হে মানবদরদি তোমায় সহস্র প্রণাম
মানব কল্যাণে উৎসর্গ করেছ জীবন,
ঘরে ঘরে আজ তাহার সুনাম।
ধন্য নিকোলাস বোঝাঝিউ,
ধন্য রত্নগর্ভা দ্রানাফিল বার্নাই
অসহায় ,দুঃস্থিত মানব সেবায়
সহায়তার হস্ত সদা দিয়েছ বাড়াই।


কত যে মহান তোমার ভাবনা
তাই মানবের তরে হয়েছিলে সন্ন্যাসিনী
মানুষ জাতিকে করেছ সতত ঋণী
মানুষের দুঃখ-কষ্ট,দুর্দশায় আঘাত পেতে,
পবিত্র করেছিলে ভূমি জন্মে আলবেনিয়ার স্কপিয়েতে।
সেবাই ধর্ম ছিল তোমার স্বপ্ন
যার ফলপ্রসূতে জীবনটাই করলে জনকল্যাণে সমর্পণ।


অনাথ শিশুদের জন্য গড়েছ ‘শিশুভবণ’
শারীরিক ও মানসিক প্রতিবন্ধীদের জন্য গড়েছ,
‘নবজীবন’ আবাস স্থাপন।
বস্তির দরিদ্র শিশুদের জন্য খরচ করতে,
ছাত্রছাত্রীদের একদিনের টিফিনের পয়সা
সার্থক তোমার নাম “মাদার তেরেসা”।
হতে পারিনি তোমার মতো মনে শুধু লোভ-লালসা।


ভোজ সভা বাতিল করে খাওয়াতে যারা থাকতো ক্ষুধার্ত
তোমার সেবার দুয়ার ছিল যে আর ও কত
মৃত্যুমুখী, অসহায় মানুষের সেবায়,
উদার কোমল মনের অধিকারী তাই গড়েছ ‘নির্মল হৃদয়’।
কুষ্ঠরোগীদের জন্য প্রতিষ্ঠা করেছ ‘প্রেমনিবাস’ আবাসন
ধর্মের ফারাক,দেশের ভিন্নতা,জাতির পার্থক্য,
সব ভুলে রেখেছো কতো যে “অবদান”।

বিশ্ব নন্দিত উদার নিবেদিত প্রাণ
হে মানবদরদি বেঁচে থাকবে চিরকাল হয়ে অম্লান।


“মাদার তেরেসার” পরলোক গমনের স্মরণে  রচিত।