আমি এমনই!
যেমনটি চাও তেমনটি নই
তুমি চাও রোজ বাসন্তি রঙের শাড়ি পড়ে
বসন্তের কোকিল হয়ে
ডালে ডালে উড়ি
কুহূ কূহূ সুরে মাতিয়ে তুলি
তোমার চারপাশ।  
গহীন বনের অবুঝ পাখি হয়ে যাই,
তাই তো; হা হা হা...


জানো তো ,সবকিছুতেই পাণ্ডিত্য লাভ করা যায় না;
ভুল বিহীন মানুষ নেই।
আমার বেলায় তো কথায় নেই
ভুলে ভরা জীবন আমার,
শুদ্ধতার সাথে আজন্ম আড়ি;
তবে মিথ্যের সাথে আপোষ করি না।    


মানুষ হয়ে একে অন্যের রূপ ধারণ করা
বেশ কঠিন বৈকি।  
তাই বলছি -
যে যেমনটি তাকে সে ভাবেই চলতে দাও।
খোঁচাখুঁচি করে সময় নষ্ট না করাই শ্রেয়।


রোবট জীবন থেকে মুক্তি সবাই চায়।
শুধু কিছু শ্রেণির অমানবিক, নিষ্ঠুর প্রাণী
বাধ্য করে, পুরুষত্ব দেখায় নিজের কর্তৃত্ব
ফলাতে।        


কী অদ্ভুত তা!
অস্তিত্ব বলে একটা শব্দ আছে জানো প্রিয়?
নাকি নারী বলে তাও নেই ভাবো?
রবি ঠাকুর, নজরুল কিন্তু এভাবে দেখেননি,    
না না, আমি তা বলছি না; যে তুমি সে ভাবে দেখো না।
তোমাকে একটু মনে করিয়ে দেয়া, এই আর কী।  


কী যে অনুভবে জেগে উঠি ভোরে
একটি কবিতা লিখতে পড়তে
একজন কবি যেনো পৃথিবীর কারুকাজময়
ঝকঝকে আয়না।
ধরণীর বুকে যতো সুখ দুখের দলিল
মুহূর্তে সব ভেসে উঠে তাই না!


কিন্তু আমার দেখা এবং না দেখা
এ-ই যা। রোজই ভাবি গো
গোপন ব্যথা লুকিয়ে রাখবো  
অশ্রুজল তা ধূলিসাৎ করে দেয়।


ছোট ছোট কিছু কথা মনে দাগ কাটে
যা অতীব কষ্টের নিটোল হৃদয়ে
পর্বতসম আঘাত হানে, যা ভয়ংকর।


যাই হোক,
নারী বেগবান স্রোতের অনুকূল বা প্রতিকূল
সবদিকে তাল মিলিয়ে চলতে জানে।
তাই অবহেলা নয়, ভালোবাসার আঁচলে  
গিঁট দিয়ে রাখতে হয়,
সম্পর্কের যত্ন নিতে হয় অহর্নিশ।