মিষ্টি হেসে কথা বলে মনটা কেড়ে নেয় যে সে
নীতির কথা বলে কতোই মানে না যে নিজেই সে।
সেই ছেলেটি প্রেম বিলিয়ে ঘুরে বেড়ায় নিত্যদিন
তার বিরহে পাড়ার মেয়ে গাল ফুলিয়ে হয় মলিন।
কবি হয়ে কাব্যে আনে সুর-ছন্দ মান অভিমান!
ঘুম ভেঙে সে পদ্য লিখে রোজই ভাঙায় প্রিয়ার মান।


তার হাসিতে ঝরে পড়ে পদ্ম পাতার ফুলকলি
সকল আঁধার যায় যে কেটে ভিড়টি জমায় সব অলি।
মেঘের উপর মেঘ রেখে সে সাজায় মনের আকাশখান
আগুন ঝরা ফাগুন আসে পাখিরা গায় জয়গান।
জলের ধারা বয়ে চলে মনের যতো দুখ ভুলে
আনন্দেরা জলকেলিতে মেতে উঠে নীল  জলে।


জীবন নদী রয় না থেমে যায় অবনীর পাড় ঘেসে
সুখের ঘরে দুখের নদী মিলে রয় ভালোবেসে
আবার যদি আসি ফিরে প্রিয় এই না বসুধায়
পরম সুখে বাঁধবো যে ঘর মন আঙিনার সীমানায়।
তখন কিন্তু ফুল পাখিরা সুর বীণাতে তুলবে সুর
মেঘের ভেলায় ভেসে যাবো দূরের থেকে বহুদূর।