অমলকান্তির মতো
আমিও যখন রোদ্দুর হতে চেয়েছিলাম,
তুই বায়না ধরে আমার হাত ছুঁয়ে বলেছিলি, 
তুই মেঘের দেশে যাবি।
আমি বললাম, 
মেঘ আর রোদ্দুরের মাঝে চিরকালের যুদ্ধ।
তুই বললি,
তোর ঠোটের কার্নিশে আটকে যাবে সব দ্বন্দ্ব ।
আমি তোর দিকে মুখ হা করে তাকিয়ে ভেবেছিলাম,
তোকে একটা লাল নীল আকাশ কিনে দেবো, 
ভাবনায় লেপটে দিবো তার সবগুলো বর্ণহীন রং,
তারপর আমরা উদ্বাস্তু পাখি হয়ে 
ডানা ঝাপটাবো ইচ্ছের অবেলায়।


অতঃপর সূর্যের দুয়ারে খিল দিয়ে,
তোকে নিয়ে আমি প্রবল বেগে চলবো
বর্ণীল রূপকথার দীঘল মেঘের দেশে।
সেখানে তুই মেঘ নীল শাড়ী পড়বি 
আর আমি নিশি-কালো পাঞ্জাবি।
আমরা ছায়াপথ ধরে 
হাতে হাত রেখে হাটবো একহাজার বছর।
তারপর বিয়ে, বাচ্চা-কাচ্চা ইত্যাদি ইত্যাদি।
এমনই ছিলো আমাদের ভাবনাগুলো। 


একদিন এক শ্রাবণ বর্ষণ রাতে,
তুই নীরব পায়ে আমার কাছে এসে বসলি ----বললি,
তোর বাবার বদলি হয়ে গেছে,
দূর কোন পাহাড়ি দেশে, 
যেখানে মেঘ আর পাহাড়, পাহাড় আর মেঘ
একই সাথে লুকোচুরি খেলে।
আর দেখা হবে না আমাদের, 
তারপর চলে গেলো বিশটি বছর,
কোনদিন আর দেখা হয়নি আমাদের, 
হয়তো হবে ও না আর।


সে দিনের পর থেকে 
আমি আর একটি বারের জন্য ও
রোদ্দুর হতে চায়নি।
তাই তোর আকাশটা ও কেনা হয়নি এখনো।