কামরুন নাহার রুনু_-এর কবিতাwww.bangla-kobita.com ওয়েবসাইটে কামরুন নাহার রুনু_-এর প্রকাশিত কবিতাসমূহ।uuid:2782cc4c-711d-4403-b8f7-50c47540831c;id=12962024-03-29T01:38:42Zhttps://www.bangla-kobita.com/runu123/post20160721065755/কাব্যফুল2016-07-21T18:58:25-04:002023-06-26T02:20:12-04:00কামরুন নাহার রুনু_https://www.bangla-kobita.com/runu123/<p>তোমার জ্বলন্ত সিগারেটের ধোঁয়াটে কুন্ডুলীতে <br />যতই অদৃশ্য চুম্বন আঁক <br />কাব্যফুলের গন্ধে মাতাল আমি কিছুতেই জাগবোনা।<br />নিজেকে অন্ধ করেছি শুধুমাত্র কাব্যের জরায়ুতে ফসলের <br />অধিকার স্থাপন করবো বলে<br />আমি ফলবতী হতে চাই! <br />আমার ভেতর জন্ম হোক প্রত্যাশার আগুন,<br />শত-শত রহস্যের ঢেউ ডিঙিয়ে রোদের চিবুকে এঁকে যাবোই <br />একটি সাজানো পাঠশালা। <br />যেখানে তোমার মাঝে অসংখ্য মৃত্যু জন্মেছে,সেখানে <br />অঙ্কুরোদগমে আশাবাদী আমি শতাব্দীর জানালায় <br />পুঁতে যাবো আগামির বীজের উচ্ছ্বাস।</p>@ 2024 - কামরুন নাহার রুনু_https://www.bangla-kobita.com/runu123/post20160412042806/এই বোশেখে ঘুমন্ত আমি2016-04-12T04:28:45-04:002023-06-26T02:20:12-04:00কামরুন নাহার রুনু_https://www.bangla-kobita.com/runu123/<p>গভীর ঘুমে অচেতন দেখে, হাসছে জানি পরিজন-রা <br />ফরমালিনের যুগে এই ভালো আমি জেগে নেই<br />মৃত আমি; তাই গভীর আনন্দে গায়ে মাখিনি উষ্ণ তালের গন্ধ! <br />কিংবা সঙ সেজে বেআব্রু করতে দেইনি মানবতাকে। <br />চারদিকে এত-যে লোক-দেখানো বোশেখের নগ্ন নৃত্য<br />এতো-যে বিজ্ঞাপনী রমণীর সুডৌল বুকের মাপ-ঝোক <br />আর অহেতুক রঞ্জিত শুভেচ্ছাবানী; <br />ক্রমাগত তলিয়ে যাওয়া এমন মায়ারাজ্যে আমি তাই<br />ক্যলান্ডারের বৈশাখী ঝড় বুকে তুলে নিতে চাইনি। </p>
<br /><p>যদিও প্রকৃতি মহাকালের ধারায় তার দীর্ঘপথ জুড়ে <br />কখনও চুমু খায় মেঘের লিরিখ-নীলে কিংবা বৃষ্টির পিঠে চড়ে<br />মনের মাধুরী মিশিয়ে মাটির সাথে করে আলিঙ্গন। <br />ঝড়ো হাওয়ায় উড়ায় আঁচল,পাতায় পাতায় সবুজ বর্ণমালা ছড়ায় <br />আসে গ্রীষ্ম, আসে বৈশাখ তার নিজস্ব নিয়মে <br />ভাসায় কারুকার্যশোভিত সময়ের রহস্যধ্বনি! <br />তবু এই ভালো, এবারের বৈশাখে আমি বাতাসে উড়ে যেতে দেখিনি <br />মানবিক কসাইয়ের ধনুতে বিদ্ধ হওয়া; <br />ছিন্ন-ভিন্ন আলোর পাখির পালক। <br /> <br />কারণ এই বোশেখে আমি মৃত্যুর কোলে ঘুমন্ত কেউ।</p>@ 2024 - কামরুন নাহার রুনু_https://www.bangla-kobita.com/runu123/post20160407041225/ব্যাকরণ শিখিনি2016-04-07T04:13:02-04:002023-06-26T02:20:09-04:00কামরুন নাহার রুনু_https://www.bangla-kobita.com/runu123/<p>রতিশাস্ত্র মুখস্ত করেছি, লোভ-পিপাসার তরিকা রপ্ত করেছি <br />কিন্তু মানুষ হবার ইতিহাস কিংবা ব্যাকরণ শিখিনি<br />তাই ভেতরের কঙ্কালটি বারবার সভ্যতার নাগপাশ কাটিয়ে <br />প্রতিদিন আহারে চায় এক-একটা সোহাগী<br />আমার ভেতরের কদর্য ঢিবিতে এতোটাই মোহন প্রহসন জমেছে যে<br />কচি মাংসের গন্ধে আমি নান্দনিক ধ্বংসের দিকে<br />ক্রমাগত ক্ষমতাধর হয়ে উঠি। </p>
<br /><p>সময়ের মহা-সড়কে পুঁতে রাখি শবদেহ জীবন্ত আত্মার <br />যাদের অনুভবে শরীর মনের কোষে কোষে উষ্ণ সুঁড়সুঁড়ি জাগে <br />আমার লোলোপ দৃষ্টি জুড়ায় দীঘলদেহী পুরুষালি আবহ<br />আর এভাবেই মৃত্যুর নীরবতা ছুঁয়ে কুড়াই সঞ্জীবনী শক্তি <br />যতই বলো সভ্যতার ফালিতে জন্মেছে <br />সংগুপ্ত বিষবৃক্ষ,ঘুণপোকা,আমি ততই হই শক্তিশালী<br />ছড়াই কালো বীজের উচ্ছ্বাস।</p>@ 2024 - কামরুন নাহার রুনু_https://www.bangla-kobita.com/runu123/post20160401043949/অভিমান2016-04-01T04:40:24-04:002023-06-26T02:20:09-04:00কামরুন নাহার রুনু_https://www.bangla-kobita.com/runu123/<p>সদ্য বিধবা পূরবীর সাদা শাড়ীর আড়ালে ছিলো<br />ছোপ ছোপ রক্তের দাগ,কারো চোখে পড়েনি <br />যেমন খড়কুটো সরালে বড় অনাদরে মাটির বুকে জেগে থাকে<br />আঁকড়ে থাকা কিছু নামহীন চাপা অভিমান<br />পড়ে থাকে শ্বাসহীন কিছু প্রত্যশা। </p>
<br /><p>যদিও পাল্টেছে সময়ের বাঁক<br />চকচকে বালিতে ঢাকা পড়ে গেছে চোখের বেগুনী রশ্মি <br />তবু একবার নদীর আক্রোশে ভেঙে যাওয়া ভিটেমাটি <br />আসেনা ফিরে অতীতাশ্রয়ী নিজস্ব আঙিনায় <br />যেখানে কেবল থেকে যায় ক্রমাগত ঘাসের আর্তনাদ। </p>
<br /><p>প্রতিদিনের মতো চলে ঝাঁক ঝাঁক মাছরাঙা <br />স্ফটিক জলের স্পর্শ মেখে ফোটে কত ভাঁটফুল <br />ক্ষয়িষ্ণু নদীতটে মরীচিকার দামে অপেক্ষায় রয়ে যায়<br />কিছু নির্বাক উপোসী ঠোঁট, টলমল চোখ,কিছু ফিকে অনুভূতি<br />বন্ধ্যা প্রহরের দিকে যাত্রা করে অচেনা স্বপ্নের লাশ।</p>@ 2024 - কামরুন নাহার রুনু_https://www.bangla-kobita.com/runu123/post20160326073335/স্বাধীনতা তোমার সাথে কথা ছিলো ঢের2016-03-26T07:34:09-04:002023-06-26T02:20:09-04:00কামরুন নাহার রুনু_https://www.bangla-kobita.com/runu123/<p>কথা ছিলো অনেক কথা, কথা ছিলো ঢের <br />মায়ের দুগ্ধ আহারে যে স্বাধীনতা,তার হিসাব দেয়ার কথা নয় কোন শিশুর! <br />শীতের প্রকোপে সূর্যের ওম বুকে জড়িয়ে আলোর নির্যাসে নিজেকে জড়ানোর কোন হিসাব কাউকে দেবার কথা ছিলো না কোন পাতা কুড়ানির! তোমাকে পাবার পর, অসমাপ্ত সিগারেটের আগুনে ষোড়শীর সতেজ চেহারা গুচ্ছ গুচ্ছ মৃত ফুলে রূপ নেবার কথা ছিলো না। তাই, আজ তোমার সাথে ঢের কথা বলার ইচ্ছে আমার! </p>
<br /><p>তুমি হয়তো ধ্বসে যাওয়া বুভুক্ষু শতাব্দীর পাটাতনে চাপা কান্নায় ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কাঁদছো; তুমি হয়তো প্রসবকালীন ব্যথা ভুলতে পারছো না, আর অভিমানে আমাদের দিকে তর্জনী নিক্ষেপ করছো। আমিও আজ এই স্বাধীনতার দিনে উনপাজুঁরে স্বপ্ন-ভাঙা ওইসব মানুষের একজন। যাদের স্বপ্ন ও পতাকায় বিষবৃক্ষ জন্মেছে। সময়ের মহা-সড়কের এখানে-সেখানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে জায়গা করে নিয়েছে কদর্য শ্বাপদের ঢিবি। </p>
