তোমায় নিয়ে; একদিন নদী-তীরে যাব।
নদীর জলে সূর্যটা ঝিকিমিকি করবে,
কলমি ফুল ছিঁড়ে তোমার কানে দেব গুঁজে।


তখন তুমি;
পুষ্পিত কর্ণে হাত রেখে, স্বচ্ছ জলে মুখ দেখবে,
মুচকি হেসে বলবে আমায়—
নৌকায় যাবে কিনা?
আমি বৈঠা হাতে তোমায় দেখতে দেখতে
তোমাকে নিয়ে একটি গান গাইব
যেটা আমার নিজের লেখা,
যেটাতে প্রকৃতি দিয়েছে সুর।


দুষ্টুমি করে পানি ছিটিয়ে দেবে আমার গায়ে।
মিষ্টি হেসে বলবে আমায়—
ধানক্ষেত দেখবে কিনা?
ধানক্ষেতে অনেক বাতাস বইবে,
সেই বাতাসে ধানগাছের মতো
তোমার সুতি শাড়ির আঁচল দুলবে,
তুমি ধানের ডগায় হাত বুলালে
রিমঝিম করবে রেশমি চুড়ি।


আঙুল দিয়ে ঐ গাছটাকে দেখিয়ে বলবে—
গাছের নিচে বসবে কিনা?
বকুল তলায় মোহনীয় বাতাসে বসব আমরা।
আমি তখন; বাঁশিতে সুর দেব,
তুমি আমার কাঁধে মাথা রেখে
চোখ বুজে সেই সুর শুনবে।
ছোট ছোট ছাগল ছানা আমাদের পাশে করবে খেলা।


তখন তুমি;
এক ফুটফুটে ছাগল ছানা কোলে তুলে নিবে, হাসি হাসি মুখে বলবে আমায়—
কী সুন্দর! তাই না?
আমার কনুই তে হাত রেখে, পাশে হেলান দিয়ে,
অদূরে বাছুরের দুগ্ধ পান করা দেখব আমরা।


তোমায় নিয়ে একদিন লোকান্তরে যাব;
প্রকৃতিকে তাঁর অপূর্ব সৃষ্টি ফিরিয়ে দেব,
সেখানে নান্দনিক সৌন্দর্য রংধনুর মতো বিচ্ছুরিত হবে।
থাকবে না কোন কোলাহল,
শুধু প্রকৃতি গাইবে গান।
তুমি যাবে তো আমার সাথে?