সময় পেলেই দু’ফোটা অশ্রুজল
গড়িয়ে পড়ে দুখের জলেশ্বরে
তবুও দখিনা হাওয়া কভু উঁকি দেয় না
শুনতে চায় না মনের ব্যথা , হৃদয়ের কথা ।
মন পবনের নাও পাল তুলে ময়ূরপঙ্খী
সাজতে চায় না ; ইদানিং তাই নিরবধি এঁকে
বেঁকে বয়ে চলে চাপাব্যথার নদী ঐ দূর প্রান্তে।
যে দিকে দু’চোখ যায় যেতে পারছি না,
পিছুটান খাবলে ধরে ; হায় !জীবন তুমি কি?
মাঝেমাঝেই ভেঙে যাই কাঁচের টুকরোর মতোন
যে ভাঙন নদীর থেকেও সহস্র গুণ বেশি ,যা
কোনো গাম দিয়ে জোড়া লাগে না ।
উচ্চস্বরে আত্ম চিৎকারে প্রভুকে ডাকি
আর বলি বিধি আমার দুঃখ নিয়ে যাও না
বিনিময়ে একচিলতে পরম সুখ দাও ।
আমি চোখ বন্ধ করে প্রাণ ভরে
এক বুক নিশ্বাস নিতে চাই ,শান্তি চাই ।
বলতে বলতে সেজদায় পড়ে যাই,
তখন ভুলে যাই যত গ্লানি।
তবুও অজানা নোনাজলের ভারে
নুইয়ে পড়ে দুখের বিস্তর পাহাড়।