<br /><p>তাই, তোমার সাথে ঢের কথা বলার ইচ্ছে আমার। আমিও চেয়েছিলাম তোমার আগমনে চিরযৌবনা হয়ে প্রতিটা খেটে-খাওয়া মানুষের শ্বেত-সিক্ত ললাটে পরম যত্নে চুমু এঁকে দেবো। আমিও চেয়েছিলাম সময়ের সব ভুল পৃষ্ঠা ছিঁড়ে শুদ্ধ অণুচ্ছেদে নতুন করে জীবনের সংজ্ঞাও ব্যাকরণ পাবো। </p>
<br /><p>কথা ছিলো অনেক কথা, কথা ছিলো ঢের।</p>@ 2024 - কামরুন নাহার রুনু_https://www.bangla-kobita.com/runu123/post20160324050620/তনুরা মরে গিয়ে বেঁচে যায়2016-03-24T05:07:27-04:002023-06-26T02:20:09-04:00কামরুন নাহার রুনু_https://www.bangla-kobita.com/runu123/<p>( তনু তুমি যেখানে থাকো ভালো থাকো মেয়ে) </p>
<br /><p>তনুর রক্তাক্ত ছবির ভেতর কি দেখছ?<br />এখন তো আর সেলোয়ারের গিট খোলা নেই! <br />তনুরা মরে গিয়ে ছবিতে আসে, ওরা বাঁচেনা <br />ওরা বার বার বলে যেতে চায় <br />তোরা এখনও মানুষ হোসনি, নির্লজ্জ লালসার ফণা<br />তোরা এখনও মানুষ হোসনি! <br />তনুরা মরে গিয়ে মানচিত্রে অভিসন্তাপের<br />গাঢ় লাল-রঙ এঁকে দিয়ে যায়। </p>
<br /><p>বড় বড় কবি, রাজনীতিবিদ, মানবাধিকারের রক্ষক আছেন<br />বছর বছর কত উপাধিতে উপাধীত, আহা! কি হবে তাতে? <br />কি-বা হচ্ছে এমন মানুষ জন্মে? <br />মানুষের নামেই প্রতিদিন জন্ম নেয় যে লোভাতুর চোখ,<br />যা দেখে আঁতকে ওঠে পশু-পক্ষী,বনের চিতা <br />তবু মানুষ খুব স্বাভাবিক , যথারীতি চলছে প্রাত্যাহিক কার্যকলাপ <br />চোখে কয়েক ফোঁটা ডিজিটাল গ্লিসারিন মেখে হা-হুতাশ! <br />কারণ ওদের নামে লেভেল সাঁটা আছে<br />ওরা মানুষ! ওরা কি আসলেই মানুষ? </p>
<br /><p>তনু তুমি মরে গিয়ে বেঁচে গেছো <br />তনুরা মরে গিয়ে বেঁচে যায়, <br />নয়তো আমাদের ভেতরের লম্পট<br />তোমাকে প্রতিদিন পিষে পিষে মারতো<br />তনু তুমি মরে গিয়ে বেঁচে গেছো। </p>
<br /><p>(২৩/০৩/২০১৬)</p>@ 2024 - কামরুন নাহার রুনু_https://www.bangla-kobita.com/runu123/post20160319053521/চাওয়া পাওয়ার গল্প2016-03-19T05:35:53-04:002023-06-27T14:15:56-04:00কামরুন নাহার রুনু_https://www.bangla-kobita.com/runu123/<p>বৃষ্টি তো চাইনি, চেয়েছিলাম একটুকরো শিরশিরে বাতাস<br />যেখানে দুলবে শাড়ির সোনালী আঁচল, খসে যাবে মখমলে সুতার আঁশ<br />ঘাসের আঙ্গিনা জুড়ে পাতাগুলো নূপুর পায়ে<br />চঞ্চল হয়ে উড়ে যাবে আমার চারদিকে।</p>
<br /><p>বৃষ্টিতে ভেজা দুর্বোধ্য জল আমি চাইনি যা ভাসায় চোখের কাজল<br />চেয়েছি বাতাসে দোলাক রেশমি খোঁপা, কেঁপে কেঁপে উঠুক নিরালা দুপুর <br />আঙ্গিনা জুড়ে বেলী ফুলের মৌ মৌ গন্ধে ঘাসে এসে ভিড় করুক<br />প্রজাপতির উষ্ণতায় রঙিন কিছু রঙ। </p>
<br /><p>ওই নিদারুণ বৃষ্টির ছলে আজ ভাসাতে চাইনি চোখের লবনাক্ত জল <br />নিভাঁজ শাড়ির আঁচল উড়ে উড়ে যাক এই ভবঘুরে সোনার আলোয়<br />প্রাঙ্গণে আসুক বসন্ত এলোমেলো করে দিক<br />নিত্যকার ঘোমটা পরা অভিমান। </p>
<br /><p>বৃষ্টির জলে হারিয়েছি কবে আমার কাগজের নৌকা, হারালাম হাতের পুতুল <br />আজ অকারনে হাসিতে লুটুপুটু লাল চুড়ির ঝনঝনানি আমার সরব শৈশব<br />এবার আসুক বটবৃক্ষে জড়ানো স্বর্ণলতার শরীর জুড়ে <br />হলুদ কথক নৃত্য, তৃষ্ণার্ত আলোর রেখা। </p>
<br /><p>আজ আর দীর্ঘশ্বাস নয়, বুকের গাঁথুনি হোক সোনা রোদে টলমল<br />আজ আর বইয়ের চাপে পরা মৃত গোলাপ নয়, কোন স্মৃতি কথা নয়<br />বিষাদের ছায়া নয়, আজ হোক রচিত<br />উর্বর পলিতে ভরা গোছানো ঘর বাড়ি আর সবুজ শস্যে ভরা চাতাল।</p>@ 2024 - কামরুন নাহার রুনু_https://www.bangla-kobita.com/runu123/post20160313043149/জীবন বদলায় মৃত্যুস্বাদে2016-03-13T04:32:35-04:002023-06-26T02:20:06-04:00কামরুন নাহার রুনু_https://www.bangla-kobita.com/runu123/<p>(শ্রদ্ধাঞ্জলি: কবি রফিক আজাদ। তিনি বেঁচে আছেন তাঁর কাব্যে)<br /> </p>
<br /><p>রাস্তা বদলে যায় নতুন বাঁকে<br />মানুষের মনও বদলায় জানি, আবহাওয়া, জলবায়ু সব বদলায়<br />আয়নায় চেহারা বদলায়, প্রশ্নের হিসাব খুঁজে আগামির ইতিহাস <br />বদলে যায় সব, তবু নিঃশ্বাস চলে বুকের অলিগলি পথ ছেয়ে। </p>
<br /><p>তাঁর চশমাটা কি আছে টেবিলে?<br />সেগুন কাঠের আলমারিতে ভাঁজকরা সিল্কের পাঞ্জাবী<br />টেবিলের উপর শেষ লেখাটির পাণ্ডুলিপি আর কলমের অচেতন শরীর <br />জীবন বদলায় মৃত্যুস্বাদে,হয় ইতিহাস।</p>@ 2024 - কামরুন নাহার রুনু_https://www.bangla-kobita.com/runu123/post20160307125729/সাত রঙ2016-03-07T00:58:01-05:002023-06-26T02:20:06-04:00কামরুন নাহার রুনু_https://www.bangla-kobita.com/runu123/<p>(১)</p>
<br /><p>সমুদ্র-স্নান করতে চাও <br />তবে দুঃখ দাও! আরও দুঃখ দাও! <br />মানুষতো পাথর নয়! হবে উপত্যকা। </p>
<br /><p> (২)<br />তুমি ছুঁয়ে দিলে বিষ-গন্ধী জিব্বার ছোবলে <br />বুকের ভিটায় মুহূর্তেই চন্দ্রগ্রাস হবে।</p>
<br /><p>(৩)<br />যুবকের আঁকাবাঁকা দৃষ্টি <br />পুড়িয়ে দেয় হেমন্তের সোনালি ফসল। </p>
<br /><p>(৪)<br />আবেগের কথা বলতে গেলে<br />নদীই বেশি আবেগী। <br />আর যদি বলো সোহাগি<br />তার আর এক নাম মেঘ হতে পারে। </p>
<br /><p>(৫)</p>
<br /><p>জন্মের পাশাপাশি <br />মৃত্যু শব্দটা খুব মানানসই<br />কারন সূচনা মানেই সীমান্তের অপেক্ষা<br />জন্ম মানেই মহাকালের কাছে আত্মসমর্পণ। </p>
<br /><p>(৬)</p>
<br /><p>মহাকালের মুখাপেক্ষী আমি জলের কান্নাচোখে <br />ঝর্ণাধারায় আত্মসমর্পণ করবো মেঘের কাছে ।</p>
<br /><p>(৭)</p>
