হারানো দিন কী ফিরে আসে আর!
হতাশা গ্রস্থ মন যে ভেবে যায় কতো কী
মনে মনে ভাবি"এই খানে এক নদী ছিলো"
ছোট্ট বেলার সেই নদীর নাম বুড়িগঙ্গা;
যার পাড় ঘেঁষে ছিলো বাঁশ কাঠ টিনের বাড়িটি
জলতরঙ্গের সাথে খেলা করতো নিত্য দিন।


কতো সুখ দুখ জঞ্জাল বয়ে বেড়াতো নদীটি।
তার বুকের ছিলো জল, ঢেউ,
ঢেউয়ের ভাঁজে ভাঁজে শোক পাখি কাতরাতো ;
ব্যথার আগুন চাপা দিয়ে রঙিন পাল তোলা নৌকা
বয়ে বেড়াতো, সাথী হতো বৈঠা হাতে বেরঙের মাঝি।
সাদামাটা জীবনের দুঃখের দলিল।


মাঝে মাঝে দূর থেকে ভেসে আসতো
ভাওয়াইয়া, ভাটিয়ালি গানের সুর  
মাঝির সুরের মোহনায় মাতাল হতো
তরীর খেটে খাওয়া
কৃষক, শ্রমিক কদাচিৎ শহুরে বাবু ;
খুঁজে পেতো খানিকটা অচেনা সুখ
মন পবনের নাও ছুটতো পঙ্খিরাজের মতোই।  


নিশিরাত বাঁকা চাঁদ, জোনাক পোকার পসরে
গন্তব্যে পৌঁছাতে শহরের কোলাহলে,
জুটতো কেনা-বেচার
হাঁটে  শহুরে মানুষের নানা ভোগ্য পণ্য।  
খুব মনে পড়ে সেই সব দিন...
পাবো কী ফিরে?


জমি বর্গা নিয়ে ঝুটঝামেলা,
এখনো কী পাওয়া যাবে শত মানুষের ভিড়ে
আগেকার দিনের কৃষিকাজের গতিধারা?
মানুষ মানুষকে ঠকায়, সরল বিশ্বাসে নিঃস্ব হয়
কতো শতো প্রাণ।প্রকৃতির তরে কতো পরিবার শেষ
হয়।কতোই কষ্টে কাটায় দিন।


মন কাঁদে হতাম যদি- তাদের দলে,
যাদের কথা ভেবে কাঁদে মন
যারা দুর্গন্ধময় পানিতে ভাসছে
কোথায় তাদের শোবার ঘর, শৌচাগার,
প্রার্থনা বা খাবার ঘর?


কীভাবে কাটছে তাদের জীবন? বয়স হলেও তার
ভারে নুইয়ে পড়িনি, নুইয়ে পড়েছি মানুষের চিন্তায়।
আহা জীবন! বড়োই বিচিত্র!
মনোবল নিয়ে হাঁটছি- বদ্ধ কূপে অজানা পথ
ডাকছে অহর্নিশ...