অনন্ত দুঃখ অন্তরে- আমি ভালো নেই,
তুমি ছাড়া ভালো থাকা হবে না কখনো।
বিরহের লেলিহান শিখা সময়ের
পরতে পরতে দাউ দাউ করে জ্বলে।


মনের গহীনে খুঁজি প্রাণের স্পন্দন,
আকুলি বিকুলি করে বিরহীত মন।
ভ্রমরের মতো গুণগুণ সুর সাজাই,
তোমাকে শোনাবো বলে; ডাকি অহর্নিশ।


ঝর্ণার মতো চঞ্চল, শিহরিত হই
তোমার মুরতি হেসে, ভেসে উঠে প্রাণে।
শান্ত জলের ঢেউয়ে স্বপ্নগুলো নাচে,
গড়ে স্বপ্নের পাহাড়। তুমি তা জানো কী?


মনের আকাশ ঘন মেঘে ছেঁয়ে যায়,
আনন্দের ধারা বহে হিল্লোলিত মনে,
যখন পাশেতে রহো সারাটি সময়।
তুমি কি তা অনুভব করো, প্রিয়তম!


খামচে ধরেছে আজ অবাস্তব কল্পনা,
প্রকৃতির ছন্দে ছন্দে দোল খেয়ে যায়।
অন্তত একবার এসো, সে চেনাগলিতে,
মনের বাসনা জেগে থাকে পথ চেয়ে।


ফেরারি এ মন ছুটে যায় নীলিমায়,
বন-বনান্তরে তোমাকে পাওয়ার জন্য;
না পেয়ে ফিরে সে হুঁ হুঁ করে কাঁদে
হতাশার সুর তোলে জগতের মাঝে।


অর্ফিয়াসের বাঁশরী, হৃদয়-বিদারী
সঙ্গীতের সুর তোলে স্বর্গমর্ত্য ছেয়ে;
আমি যেন ইউরিডিস, কান পেতে শুনি;
অথচ, দুর্ভাগ্য বিরহ-অনলে জ্বলি।