আলোকিত প্রভাতের উৎকৃষ্ট বাসনা জাগে
ধার শোধ করার,
শিরোনামহীন ঠিকানায় ডাক আসে
কেউ আছো?
বাড়িতে কেউ আছো?
বার বার ডেকে যায়...
নিরুত্তর।


গতিহীন ভাবে ব্যোম মাথায় নিয়ে ফিরে যায়
অনুমতির দরজায় ঠকঠক শব্দ করে ও
কর্জ শোধ করার ব্যর্থ প্রয়াস।
তম ঘিরে ফেলে চারপাশ তবু
দীপ্তিময় তনয়া বিহগ হওয়ার স্বপ্ন দেখে,
হিল্লোল জাগে প্রাণে  
কায়াতে ক্লান্তির ছাপ ফেলতে পারে না;
বিরামহীন ছুটে চলে।
    
ঋণ শোধ করতেই হবে।
চোখেমুখে হতাশার ছাপ স্পষ্ট
পথ ব্যঙ্গ করে, কতো আর ছুটবে পথিক?
যাবার যে হলো সময়!
অনেকটা পথ ফেলে এসেছো  
বৃক্ষরাজি নীরবতা ভেঙে উচ্ছ্বাস করে;
বিচলিত হয়ে দৌড় দেয় পথিক
পথ যে তারে ছাড়ে না।


তবে কি কিছু ঋণ শোধ করা যায় না?
এটাই ঠিক?
ভাবতে ভাবতে প্রদীপের আলো নিভে যায়...
পরে রয় শুধুই হতাশা
আর ঋণের বোঝা।