সেই তো এলে বেলা গড়িয়ে
চায়ের চুমুকে পড়ন্ত বিকেলে
যখন জীবন সূর্যটা হেলে পড়েছে
হাঁটি হাঁটি পা করে এগিয়ে যাচ্ছো অচেনায়
যৌবানালো যখন আমার মাথার উপর
তির্যক ভাবে পড়ছে তুচ্ছ হেয়ালীতে  ।


জীবনানন্দের বনলতা তো নই
হতে পারিনি রবীঠাকুরের নন্দিনী!
তবে দোষের কী অমৃতসুধা পানে?
আঁধারের যৌবনে দিশা ঠাউর করা সহজ!
হায় !সময়ের স্রোতের ধারালো অসি
তোমার দায়ে কত কলি ফুটতে পারেনি
ঝরে পড়েছে কত পুষ্প-মঞ্জুরী,পত্র।


তুমি কী বুঝ না?নাকি বুঝতে চাও না
বৃক্ষ ছায়া দিয়ে শীতল করে কত প্রাণ?
হায়! সময় তুমি বড়ই বেরহম।
জানো তো কখনো কখনো ভাবি
আমার জাত কী? আমি কি মানুষ?


প্রিয়র ওয়ি প্রিয়ে কি পুনঃজন্ম নিবে?
যদি এমনটি হয়,তবে কথা দিলেম প্রিয়;
আমি শুধু তোমারই হতে চাই সখা
অসীম প্রেমানলে পুড়ে ছাই হবো
বিমল প্রেমে বাঁধা পড়ুক উড়ুক্কু মন।


এই তো জীবন!হোক না ছন্ন ছাড়া
বলতে চলতে খেলতে প্রেমেতে
বলে যায় কবি মন ভালোবাসি
ভালোবাসি এবং ভালোবাসি
হৃদয় অলিন্দে রাখি,পড়ন্ত বিকেলে ।