<br /><p>ক্ষুধা পেলেই কানে আসে ফুটন্ত ভাতের শব্দ <br />জন্মান্ধ আমি খুঁজি মানুষের ভেতরের বর্ণমালা<br />মিত্রতা খুঁজি জলের মাঝে বৃষ্টির ছন্দে।</p>@ 2024 - কামরুন নাহার রুনু_https://www.bangla-kobita.com/runu123/post20160303033619/কালের পথিক2016-03-03T03:36:50-05:002023-06-26T02:20:06-04:00কামরুন নাহার রুনু_https://www.bangla-kobita.com/runu123/<p>হতে পারে ক্যালেন্ডারের পাতা ছিঁড়ে গেলে <br />দিন-মাস আর তারিখগুলো থেমে থাকে<br />তাই বলে কি ক্রমবর্ধিষ্ণু সময় থেমে যায়?<br /> <br />আজ ভেঙে গেছে আয়নাবন্ধু <br />দূরে চলে গেছে পরিচয়, মুখচ্ছবি <br />সময়তো আর থেমে থাকে না<br />সে কেবলি বৃক্ষলতায় জড়িয়ে বেড়ে ওঠে<br />নতুন আলোর খোঁজে, নতুন কোন আহ্বানে! </p>
<br /><p>জীবনসূত্র সংজ্ঞায়িত, জন্মমৃত্যু মাঝখানে তার <br />লতায়-পাতায় ঘিরে থাকে বুকের বুনন <br />কিছু থাকে ধোঁয়ায় ঢাকা, কিছু নামহীন সর্বনামে <br />কিছু সাপ-লুডু আর ক্যারাম খেলায়।</p>
<br /><p>আমি কালের পথিক জীবন ভাসাই <br />শঙ্খগুঁড়ো জলের স্রোতে।</p>@ 2024 - কামরুন নাহার রুনু_https://www.bangla-kobita.com/runu123/post20160227031358/সময়ের আবেদন2016-02-27T03:14:46-05:002023-06-26T02:20:03-04:00কামরুন নাহার রুনু_https://www.bangla-kobita.com/runu123/<p>জীবনের ষোলকলা অনুভূতিতে ক্রমশ পালাচ্ছে জীবন<br />যদিও ব্যক্তিগত দর্শন মূলত প্রত্যেকের নিজস্ব<br />তবু কোথাও না কোথাও<br />একটা অলিখিত সমন্বয় রয়ে যায়। </p>
<br /><p>শৈশব কৈশোর যৌবন কিংবা বার্ধক্য নামের সাঁকো <br />ডিঙ্গিয়ে চলে প্রতিটা মানুষের অনাগত সময়, <br />ভালোবাসা আর বিশ্বাসের হাত ধরে<br />বাঁচার চেষ্টা থাকে মানুষের সময় বন্ধনীর। </p>
<br /><p>অন্ধকারে মুখ থুবড়ে পড়ে থাকা অকর্তব্যগুলো খসখসে<br />সমস্ত স্পর্ধা ডিঙ্গিয়ে আলোর প্রস্তাবে<br />জীবনের মূল সংজ্ঞা কিংবা যতিচিহ্ন আঁকে<br />বনস্পতি বৃক্ষদের ছায়ায় নিষ্পাপ কথালিপি।</p>@ 2024 - কামরুন নাহার রুনু_https://www.bangla-kobita.com/runu123/post20160220044849/একুশ মানে হৃদপিণ্ডে মা2016-02-20T16:49:12-05:002023-06-26T02:20:03-04:00কামরুন নাহার রুনু_https://www.bangla-kobita.com/runu123/<p>একুশ এলেই এ-ঋতু হয় রক্তিম! <br />বাসন্তী আবেশে কোকিল গায় বিষাদগীতি ! <br />আজ রক্তক্ষরণের শোকে বিবহল রক্তিম পলাশ<br />বুক জুড়ে তোমারই সন্তানের টগবগে রক্ত-মাখা অক্ষর দিয়ে <br />মিনারের প্রতিটা সোপানে সোপানে লেখা আছে অ, আ, ই , ঈ! <br />জানি আমি জানি, আমি সব জানি মা! <br />তোমার চাতালে মুক্ত বাতাস ছড়ানোর উর্বর বিশ্বাস ছড়াতে<br />দেহ-মাটি- সুধা সবই দিয়েছে উজার করে তোমার সন্তানেরা <br />তাই আজ নির্ভয়ে নূপুরের ঝঙ্কার তুলে<br />মা! মা!মা! এমন মধুর নাম ডাকার অধিকার খুঁজে পাই মাগো! </p>
<br /><p>ওরা রেখে গেছে রাস্তায়, ক্যানভাসে,পথে-প্রান্তরে<br />কারাগারের দেয়াল জুড়ে ছোট্ট শব্দ মায়ের মিষ্টি রঙতুলি! <br /> সালাম, রফিক,জব্বার নির্ঘুম চোখে কান পেতে আছে মাগো <br />যেনো ফাগুন এলে আর না হয় রক্তের খেলা!<br />আর যেনো না হয় গড়া, কোন একুশের তারিখে নতুন মৃত্যুফাঁদ! <br />আমরা কি পেরেছি, প্রথম চিৎকারে ডাকা মা শব্দকে বাঁচিয়ে রাখতে? <br />আমরা কি পেরেছি, অকালে মাটির বুকে পাতাঝরা থামাতে?<br />শ্রমিকের একখণ্ড রুটি কিংবা তাদের নগ্ন শরীর ঢাকতে?<br />এখনও পদে পদে মা-মাটির বুকে বয়ে যায় আশ্চর্য-রকম রক্তের ঢল!</p>
<br /><p>একুশ তাই এখনও কাঁদে ; সারা বছর জুড়ে কাঁদে! <br />একুশ নয় শুধু সংখ্যার গণনা, নয় কোন তারিখের হিসাব, <br />একুশ মানেই আপনের শূন্যতা,একুশ মানেই নিজেকে চেনার প্রতিশ্রুতি! <br />একুশ মানে হৃদপিণ্ডে মা!!</p>@ 2024 - কামরুন নাহার রুনু_https://www.bangla-kobita.com/runu123/post20160214035818/তুমি বিশের কোঠায় আমি অষ্টাদশী2016-02-14T04:00:28-05:002023-06-26T02:20:03-04:00কামরুন নাহার রুনু_https://www.bangla-kobita.com/runu123/<p>পরের জনমে যখন তুমি বিশের কোঠায় ,তখন আমি অষ্টাদশী <br />আগাম দিনে বৃষ্টি নিয়ে মেতে রবো, আমি তুমি দুজন মিলে<br />সুযোগ পেলেই বিছিয়ে দেবো কনকচাঁপার হলুদ পরশ <br />উঠোন ভর্তি কোমড় জলে, কেমন হবে? বললে নাতো? <br />বাতাস তখন উড়ো উড়ো চুল,গল্প লিখবে হেলেদুলে! <br />পরের জনমে তুমি শুধুই আমার হবে, গুটিসুটি স্বপ্নগুলো <br />আর হবে না এলোমেলো, এখন থেকেই গুছিয়ে নেবো<br />কেমন হবে তাতো বল? থাকবে মনে? <br /> <br />পরের জনমে বাড়ন্ত রোদ, অযুত ভালবাসার সাক্ষী হবে<br />দীঘলদেহী ভালবাসার শরীর জুড়ে কেবল রবে<br />ধুপের গন্ধ, ফাল্গুনী সুখ, দুষ্টু পাখির মৌটুসি গান! <br />পরের জনমে শুধুই তুমি আমার হবে, বুক খামচে ধরা <br />কাম সুরভী, তরুন ফুলের অধর ছোঁয়া লুকোচুরি <br />যেন, ঘাসের বুকে লেপ্টে থাকা শিশির কণা, নদীর জলে<br />ঢেউয়ের আবেগ, মহুয়া বনে জ্যোৎস্না-মাখা আলোর পরশ। </p>
<br /><p>পরের জনমে আসবোনা আর ন্যাড়া ছাঁদে, দুজন মিলে<br />ঘর বানাবো বন-পাহাড়ি সুবজ মায়ায়, ঘাসের ঠোঁটে হাসি রবে<br />উদোম হাওয়ায় নড়েচড়ে দোলবে তখন ভালবাসার মিহিন সুতো<br />দুজন মিলে পড়ে নেবো কলস কাঁকে মেঘ আকাশির ঠোঁটের বানান, <br />কান পেতে শুনবো দুজন, জলের কথন, নক্ষত্রের গান<br />এ জনমে গুছিয়ে নেবো, আগাম দিনের বুকের বুনন, সময় নাটাই! <br />উঠোন জুড়ে কাব্য রবে, বুনবো ফসল সবটুকু তার<br />দুজন হবো মগ্ন চাষী, কেমন হবে তাতো বল? থাকবে মনে? </p>
<br /><p>পরের জনমে শুধু আমরা রব, আর কেউ নয় <br />তুমি হবে বিশের কোঠায়, আমি তখন অষ্টাদশী। </p>
<br /><p>(ভালোবাসাই পারে মানুষকে মানুষ হিসাবে বাঁচিয়ে রাখতে। সবাইকে ভালোবাসা দিবসের শুভেচ্ছা...............যদিও ভালোবাসা প্রতিদিনের, এর কোন তারিখ নির্ধারণে আমি রাজী নই)</p>@ 2024 - কামরুন নাহার রুনু_https://www.bangla-kobita.com/runu123/post20160213062840/উদোম হাওয়ায় বসন্ত2016-02-13T06:30:09-05:002023-06-26T02:20:00-04:00কামরুন নাহার রুনু_https://www.bangla-kobita.com/runu123/<p>জানালায় রাখি হাত, খুলে যায় খোঁপার কাঁটা<br />এলোচুল দুলে উঠে সময়ের নির্যাস মেখে <br />চারদিকে বাতাসের ঝন-ঝনা-ঝন সাতকাহন! <br />কোথাও চুড়ির আওয়াজ,রোদের গন্ধে গন্ধরাজের মৌমিতা প্রেম <br />অষ্টাদশী রোদ মিহিন সুতোর ডোরে বাঁধে <br />এই মাটিময় দেহ-মন,ঘামে ভেজা স্বপ্ন, আমার উবুজুবু সব<br />সাদাকালো গোপন পাতার গুঞ্জন।</p>
