বাংলাদেশ, তুই মরে যা!  
তোর প্রশস্ত মায়াভরা বুক কাঁটা তারে বিদ্ধ দেখতে
আমার আর ভালো লাগে না।
তুই মরে যা,
যেভাবে প্রতিদিন মরে যাচ্ছে ফেলানিরা ঠিক সেভাবে! 
না হলে বিষ খা, গলায় ফাঁস দে অথবা যা খুশি তাই কর।
আরেকটা কাজ করতে পারিস তুই,
যৌবনে তোর যে ছেলেটা বাড়ি থেকে পালিয়ে যুদ্ধে গিয়েছিলো
অথবা মিছিলে গিয়ে আর কোনদিন ফেরত আসেনি।
তাদের আবার ফিরে আসার হুকুম দে।
দেখবি সময়ের ব্যারিকেড ভেঙ্গে 
৫২,৬৯, ৭১ থেকে ওরা দলে দলে স্লোগান দিয়ে জড়ো হচ্ছে উম্মুক্ত রেসকোর্স প্রান্তরে।
দেখিস ওরা গর্জে ওঠে বলবে" বল মা, তোর  কী হয়েছে?" 


শুধু একটাবার হুকুম দে।
ডেকে নে তোর সালাম, রফিক,জব্বার,আসাদ,রুস্তম ও মতিউরদের।
ওরা শুধু তোর হুকুমের অপেক্ষায়।
শুধু একবার ডেকে দেখ, দেখ না।
ওরা বুলেট, গ্রেনেড, গোলাবারুদ, কাঁটাতার, ইত্যাদি চিবিয়ে খেতে জানে।


শেখ মুজিব তো তোর বাধ্য আদরের খোকা
ডাক ওরে একবার, ডাক না।
পৃথিবীর মানচিত্র টা আবারো কাঁপিয়ে দিয়ে আসুক।
থেঁতলে দিয়ে আসুক বিশ্ব বিবেকের জংধরা সব নষ্ট ইতিহাস।
আর চুপটি করে থাকিস না। 
আড়ষ্টতা ভেঙ্গে বাহিরে বেরিয়ে আয়, 
চিৎকার করে বল " খোকা, বাঁচা-- বাঁচা,বাপধন বাঁচা" 
বন্ধুত্বের আছর নিয়ে যে খাঠাস পেত্নী তোর বুকের মধ্য ঘাপটি মেরে বসে আছে ৩৯ টি বছর ধরে।
তাকে এখনি ঝেটিয়ে বিদায় কর, চোখে সরিষার তেল লাগা, পোড়া লাল মরীচের গন্ধ শুঁকা, কনিষ্ঠ আঙ্গুলে গাঁট দে অথবা হুমকি দে বোতলে ভরে রাখার।


আর যদি কিছুই করতে না পারিস,
তাহলে তুই মরে যা, 
সীমান্তের কাঁটাতারে প্রতিদিন তোকে রক্তাক্ত দেখতে 
আমার আর ভালো লাগে না।