(বিঃদ্রঃ বাস্তব ঘটনা অবলম্বনে রচিত)


মৃত্যুর যন্ত্রনায় বিছানায় দীর্ঘপথ,
কিছুতেই যেন চলছিল না মানব রথ।
দুজন দুগ্ধশিশু অবিরত অনাহারে, অনাদরে,
প্রাণের স্বামী কাজের খোঁজে দূরে।


আত্মীয় পরিজন মুখ নিল ফিরিয়ে,
মরণ বেরামে ধরে নাকি সেই ভয়ে।
বড় বড় চোখে তাকিয়ে বলে-
ওরে বাছা গলাটা ভিজিয়ে দেনা একটু জলে।


ঘটিতে জল নেই বাছা কেঁদে কয়,
খাবার ও নেই ঘরে পরাণ আর নাহি রয়।
ফিসফিসিয়ে বলে বড় মেয়ের কথা,
একবার যদি দেখতাম কমতো মনের ব্যথা।


খবর পেয়ে দৌড়ে আসে প্রাণের সন্তান,
কিছুতেই মায়ের শিয়রে গেল না ,অবাক প্রাণ।
এভাবেই প্রাণ পাখি খাঁচা ভেঙে গেল উড়িয়া,
কিসের দুনিয়া অঝোরে কাঁদে তার হিয়া।


বাতি ছাড়া কুঁড়ে ঘরে লাশ রইল পড়ে,
দুগ্ধ শিশুরা ঘুমিয়ে পড়ে মায়ের মৃত দেহের উপড়ে।
ছটছট করে প্রাণের স্বামী মাঝরাতে আসে,
বউয়ের মুখবদন খানি কেন জানি দু,নয়নে ভাসে।


বিদায় ক্ষণে হল না প্রিয় “শেষকথা”
মরণ বেরামে নিল না কেন মনের ব্যথা।
কাঁদে মন কাঁদে প্রাণ কাঁদে আমার হিয়া।
বিপদে অন্যের পাশে থেকো পরাণটা দিয়া।