<br /><p>ফেরারি প্রজাপতি স্বরসঙ্গীতে বাড়ায় সখ্যতা <br />নদীও জানেনা কখন সে নাচে ঢেউয়ের নাচন দোলায় <br />কুঁড়ি হতে ফুল, হলুদ গাঁদা ফুল , বেলী-গন্ধরাজ <br />শিমুলের লাল, পলাশের লাল, লাউয়ের লতানো ডগায় <br />হাসে ফিঙে মাতোয়ারা, বুনো ফুল হাসে উদোম বাতাসে <br />শুনে কোকিলের কোরাস কুহুতান! <br />তবে কী? ষড়ঋতুর ডায়েরি খুলে এবার এলো বসন্ত?</p>
<br /><p>আজ পলাশের বনে বসন্ত হয়েছে রাধা, <br />কৃষ্ণের প্রেমে পড়েই সে উন্মাদ,সেজেছে হলুদ আভায় <br />ঠিক এমনি এক সোনালী সকাল,একুশের দ্বার করে উন্মোচন <br />তাই নতুনের আবেশে আঁকি ভুলে যাওয়া বর্ণমালার রঙ।<br />সেই পুরানো নাম পুরানো গল্প,নতজানু হয় শহীদ মিনারে <br />তাই ফাগুনের ছত্রছায়ায় আসে সুর ভালোবাসা –মাখা <br />বে-নি-আ-স-হ-ক-লা রঙধনুর সাজে। </p>
<br /><p>(আমার সকল সুহৃদ কে জানাই বসন্তের শুভেচ্ছা)</p>@ 2024 - কামরুন নাহার রুনু_https://www.bangla-kobita.com/runu123/post20160201114017/সম্পর্কের ধারাপাত2016-02-01T11:40:45-05:002023-06-26T02:20:00-04:00কামরুন নাহার রুনু_https://www.bangla-kobita.com/runu123/<p>এই রোদ পালানো বিকেলে দিনের সব আয়োজন হলো শেষ, <br />সময়ের আনাচ কানাচ জুড়ে খুঁজি কেবল জীবনের মেঠোপথ; <br />যেখানে হাত ফসকে যাচ্ছে দূরে সম্পর্কের ধারাপাত! <br />প্রাঙ্গনে আসেনি বসন্ত তবে তার পাপড়ি গেছে ঝরে <br />তাই অনিবার্য স্মৃতি বুকে নিষ্ফলা জমিনে ফুরায় কলমের দাগ। </p>
<br /><p>আজ সংস্করণহীন অস্তিত্বের কোষ, নদী জল শিশিরের কণা, <br />বৃষ্টির পাঁজরে মিশে যায় পাপ পুণ্য যতো নর্দমার জল, বিষাক্ত হেমলক<br />ঝরাপাতা আদৌ জানেনা গন্তব্য, কোথায় আছে তার শেষদৃশ্য<br />সময়ের নির্যাস ফেরে আসে শকুনের প্রলুব্ধ আয়োজনে; <br />তাই একতরফা ঘুমে অচেতন হয় মোহময় রাতের নাজুক শরীর। </p>
<br /><p>অহেতুক যুক্তি তর্কে ঘোলাজলে হারায় শিশুর হাতের মার্বেল<br />মলিন চিবুক ঘিরে আসে শত নিরুত্তর প্রশ্ন, প্রতীক্ষিত রহস্যদ্বার <br />অন্তিম বয়ানের অপেক্ষায় আজন্ম পাঠক হয়ে জেগে থাকে যুগল ভ্রু <br />পার হয় কতো লোকাল সময়,কালের অনন্ত প্রভাত<br />লোকজ নগর ঘিরে শেষ ট্রেনে চলে ভ্রমণের দিনপঞ্জি!</p>@ 2024 - কামরুন নাহার রুনু_https://www.bangla-kobita.com/runu123/post20160121050039/প্রাত মঞ্জুরি(শীত শীত কাব্য)2016-01-21T05:01:01-05:002023-06-26T02:20:00-04:00কামরুন নাহার রুনু_https://www.bangla-kobita.com/runu123/<p>চুমুকে চুমুকে চায়ের বুদবুদ ছড়ায় উত্তাপ<br />পৌষের ধোঁয়াটে ঘ্রাণ মেখে ঠোঁটে! <br />কলাইয়ের মাঠের প্রেমময় আঁচল<br />শীতের প্রবন্ধ রচনার ঘোরে; <br />আহলাদি কুয়াশা জড়ানো বুকে! <br />তাই,রাতের মলাটের বাম-অলিন্দে এখন নিগূঢ় জ্যোৎস্না। </p>
<br /><p>ঘাস শিশিরের ক্ষণিকের অভিসার,জোনাক-সঙ্গের মত<br />নির্বাক প্রহর শেষে নুয়ে পড়ে বিরহে এই শীতসন্ধ্যায় । <br />কুয়াশা-ছুঁয়ে পরিযায়ীর পালক খসে <br />ধোঁয়াটে নিশ্বাস ভরা রাতের উচ্ছ্বাসে! <br />মধ্যমা আর কনিষ্ঠার পাশে প্রমিজ রিং করে খেলা; <br />শীতরাতে শস্যের মতো বর্ধিষ্ণু পারদনদীতে। </p>
<br /><p>গোপন দরজা খুলে কে জানে প্রকৃতি করে কোন রহস্য! <br />কার টানে রাতের লাজুক শরীর বেয়ে আসে <br />লোকজনগরে এক অর্বাচীন দ্যুতি নিয়ে! <br />আমার দৈনন্দিনসূচী হয় ঘোলাজলে আনমনা; <br />দূরে শুনি ট্রেনের হুইসেল,ভেসে আসে বাতাসের অনুরণনে <br />আগত কাব্যের ধ্বনি।</p>@ 2024 - কামরুন নাহার রুনু_https://www.bangla-kobita.com/runu123/post20160118022744/ঠিকানাহীন পথ2016-01-18T02:29:52-05:002023-06-26T02:20:00-04:00কামরুন নাহার রুনু_https://www.bangla-kobita.com/runu123/<p>জীবনের রূপ-রস-গন্ধ বুকে ধুলোমাখা পথ; <br />ছেয়ে যায় বয়েসী পাতায়! <br />পথের বাঁকে দুরন্ত শৈশব ঘিরে থাকে অজানা স্বপ্নছায়ে; <br />যৌবন কিংবা বার্ধক্যের জলছাপ ছুঁয়ে। <br />কতো কবিতা কাব্যহীন হয়,ঝরে যায় সংজ্ঞাহীন পাতার সংসারে! <br />পথ চলে ঠিকানাহীন গন্তব্যে, কখনও বাদামী বটবৃক্ষের নীড় ঘেঁষে<br />কখনও পদ্মপুকুরে নুয়ে পড়া ডালের ছায়ার আচ্ছাদনে, কখনও <br />কৈশোরে গড়িয়ে যাওয়া শিশুর ঘুঙরের শব্দের ঝংকারে! <br />কতো খেয়ালী মন ঘিরে থাকে সময়ের মায়াবী জোছনা ছুঁয়ে; <br />ধুলোতে গড়ায় দিগন্তপাড়ের সাজানো-গোছানো <br />সব অস্তিত্বের আহ্বান। </p>
<br /><p>অতঃপর; পথ চলে নতুন গল্পের খোঁজে; <br />দৃশ্যের ভেতর সারি সারি দুর্বোধ্য অস্তিত্তের অদৃশ্য আঙ্গিনাজুড়ে <br />অলীক ভাবনা চোখে ঢেউয়ের তীব্রতায় ছুটে চলে<br />ক্রমাগত পাল্টাতে কালের দৃশ্যপট! <br />ডাক দিয়ে যায়; ওহে মহাকালের অভিযাত্রী! <br />যে পথ দিয়ে গেছ তোমরা হেঁটে পরম মমতায়,<br />সে পথে আর পারবে না ফিরতে, তার ধুলোর বুকে এখন কেবল <br />তোমরা স্মৃতি, সময়ের এক অদৃশ্য ছোঁয়া, আমার ধমনীতে <br />তোমাদের চলে অনবরত হাঁটাচলা, আমার সমস্ত শরীর জুড়ে <br />তোমাদের জন্ম, মৃত্যু আর মহা-প্রস্থানের <br />অনুষঙ্গ টুকিটাকি ভাঙ্গনের শব্দ।</p>@ 2024 - কামরুন নাহার রুনু_https://www.bangla-kobita.com/runu123/post20160113120635/আমি যেন কাঁঠালচাঁপা2016-01-13T12:06:54-05:002023-06-26T02:19:57-04:00কামরুন নাহার রুনু_https://www.bangla-kobita.com/runu123/<p>আমি কাঁঠালচাঁপা হয়ে মাঠের ওপারে<br />আত্মগোপন করব একদিন।<br />তখন পৌষের নীল কুয়াশায় ঘেরা রবে চারপাশ।<br />সেদিন আমার বুকে দুটি শালিক <br />ঠোঁট গুঁজে খুঁজে নেবে আপনের সন্ধান।<br />এরা ফিসফিস করে গাইবে গান <br />পালক মেলে বুকের ওমে;<br />একের ভেতর মুখ লুকাবে দুজন।</p>
