খানিক তো কর্ম করো, বিশ্বব্যাপী নাম করো।
মানব রুপে জন্ম হয়েছে, জন্মটাই সার্থক করো।
কাজ-কর্মে বিলীন হয়ে, মনকে খানিক শান্ত করো!
খানিক তো কর্ম করো।।
দোষী কেন নিজেই হবে, দোষারোপ কাকে দেবে?
সর্ব রুপে ইশ্বর মানব , বিশ্বব্যাপী লক্ষ্য করো!
জন্মটাই সার্থক করো;
খানিক তো কর্ম করো।।
মানব রুপে জন্ম নিয়ে নিরাশায় কেন মুখ ঢাকো?
বদ্ধ ঘরে আটকে রেখে মুক্তিপণ কেন করো! মনকে কেন নিরাশ করো?
নিরাশা খানি ছেড়ে বেঁচে, খানিক কর্ম যুক্ত করো!
খানিক তো কর্ম করো।।
অন্ত আত্মার ডাক শোনো খানিক তো উপলব্ধি করো, জীবন টাকে ব্যর্থ না করে স্থির লক্ষ্য স্থাপন করো!
খানিক তো কর্ম করো।।
সত্য রুপে কর্ম করো, ফলের আশা না করো, সময় ঠিক মূল্য দেবে;
মন স্থির লক্ষ্যভেদ করো।
খানিক তো কর্ম করো।।
বিশ্বব্যাপী লক্ষ্য করো, নয়ন জোড়া অন্ধ করো, নিজের চালন নিজেই করো , চালক রুপে কর্ম করো।
খানিক তো কর্ম করো।।
সর্বত্র প্রাপ্তি আছে, তবে কেন আশায় বাঁচে? জীবন সুধা পান করে জীবন 'বরদান' , 'অমরত্ব' করো।
খানিক তো কর্ম করো।।
কর্ণপাত হয়ে থাকুক , এমন কর্ম করে রেখো ; দোহাই খানা না দিয়ে,
জীবন মূল্য বিলী করো।
খানিক তো কর্ম করো।।
মরন যখন আসবে পিছে, শরণ যেন
কর্ম করে।
পরলোক থেকে যমলোক আসুক কর্ম যেন গর্ব করুক !
মরনোত্তর  নাম করো!
খানিক তো কর্ম করো।।
কালা-গোরা , উচু-নিচু পরম ইশ্বর জানেন না! ভেদাভেদ ভুলে গিয়ে ;
নিজ কর্ম নিজে করো।
খানিক তো কর্ম করো।।
দেখ স্বপ্ন, উপচে পড়ুক অলভ্য প্রাপ্তির আশায়!
নিত্যনতুন জীবনটাই মনস্থ সদা করো।
খানিক তো কর্ম করো।।
পুঁথি পত্রের আড়াল হতে আরো একটি জগত হাসে !
অন্ত আত্মার ডাক শুনো।
খানিক তো কর্ম করো।।
বিশ্বব্যাপী নাম করো ।।