ছেঁড়া বস্ত্র পরিধানে
পাদুকা নেই চরণে,
খেয়ে না খেয়ে চলে দিনরাত
পরিচয় তার ফুটপাত।
বাবা না ফেরার দেশে
মা সুখের অন্বেষণে পরিশেষে,
টোকাই বলে পাড়ার লোকেরা
ছোট্ট ছেলেটি জীবন যুদ্ধে দিশেহারা।
এভাবেই কাটে চৈত্র-বৈশাখ
মা দুর্গা এলে বাজে ঢাক,ঢোল,শঙ্খ
যদিও অভাগা পায় না পূজার সাজ,
তবু ও উৎসবে মাতে ফেলে কাজ।
শারদীয়ায় তার মনে পুলক জাগে
গাইবে গান কে কার আগে
এসো,এসো মা ত্রৈম্বক্যে,
দেবী দুর্গা দূর্গতিনাশিনী
গ্লানি,দুঃখ,দুর্দশা বিনাশকারিনী।
এসো মা বসো ঘরে
"দুর্গোৎসব" এলো বছর ঘুরে,
আজ ধনী-গরিব এক হবে
জয়ধ্বনি করবে সবে।
ভক্তি,ভোগ,বিলাসে প্রাণে প্রাণে খুশির সুর
বিদায় হবে অশুভ অসুর
নাচে গানে মুখরিত শারদীয় উৎসবে,
দূুর্গা-দৈত্য,বিঘ্ন,রোগ,পাপ,ভয়-শক্তি দূর করবে।
আজ সার্বজনীন ভাবে দুর্গা উৎসবে হবে যে মহামিলন
যত্ন করে গড়বে যে মায়ের আসন,
টোকাই আজ ভাসবে সুখের বন্যায়
বিশ্বে শুধু শান্তি আজ দূর হবে যত অন্যায়।