<br /><p>পাশে শ্যাওলার মলিন মুখে পুকুরে কচুরিপানা<br />বেগুনী আভা ছড়াবে চারদিকে। <br />ঠাণ্ডা বাতাসে দুলতে থাকবে কিছু ছোট ছোট পোকা<br />উড়াউড়ি করবে লতানো কলমিলতায়।<br />পানিতে পোনামাছগুলো সারি বেঁধে <br />কোরাস গাইবে সেদিন।</p>
<br /><p>আমি বুক ভরে স্বাদ নেব প্রকৃতির মায়াবী জোছনার<br />নদীর উপরে নড়বড়ে বাঁশের সাঁকো,<br />জোছনায় তার ছায়া এঁকেবেঁকে যাবে নদীর জলে<br />চাঁদ বার বার লুকোচুরি খেলবে সেদিন।<br />এই শীতে ঝরে পড়বে আমার হলুদ পাতা, <br />পানিতে ভেসে যাওয়া পিঁপড়ের দল <br />নিরাপদ আশ্রয় খুঁজে নেবে <br />আমার হলুদ খয়েরী পাতায়………….</p>@ 2024 - কামরুন নাহার রুনু_https://www.bangla-kobita.com/runu123/post20160106040538/অস্তিত্বের অনুভব2016-01-06T16:06:44-05:002023-06-26T02:19:57-04:00কামরুন নাহার রুনু_https://www.bangla-kobita.com/runu123/<p>গাঢ় অমানিশা……<br />অশরীরির খয়েরী ছায়া ছুঁয়েছিল অষ্টাদশীর বুক! <br />হিংস্র লোমশ হাত চেপে ধরেছিলো কণ্ঠনালী, গ্রীবা কিংবা ঠোঁট <br />তোমরা বলো তাঁকে সতীত্বহীন, আমি বলি তাকে; মা! </p>
<br /><p>আজন্মকাল পিতা পিপাসু আগামী আমি; <br />দিয়াশলাই উত্তাপ বুকে জন্মাবধি জেগে আছি <br />ঘুম নেই; শুধুই গুণে যাচ্ছি, পৃথিবীর বুকে লেখা যত বৈধ হিসাব ! </p>
<br /><p>কারা কারা বিষ দহনে পুড়িয়েছে বুক; <br />কারা আঁধারে ডুবে-ডুবে দেখেছে আলোর মিছিল? <br />বুকে এক আকাশ ঘৃণা নিয়ে যারা বুনেছে ; <br />নিখোঁজ সূর্যের বুকে ভালোবাসার বিলুপ্ত বীজ! আমি তাদের উত্তাপ ছড়াই । </p>
<br /><p>লোকে বলে সদ্যজাত শিশু নতুন আলোর সন্ধানে; <br />কেঁদে-কেঁদে জানায় পৃথিবীকে সম্ভাষণ ! <br />শেকড়ের নেপথ্য চীৎকারে; গভীর রহস্যে আমি হেসে হেসে জানাই; <br />নির্বাক অস্তিত্বের অনুভবটুকু ।</p>@ 2024 - কামরুন নাহার রুনু_https://www.bangla-kobita.com/runu123/post20160101122908/শীত মোড়ক2016-01-01T12:31:51-05:002023-06-26T02:19:57-04:00কামরুন নাহার রুনু_https://www.bangla-kobita.com/runu123/<p>জীবনের প্রতিটা আয়োজনে আমি সাক্ষী হয়ে রই <br />আগোছালো কিছু ভোর কিংবা রাতের নীল রঙের ছোঁয়ায়! <br />যখন নৃত্যের ষোলকলার উচ্চশিখরে পৌঁছানোর চেষ্টায় চাঁদ<br />তখন শীত মোড়কে চাষাবাদ করে অমাবস্যার নগ্ন হাত। </p>
<br /><p>বাতাসের ছন্দতালিকায় পাতার গুঞ্জনে মাতামাতি বৃক্ষকথা<br />যেখানে মৃত্তিকার বুকে শিশুর হাসি বশ করে কুয়াশার আবেগ! <br />শৈশবের উঠোন জুড়ে স্খলিত অপস্রিয়মাণ কিছু মুখ <br />ফুটে রয় এই শীতের মৌসুমে ছন্নছাড়া শীতফুল হয়ে। </p>
<br /><p>সময়ের নির্যাস পেতে শ্বশ্রূষায় ব্যস্ত সব নগর পথিক<br />যাদের আদ্যোপান্তে গোধূলি-আচ্ছন্ন মিছে দেনা-পাওনার হিসাব! <br />পৈতৃক বারান্দা ছেড়ে ছুটে চলে উদ্দেশ্যহীন গন্তব্যের খোঁজে<br />যেখানে শীত অনুভবে শিশিরের সাথে মগ্ন কিছু কিছু ঘাস ফুল। </p>
<br /><p>ঘুচে গিয়ে নৈশ ইঁদুরের দাপাদাপি, সদ্যজাত শিশুর কান্নার মত <br />সত্য –সুন্দর আবহ আসুক এবারের শীত বেহিসাবি পলাতক সুখ নিয়ে<br />ডানা-ঝাপটানো আঁধার মুছে আলোকিত হোক অভিশপ্ত নগরের ঠোঁট। </p>
<br /><br />বছরের প্রথম লেখাটি আজ দিলাম। সকল সুহৃদ কবি এবং পাঠক কে জানাই নতুন বছরের(২০১৬) শুভেচ্ছা।</p>@ 2024 - কামরুন নাহার রুনু_https://www.bangla-kobita.com/runu123/post20151226031700/কুহক2015-12-26T03:17:30-05:002023-06-26T02:19:57-04:00কামরুন নাহার রুনু_https://www.bangla-kobita.com/runu123/<p>তারপর প্রতিদিনের মতই স্বাভাবিক জীবন<br />রিক্সার হর্ন, গির্জার ঘণ্টা,আর মসজিদের আযানের শব্দ ভেসে আসে, <br />আমি আর আমার বন্ধ জানালা, যার ভেতরে দগ্ধ দৃশ্যাবলী<br />অচেতন খোলসে পড়ে থাকে, দায়গ্রস্ত নিষ্ফলা জমিন হয়ে! <br />ক্লান্ত সিথানে গুঁজে দেয় ঘুটঘুটে অন্ধকারময় নিভৃত স্বত্বা।</p>
<br /><p>বারান্দার গ্রিলে জমে বিন্দু বিন্দু বৃষ্টির ফোঁটা<br />সবকিছুই নিজের মত নড়েচরে বসে! <br />কতিপয় কলঙ্কিত কীট মাতাল হয়ে; <br />ছুঁয়ে যায় আমার মস্তিষ্ক আর নিজস্বতা। </p>
<br /><p>মাথাটা বড্ড ধরে আছে, <br />এভাবেই প্রতিদিন নগর ফনার ভস্মস্তূপে, আমি ধ্বংসচিহ্ন রেখে যাই<br />রাতের ভাংঙাচোরা হিবিজিবি প্রশ্নের উত্তরে<br />নিজেকে ভীষণ অসহায় লাগে।</p>
<br /><p>একটা অস্থির হামাগুড়ি স্বপ্ন; যা ছাই হয়ে গেছে এখন<br />তবুও ধোঁয়া হয়ে আসে বুকের কাছে <br />রক্তাক্ত দস্যু হয়ে বিচরন করে প্রতিটা রক্তকোষে। <br />ক্লান্ত চোখ জনমের ঘুমে আচ্ছন্ন সেই কবে থেকে; তবু<br />সোনার হরিণের মত চক্ষুহীন ঘুম <br />পালায় কুহক হয়ে কুহকের টানে।</p>@ 2024 - কামরুন নাহার রুনু_https://www.bangla-kobita.com/runu123/post20151222045615/সময়ের ব্যবধান2015-12-22T04:58:06-05:002023-06-26T02:19:55-04:00কামরুন নাহার রুনু_https://www.bangla-kobita.com/runu123/<p>জীবন আর মৃত্যুর মাঝে <br />কতখানি দূরত্ব বলতে পার ?<br />এ যাত্রায় জানি আমি মৃত<br />তবুও ফিরে তাকাও, কিছু কি গেলে ভুলে ?<br />জানি, এ জনমে আমি ভীষন বেমানান, এই <br />শক্ত ইট পাথরে গড়া উঁচু উঁচু দালানে।</p>
<br /><p>বলবে কি ?<br />শহরের মত মানুষের মন ও কি পাথরের তৈরী ?<br />দেখ অহংকারী গোলাপ <br />কাঁটার আঘাতে আজ মূর্ছা প্রায়<br />কি হবে এমন জাগতিক সৌন্দর্যে<br />আমি এখন আর ঘুমন্ত নই<br />চোখ ভরে দেখি নদীর আলো আঁধারের খেলা<br />যে নদী দুকূল ভাসিয়ে কাঁদিয়েছিল চারপাশ<br />সবুজ জীবনের খামে পুরে দিয়েছিল যন্ত্রনার প্রলেপ<br />আজ তার বার্ধক্যে গায়ে ক্লান্তির ঘ্রাণ। </p>
