তে নিয়ে আসার জন্য।
পঁচিশে মার্চের ভয়াল কাল রাত্রির অবসানে ছাব্বিশে মার্চের সকাল থেকেই শুরুহলো স্বাধীনতা লাভের চুড়ান্ত মুক্তিযুদ্ধ।
আক্ষরিক অর্থে ছাব্বিশে মার্চ তাই আমাদের স্বাধীনতা দিবস।


কিন্তূ এটি পাকাপোক্ত হয় দীর্ঘ নয়মাসের রক্তপাত আর প্রাণঘাতী যুদ্ধে লাখো লাখো নরনারী শিশুহত্যা ও নারীদের সম্ভ্রম লুণ্ঠনের মতো জগন্যতম অমানবিক নির্যাতনের পথ পাড়ি দিয়ে ষোলই ডিসেম্বরে।
এই দীর্ঘ বিপদ সঙ্কূল সময়ে এদেশেরই কিছু নরাদম বিষাক্ত পাকিস্তানি কালসাঁপের পেটরা মাথায় নিয়ে ঘুরেছে বাঙলার আনাচে কানাচে।


এই সংঘবদ্ধ সাঁপুড়ে গোষ্ঠির নাম,রাজাকার, আলবদর,আলশামস ও নামধারী শান্তি কমিটির নামে অশান্তি উৎপাদনকারী।
এদের প্রাণঘাতী ছোবলে উনিশশো একাত্তরে যেমন আমাদের প্রাণসংহার হয়েছে।
স্বাধীনতা লাভের পরও আমরা এদের ছোবল থেকে আজও নিরাপদ হতে পারিনি।
ওরা এখন আগের পরিচয় বদলে ভিন্ন নাম হয়ত গ্রহন করেছে?
কিন্তু তাদের হিংস্র চরিত্র বদলেনি।
তবে সুখের কথা তরুনের অরোনোদয় ঘটেছে বাঙলায়।
হয়ত এই হিংস্ররূপী অমানিসা কাটবে?