জাগবে তুমি জাগবে গলির মুখে
জীর্ণশীর্ণ বস্ত্রে  বসে থাকা লাভলু পাগল
জাগবো এই আমি,
যে আমি কুর্নিশ করে  শির নীচু করে
নীরবে হেঁটে যেতাম।


জাগবে শতবর্ষপূর্ণ বয়স্ক চাচাও
যে কাঁপতে কাঁপতে লাঠি ভর করে
দাঁড়াবে উন্নত মস্তকে
আর দৃপ্তকণ্ঠে বলবে, আমি এসেছি।


এবার শোধ করো আমার ঋণ
যে আমি অপেক্ষা করছি মহাকাল ধরে
, হিসেব মিলানোর আশায়।
বলো আমার অপরাধ
শোনাও অনাহারীর  অন্নের খবর।


জাগতে জাগতে জেগে যাবে দুধের শিশু ও
সেদিন দুধের জন্য ও কাঁদবে না
হামাগুড়ি দেবে না
মা মা বলে আঁচল তলে লুকাবে না
দাঁড়ানোর চেষ্টায় আঁকরে ধরবে
হাতের কাছে যা পাবে।


সেদিন ওর সাথে থাকবে জনম দুঃখিনী মা
শিশু শ্রমিক অনাথ বালকটি
শৃঙ্খল ভাঙবার হাতুড়ি দিয়ে
ভাঙবে জং ধরা তালা ভাঙবে তোমার তেজ।


সেদিন কেঁদেও ছাড় পাবে না
বাঁচবে না  সুরক্ষা কবজ বেঁধেও
সেদিন লম্বা লাইন হবে
সেই লাইনে থাকবে শুধু আওয়াজ,
জনস্রোতের পদধ্বনি।


আওয়াজ তুলবে  সবজি ওয়ালা,
ধ্বসে পড়া কংক্রিটে আধ মরা বল্টু
যে ছিল বস্ত্র শ্রমিক ;
অলাভজনক প্রতিষ্ঠানের দারোয়ান
যে কটকট করা টুলে বসে থাকতো
আর ভাবতো ভোর হবে
দেখো একদিন ভোর হবে।