<br /><p>কি হবে এত কিছু ভেবে?<br />কি হবে , এমন মায়াবী আলোতে অন্যের প্রতিচ্ছবি এঁকে<br />এ যে কাঁচা হাতে আঁকা, রঙ বড় বেশী অস্পষ্ট<br />যেমন আবছা কুহেলিকায় আগত দূরের জাহাজ। <br />মনের ভেতরের তুমিকে যেদিন চিনতে পারবে<br />সেদিন জানি আমাকে মন থেকে ডাকবে<br />বলবে ভালবাসি।</p>
<br /><p>আজ যে কেবল নিঃশব্দে বুঝে নিচ্ছে তার হিসাব<br />একদিন তার কন্ঠেও রহস্যময় ছায়া ভেদ করে<br />প্রিয় সুর হলদে তৃণ হয়ে সোনালী আভায়<br />খিলখিল করে গজাবে সৃষ্টির আনন্দে।<br />আজ জলের অণুতে বেনামী বিষ<br />ঢেলে জীবন্ত মাছগুলোকে শেকড়চ্যুত করছ<br />একদিন লোকারণ্যেও নিজেকে খুব একা <br />বলে মুখ লুকাবে।</p>
<br /><p>তাকাও একবার দেখ, খুব ভাল করে দেখ নিজেকে<br />শত আগন্তুকের ভীড়ে বাতাসের কাঁপুনিতে <br />বাতিঘরের ভয়াল সংকেত তীক্ষ্ণ ফলার মত<br />বিঁধে কি বুকে??</p>@ 2024 - কামরুন নাহার রুনু_https://www.bangla-kobita.com/runu123/post20151215032345/প্রত্যাবর্তনে বিজয়2015-12-15T15:24:29-05:002023-06-26T02:19:55-04:00কামরুন নাহার রুনু_https://www.bangla-kobita.com/runu123/<p>বিজয়ের উল্লাসে উচ্ছ্বসিত মন শুনতে পায় <br />দৃশ্যের আড়ালে লুকায়িত আটকা-পরা প্রজাপতির নীরব কান্না!<br />যেখানে স্বাধীনতা পেয়েও খুঁজি নতুন সঞ্জীবনী শক্তি; <br />যেখানে সূচীপত্রহীন আজ আমাদের জীবন-যাপন তথা; <br />আমাদের বিশ্বাস; যেখানে আগুনের ধ্বনিতে পুড়ে নিষ্প্রাণ নগরীর শ্বাস-প্রশ্বাস; পাড় ভাঙে নদীর; খোলা জানালায় ঝরে যায় প্রাণহীন শত নক্ষত্রের গুঞ্জন!</p>
<br /><p>বিজয়ের পতাকা হাতে বুকের ভেতর ভালবাসাগুলো <br />ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে বোবা সুরে বলে,<br />আমায় কলংকমুক্ত করো,নিজেদের ভালবাসো<br />আমাকে ভালোবাসো। মা-কে ভালবাসো! <br />স্বাধীনতা ঘেরা আমাদের বিজয়, সে-কি; <br />মৃত নদীর উড়ে যাওয়া বাষ্পে ছিলো? <br />সে-কি? মায়ের সফেত শাড়ির ভাঁজে বেশুমার শুকে<br />আহত নিদারুণ চোখের জল? <br />কপালে হাত রাখা বীরাঙ্গনার একাকী জীবন নাকি <br />হাটু গেড়ে বসা মুক্তিযোদ্ধার চোখে বুলেট ঝাঁঝানো হাহাকার? <br />স্বাধীনতা সে-কি আজ সংলাপহীন ? বিমূর্ত?<br />বিজয়ের সুখ সে-কি আজ কেবল কাগজে-কলমে- লেখনীতে? </p>
<br /><p>মানুষের জন্য চালিত রাষ্ট্র, মানুষ দিয়েই চালিত; <br />তবু মানুষ হতে পারেনি কিছু মানুষ,তাই যুদ্ধ এখনও থামেনি! <br />আজও ঠিকানাবিহীন শবদেহ অযুত দীর্ঘশ্বাস বুকে <br />শরীর জুড়ে মৃতিকার সিক্ততায় দিন গুণে, <br />কবে হবে নিরসন, মানুষের বুভুক্ষু হৃদয় আর্তনাদের?<br />কবে ঘর্মাক্ত মজুরের শরীর ছুঁয়ে তার উত্তাপ সয়ে; <br />মানুষ সহাস্যে দিবে মানুষের মুল্যবোধ? <br />আর কত বিবর্ণ হবে আমাদের বোধের আকাশ?<br />আর কবে জানবো বিজয়ের মানে?</p>
<br /><p>বিজয়! বিপুল সম্ভারে এসেছিলো!<br />থামিয়েছিলো রক্ত ঘামের মাতম! <br />আজ চুয়াল্লিশ বছর পরেও ভাবি; <br />সে-কি? অষ্টাদশী রোদ হয়ে ছুঁয়ে যাবে আবারও <br />লাল সবুজ পতাকার বুক? সুহৃদ আত্মবিশ্বাসে; <br />পথে-ঘাটে-প্রান্তরে আবারও কি ফসলী শরীরের মতো<br />আগুন্তুকের ঘ্রাণে ভরে দেবে<br />আমাদের না-পাওয়া গভীরের ক্ষত?</p>
<br /><p>(বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা সকল লেখক এবং পাঠকবর্গকে)</p>@ 2024 - কামরুন নাহার রুনু_https://www.bangla-kobita.com/runu123/post20151211105720/জীবন এবং কবিতা2015-12-11T10:59:38-05:002023-06-26T02:19:55-04:00কামরুন নাহার রুনু_https://www.bangla-kobita.com/runu123/<p>চারদিকে বড় বড় অট্টালিকা, প্রফুল্ল হাসির আওয়াজ <br />যে যার মতো গড়ছে জীবন এবং জীবিকা...<br />হৃদয়ের হরিত উপত্যকায়,এক পশলা বৃষ্টির আচ্ছাদনে <br />যে যার মত মৌসুমি ফসল তোলার আমেজে মত্ত<br />এখন তাদের কাণ্ড,পাতা, ফুল,ফল আর মূল,যথেষ্ট স্বপুষ্ট। </p>
<br /><p>আর আমি? এখনও অপেক্ষায়! <br />একটিমাত্র জীবন্ত পঙতির সরোবরে ভাসবো বলে! <br />আমি ছুঁতে চেয়েছি তোমার শিহরিত গ্রীবা, চিবুক, <br />আলপনা আঁকা ফর্সা চারুময় পায়ে নূপুরের নিক্কন; <br />মাটির উষ্ণতায় আমার চাতালে ঊর্ধ্বমুখী হয়নি এখনও<br />নতুন কোন ফসলের ঘ্রাণ, শব্দের হাত ছুঁয়ে<br />দেয়নি ধরা, নতুন কবিতার ছন্দ কণা!</p>
<br /><p>আমি চেয়েছিলাম আগামীর উৎসব, <br />চেয়েছি, নিজস্ব কলমের ফলায় কাব্যের স্বাধীনতা <br />আমি চেয়েছি তোমাকে! চেয়েছি তোমার চঞ্চলতা!<br />যেদিন ধরা দিবে তুমি কোন একগুচ্ছ নরম তৃণের মূলে<br />মঙ্গল প্রদীপ জ্বেলে আমার এই নির্জন ঘরে; <br />থমকে থাকা বাতাস সেদিন বর্ণমালার গাঢ় উচ্চারণে <br />উজ্জীবিত হবে আগত সম্ভাবনায়।</p>@ 2024 - কামরুন নাহার রুনু_https://www.bangla-kobita.com/runu123/post20151207070805/আজকাল বৃষ্টির অভাবে মাটি ফেটে চৌচির2015-12-07T07:10:06-05:002023-06-26T02:19:55-04:00কামরুন নাহার রুনু_https://www.bangla-kobita.com/runu123/<p>চাকুরীর বিজ্ঞাপনীতে চোখ রাখছিলাম <br />একটা সোরগোল কানে এসে লাগলো, <br />সাইকেল থেকে ছিটকে পড়লো ছেলেটা আর গাড়িটা অবলীলায়-<br />তার গায়ের উপর দিয়ে চলে গেলো। <br />সবাই দর্শক হয়ে তাকাচ্ছিলো; যেনো কোন ছবির স্যুটিং চলছে!<br />ঘটনাটা দূরদর্শনে আসবে, চলো তবে ক্যামেরার সামনে! <br />আহঃ কি নির্লজ্জ আমাদের জমিন।</p>
<br /><p>মনে হয় বাতাসে উড়ে গেছে অচেনা পাতার শহর, সমস্ত লজ্জা <br />মানবিকতা, মানুষের আদর্শ আর সুঠাম চিন্তাবোধ। <br />থেমে গেছে আজ মানুষের উত্তাল ভালোবাসার ঢেউ <br />চারদিকে উদ্ভ্রান্ত পঙ্গু মস্তিষ্ক মরীচিকা হয়ে, চিবুচ্ছে শহরের অলি-গলি<br />আমলকি বন, মাধবীলতার শোভা,জীবনের নিত্য নৈমিত্তিক স্বপ্নের বন্দর।<br />আর অপুষ্ট বিকলাঙ্গ হচ্ছে দিনের পর দিন <br />আমাদের প্রতিদিনের রোদের আকাশ।</p>
