সত্যকে আমৃত্যু চুম্বনের দায়ে,
গতোকাল পলাশীর মোড়ে যে কবি'র ফাঁসি হলো;
তার জন্য দয়া করে কেউ কাঁদতে এসো না!
নাহলে নিহত এ কবিটি নিয়ম ভেঙ্গে
বার বার মরে যাবে।


কবি'র এ নৃশংস মৃত্যুর বেওয়ারিশ প্রতিবাদে,
চলো, আজ আয়োজন করে বসে পড়ি 
ঐতিহাসিক রক্তাক্ত পলাশীর প্রান্তরে।
চলো,পৃথিবীর সব অভিধান তোলপাড়,ছিন্নভিন্ন করে
খুঁজে আনি অতিকায় বিবস্ত্র শব্দযজ্ঞ,
আর মহাউৎসবের উল্লাসে
তাদের জন্ম গহবরে...
তীর্যক শব্দ প্রলয় ঘটাই,
সংঘবদ্ধ হই, ক্রুদ্ধ অভিশাপ দেই।


যারা কবিকে ১০১১ নাম্বার কক্ষ থেকে
টেনে হেঁচড়ে মৃত্যুর জ্যাকেট পরিয়েছে।
রুদ্ধ কন্ঠে স্রষ্টার দরবারে,
তাদের আজ নির্বিচারে ধ্বংস কামনা করি!
মৃত সাগরের মতো প্রজন্মের পর প্রজন্ম
তারা যেনো বয়ে বেড়ায়,এ পাপের সীমাহীন যন্ত্রনা।
কেউ অনাহারী কোনো নুব্জ্য কুকুর,
ভিখিরি অন্ধ---গুলিস্থানের বেশ্যার দালাল,
অথবা তাদের উত্তরসূরিরা ;
গেছো বানর, লেজকাটা শুকর, কিংবা তিন চোখা বিড়াল হয়ে।


সত্যকে ভালোবেসে যে কবি জীবন দিয়েছে,
তার পক্ষে অভিশাপই হোক,
আমাদের একমাত্র প্রতিবাদ।