<br /><p>কেউ কি কোথাও নিরুদ্দেশ ? তাতে কি?<br />আমার তো কিছুই হারায় নি! <br />এমন ঘটনা তো স্বাভাবিক !<br />আজকাল যে কোন অস্বাভাবিকতা-ই স্বাভাবিক <br />যা ঘটছে তাই স্বাভাবিক।<br />আর এভাবেই চলছি পেড়িয়ে ধাবমান রিক্সা, ট্যাক্সি, ট্রাফিক পুলিশ <br />চলছি পেড়িয়ে কতো জনসমাবেশ। </p>
<br /><p>নাগরিক ফেরিওয়ালারা এখন নিজ নিজ কাজে সবাই ব্যস্ত <br />আলু পটলের দাম কমলো কি-না সে খবর জানতে,<br />খেয়ে-পড়ে বাঁচতে তো হবে ভাই! <br />মেয়েটা বড় হলো, পাত্র পক্ষের জন্য কিছু তো রাখা চাই।</p>@ 2024 - কামরুন নাহার রুনু_https://www.bangla-kobita.com/runu123/post20151205045230/নির্বিকার হতাশা2015-12-05T04:54:21-05:002023-06-26T02:19:52-04:00কামরুন নাহার রুনু_https://www.bangla-kobita.com/runu123/<p>অবিশ্বাসের ধুতুরা ফুল এতটাই শক্তিশালী যে<br />বিশ্বাসের দানা ফলাতে পারেনি সময়ের বাহারী সাঁকো <br />প্রতিনিয়ত ভুল অংকে ভরে যায় সবুজ অরণ্য <br />লতালো আগাছা কেবল জড়াতে চায় মিথ্যে জাগতিক মোহ।</p>
<br /><p>হয়তো এভাবেই জ্যোৎস্না ভেদ করে খসে যায় প্রতিদিন<br />জ্যোতির্ময় আলোর কণা সময়ের চারপাশ ঘিরে <br />তুমি আমি আমরা সবাই কেবল নীরব সাক্ষী হয়ে <br />অজ্ঞাত ভূমিকায় দেখে যাই ডুবন্ত জাহাজের মৃত্যুর কান্না।</p>
<br /><p>যে সময় গেলো কিংবা চলছে সে সময়ের নামকরণ হতে পারে<br />তবে তাকে ধরে রাখা যেন কচু পাতায় বৃষ্টির ফোঁটা<br />এ যেনো ক্রয় বিক্রয়ের আড়ম্বর ভবঘুরে চক্রব্যূহ <br />যেখানে প্রতিনিয়ত বারুদের শলাকায় পুড়ে সহস্র কলমের দাগ। </p>
<br /><p>অনাবৃত বেদনায় একাকি রাত্রি যাপন করে সময়ের অখন্ড স্বরলিপি<br />জেগে থাকে চরায় জমে থাকা জল; জাগে ধুলোমাখা শুকনো পথ<br />ঋতুর পাখিরা স্বেচ্ছায় নির্বাসন দেয় নিজস্ব কণ্ঠনালী নির্বিকার হতাশায় <br />অনিবার্য স্মৃতি বুকে সময়ের পাটাতনে জমে কেবল অভিশপ্ত আঁধার।</p>@ 2024 - কামরুন নাহার রুনু_https://www.bangla-kobita.com/runu123/post20151130061939/স্বপ্ন আর আমি2015-11-30T06:21:22-05:002023-06-26T02:19:52-04:00কামরুন নাহার রুনু_https://www.bangla-kobita.com/runu123/<p>পথ পেড়িয়ে পথের মোড়ে<br />একটা শালিক উড়ছে একাকি<br />হয়ত খুঁজছে আপন সত্বা! </p>
<br /><p>হাঁটতে হাঁটতে সড়কের বাঁকে মাঠ পেড়িয়ে<br />চোখ বন্ধ করে আঁকা সবুজ ছবির মতগাঁও<br />ধানের জমিনে রূপোর রোদ্দুর, <br />যেন রূপালী পালকে, নদীতে মাছের খেলা! <br />দূর থেকে ভেসে আসছে ফসলের ঘ্রাণ<br />বৃষ্টি শেষে মাটির সুধা গন্ধে আবেগী মন<br />স্বপ্ন দেখে একটা গোলাপ কুঁড়ি। </p>
<br /><p>হয়ত একটু আগেই বৃষ্টি এসে ভিজিয়ে দিয়ে গেল<br />কাঠখোট্টা ,ডালহীন সুতানো নামহীন গাছটাকে! <br />মাঠের ওপারে জমানো পানিতে দামাল ছেলেরা<br />নিজেদের মুখচ্ছবি দেখে নিজেই হাসিতে মাতাল<br />কেউ কেউ কাগজের নৌকা ভাসিয়ে দিচ্ছে জলে।<br />কেউ-বা আবার সাইকেলের ভাঙ্গা চাকায় গাড়ি<br />বানিয়ে ভুঁ ভুঁ শব্দ করে বেশ গাড়ি চালাচ্ছে।<br />মোহন বাতাসে কিশোরীর রেশমি উড়নার মত<br />সুপারীর ডাল দুলছে এপাশ-ওপাশ ।</p>
<br /><p>একদল দুষ্ট বালক দৌড়াচ্ছে শহর থেকে আগত গাড়ীর পেছনে<br />সুপারীর ডগা বিছিয়ে কিশোরী টানছে রিক্সা<br />ছোট ভাইটি তার পিছনে বসে খিল খিল হাসছে অনবরত! <br />রোদের কণা নাকের নোলকে যেন ঘাস ফড়িঙের সোনালী সুখ! <br />একটু দূরে তালগাছে কলোনি গড়েছে<br />এক ঝাক বাবুই পাখি; <br />ঝুলানো গাগরী যেন ঝুলছে পাতাঝাড়ে<br />বাঁশ ঝাড় আর বেত ফলের গাছ মিশে গেছে<br />সুহৃদ বন্ধুর মত ওতপ্রোতভাবে ,পাশেই আমলকী<br />আর কদবেল গাছে পাখি বাসা বুনেছে, ওরা আছে পরম সুখে।</p>
<br /><p>পেয়ারা গাছে চড়তেই মনে হল কিসের একটা ঝাঁকুনি<br />ঘুম ভেঙ্গে গেল, দেখি মা ডাকছেন, কই রে খোকা ! <br />আজ যে গ্রামের বাড়ি যাবার কথা! <br />অনেক তো ঘুমালি, এবার উঠ …………………………….</p>@ 2024 - কামরুন নাহার রুনু_https://www.bangla-kobita.com/runu123/post20151126045446/কুমারী জ্যোৎস্না2015-11-26T16:56:26-05:002023-06-26T02:19:52-04:00কামরুন নাহার রুনু_https://www.bangla-kobita.com/runu123/<p>তোমার আনাচে কানাচে <br />কোলাহলহীন বুকের তীক্ষ্ণতা ছুঁয়ে; <br />আমি ছিলাম কুমারী জ্যোৎস্না হয়ে! <br />উদাসীন তুমি দেখনি চোখ মেলে <br />তোমার উদাস খেয়ালে।</p>
<br /><p>ছিলাম তোমার নিংড়ানো সিগারেটের ধোঁয়ায় <br />আলোছায়া অন্ধকারে সজল বিশ্বাসে! <br />ভেসে গেছি কতবার বাতাসের সিড়ি বেয়ে; <br />অনন্ত নীলিমায় মিশে গেছি মেঘ হয়ে<br />অপাঠ্য তালিকায় কুহকের মতো; <br />বুক পকেটে বৃষ্টি হয়ে ঝরার আবেদনে। </p>
<br /><p>জানি কখনও তোমার জীবনদীঘিতে<br />হবে না আমার সোনালি পথ চলা! <br />রহস্যময় তুমি কেবল ভাসাও কোন এক<br />রাগী ও অভিমানী পুরুষের মতো; <br />কখনও জলোচ্ছ্বাস হয়ে<br />কখনও দম বন্ধ করা গভীর উৎকণ্ঠায়।</p>
<br /><p>তোমার বিশ্বাসী ওমের ভাঁজে <br />আমি লিখে যাই কবিতার শরীর! <br />তিলে তিলে গড়া কবিতার উপমা<br />উৎপ্রেক্ষা আর ব্যঞ্জনার ধারাপাত! <br />খুঁজে ফিরি রূপকল্প বিন্দু বিন্দু ঘাম কপালে<br />থুতনি ছোঁয়ানো ঠোঁটের বুকে <br />তোমার আঙ্গুলের আলিঙ্গনে।</p>
<br /><p> <br /> উৎসর্গঃ দোস্ত রাবেয়া রাহীমকে ......অনন্ত ভালোবাসায়</p>@ 2024 - কামরুন নাহার রুনু_https://www.bangla-kobita.com/runu123/post20151124113314/জীবন বন্দনা2015-11-24T11:33:40-05:002023-06-27T05:06:16-04:00কামরুন নাহার রুনু_https://www.bangla-kobita.com/runu123/<p>চারদিক যখন ভ্রাম্যমাণ অন্ধকারের আয়োজনে; <br />পৃথিবী ক্রমাগত দৈনতা আর দ্রোহে<br />ভাসিয়ে দিচ্ছে তার আঁচল! <br />এদিক সেদিক সময়ের আনাচ কানাচ জুড়ে <br />যত সব প্রোথিত মৃত্যু আছে চলো তাদের দেই সাড়া! <br />যারা এখন ও নিশ্চিন্তে ঘুমুচ্ছে; <br />নাকের ডগায় প্রাপ্তির তৃষ্ণা রেখে<br />অতৃপ্ত কঙ্কাল হয়ে রেখে যাচ্ছে আজন্ম পরাজয়! <br />সেক্ষেত্রে চলো আমার ফলাই কিছু কিছু সবুজ তরুলতা; <br />যার শাখায় তরুন বৃষ্টির ছাপ দারুন উৎকণ্ঠায় মুঝে দিবে<br />সকল বিপন্ন সময়,সফেত তোয়ালেতে তুলে নিবে; <br />ধুলোবালি মাখা জংধরা সব স্বপ্ন আর কালের ভাঙন।</p>
<br /><p>যেখানে জলের মাঝেই ক্রমশ মৃত্যুমুখী জলের যৌবন,<br />যখন গহীন বনাঞ্চলে নামহীন কোন মানুষখেকো প্রাণী<br />চিবুচ্ছে মানুষের সব আশা,আকাঙ্ক্ষা আর প্রতিশ্রুতি! <br />তখন আসুন আমরা এমন ভাঙ্গনের অন্ত ঘটাই<br />ডুবুরী হয়ে খুঁজে নেই গভীর সব অদেখা মোড়কে মোড়া <br />সময়ের স্রোতে লুকানো বেঁচে থাকার চাবিকাঠি<br />চক্ষু খোলে দেখি স্বপ্ন আর জাগরনের খেলা! <br />নিঝুম রোদহীন দুপুরে আসুক এক চিলতে আলোর বন্যা<br />ফুরিয়ে যাওয়া গানের ধুন-<br />আবারও ফিরে আসুক নিজ অলঙ্কারে।</p>
<br /><p>পূর্ব পশ্চিম উত্তর দক্ষিণ দশ দিগন্ত জুড়ে আসুক<br />আলোর আরাধনায় ঘেরা আলোকিত জীবন বন্দনা।</p>@ 2024 - কামরুন নাহার রুনু_https://www.bangla-kobita.com/runu123/post20151122032815/বারুদের শলা2015-11-22T03:30:23-05:002023-06-27T04:07:20-04:00কামরুন নাহার রুনু_https://www.bangla-kobita.com/runu123/<p>গোয়ালে আজকাল ধানের বদলে <br />পড়ে থাকে ইঁদুরের মল! <br />নেই কাঁখে কলস, মুখে শাড়ীর পাঁড়<br />ঢেঁকিতে তোলা চালের বদলে<br />পরে থাকে অগনিত মাছির পাল।<br />ধারাপাত হাতে এক একে এক,দুই দ্বিগুণে চার<br />আগের মতন বাঁধেনা বাল্য সুর।<br />আম কুড়ানোর সুখ বৈদ্যুতিক তারে আটকে আছে<br />নারিকেলের পাতার বাঁশি বানানোর আনন্দ এখন <br />মিছে সাজানো ঘরে হাহাকার, অবশ। </p>
<br /><p>প্রত্যাশাগুলো যেন শত ভীড়ের মাঝে খুব একা<br />আধুনিক সময়ের ছলাকলায়! <br />প্রিন্টের কামিজের সুখ আজ ঐতিহ্যের বাহিরে<br />নিরাভরণ নিজস্বতা থেকে দূরে<br />নিষেধের দেয়াল টপকাতে ব্যস্ত।<br />আজ নিসিদ্ধ খাঁচায় বন্দী <br />কপোত বধুর বাকুম বাকুম পায়রা<br />আংগুল ছোঁয়াতে যেন বাধা নেই<br />আজকাল রাতের শরীরে<br />ভুল সময়ের পরিচয় গুলো খুব বেশী ব্যস্ত<br />ক্যারাম খেলায়। ওরা সুসজ্জিত বেশে কনুই গুঁজে দেয়<br />তাবৎ বারুদের শলায়।</p>@ 2024 - কামরুন নাহার রুনু_https://www.bangla-kobita.com/runu123/post20151120054412/ব্ল্যাক আউট2015-11-20T05:45:12-05:002023-06-26T02:19:50-04:00কামরুন নাহার রুনু_https://www.bangla-kobita.com/runu123/<p>আর এভাবেইএকদিন <br />পুরোনো টিনের দরজা ভেঙ্গে যায়<br />পরে থাকে জংধরা লোহার টুকরা<br />সজল শৈশব লুকায় জলহীন চৌবাচ্চায়<br />নুন ভরা দেহে শতাব্দীর ক্লান্তি নামে ধেয়ে। <br />গল্পের পাদদেশে হিজল তমালের বনে<br />ধূসর সামিয়ানা বুকে থেমে যায়<br />সরব পাখির কোলাহল। </p>
<br /><p>নিঃসঙ্গ আঙ্গুলে বাঁধে পোকাও মড়কের বাস।<br />একটা মাত্র শুদ্ধ অনুচ্ছেদ খুঁজতে খুঁজতে<br />চাষাবাদ হয় সময়ের শত উপহাস।<br />ঘোর লাগা চোখ ছাঁদে আর কার্নিশে <br />শতাব্দীর জানালা খুলে খুঁজে জীবনের সূত্র।</p>
<br /><p>কত অপ্রত্যাশিত বার্তায় বয়ে বেড়ায় চলন্ত অক্সিজেন। <br />মৃত্যুর প্রত্যাশা নিয়ে জন্মায় ছোট চারা গাছ। <br />একদিন ফুল পাখি আর পাতার আনাগোনায় <br />রোদের ওমে ভিজায় পালক সবুজের বুক ছোঁয়ে। </p>
<br /><p>ঘরের দাওয়ায় বসে অপেক্ষায় <br />অনুচ্চারিত নিঃশব্দ গোঙানী।<br />বাতাসে উড়ছে তখন অশনিসংকেত<br />শেষ হাহাকারএ মৃত্যুর মমতা ছোঁয়ায় <br />ব্ল্যাক আউট চেতনায়।</p>@ 2024 - কামরুন নাহার রুনু_https://www.bangla-kobita.com/runu123/post20151117051050/অবিরাম পথ চলা2015-11-17T05:11:31-05:002023-06-27T19:49:31-04:00কামরুন নাহার রুনু_https://www.bangla-kobita.com/runu123/<p>কি খুঁজছ পথিক ? চোখ খুলে হাঁট;<br />খুঁজছিলাম ফেলে আসা দিন;<br />খোঁজ না, এবার সামনে তাকাও।</p>
<br /><p>রাস্তা সম্মুখে, কি হল? থেমে থেকো না<br />নয়ত একটু একটু করে পিছিয়ে পড়বে! <br />ফেলে আসা পথ এখন কেবল স্মৃতি<br />যদিও সে খুব মূল্যবান! <br />কারন সে পথ, তোমাকে শিখিয়েছে কতটুকু <br />পুড়লে হাত জ্বলে যায়, আবেগের মরন হয়! <br />শিখিয়েছে সময়ের প্রাপ্তি এবং অসঙ্গতি। </p>
<br /><p>থেমো না পথিক; সামনে তাকাও! <br />ওসব; শিকড়ের কাছাকাছি আগাছা মাত্র; <br />কেবল লতিয়ে উঠা , ওসব কিছু না<br />কেউ কেউ ওদের দুঃখ বলে, তুমি থেমো না। <br />পরিনাম ভেবে চলে, সাধ্য কার আছে বল! <br />মাঝে মাঝে আবেগের কাছে বন্দী সবাই<br />তবু পিছ পা হয়ে হাঁটা যায় না।</p>
<br /><p>জীবন আর সময় শস্যের মত বাড়ন্ত<br />নিঃসঙ্গতা আর কোলাহল একে অন্যের<br />কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে চলে।<br />নিগুঢ় যৌবনে যেমন জমিনের উর্বরতা বাড়ে<br />তেমনি আকন্ঠ নীরবতায় রাতের শিয়রে<br />জেগে থাকে অন্ধকার। </p>
<br /><p>এদের কাউকেই এড়ানো যাবে না<br />তাই থেমে থেকোনা ; সামনে চলো...</p>
<br /><p>কিন্তু আমার পিছুটান?<br />সে তোমার আজন্ম ভালবাসার বন্ধন বটে;<br />এমন সুর বাজুক বুকের ভেতর! <br />মনে রেখ যতদিন তোমার ধ্বনিতে<br />বেজে যাবে ওই সুর,ততদিনই তুমি মানুষ। </p>
<br /><p>নয়তো তুমি কেবল মাত্র-<br />পাথর বৈ আর কিছু নও।</p>@ 2024 - কামরুন নাহার রুনু_https://www.bangla-kobita.com/runu123/post20151114093450/সখ্যতার ইতিকথা2015-11-14T09:35:10-05:002023-06-26T02:19:50-04:00কামরুন নাহার রুনু_https://www.bangla-kobita.com/runu123/<p>আমাকে আপনি বলে ডাকবি নে কোনদিন<br />দেখিসনে রক্তজবা লাল সিঁদুরে<br />চমকায় কেমন ওই কপোলে ?<br />তুই দেখিসনে আলতা পায়ে<br />হৃদয়ের শাখা প্রশাখায় কেমন করে<br />অবাধ বিচরণ রূপালী মানবীর? </p>
<br /><p>তোর শব্দহীন চোখের ভাষায়<br />আমাকে খুব লুকিয়ে দেখার মত<br />শ্রাবনের জলধারায় সব অনুযোগ<br />গোপনে পাঁপড়ি মেলে ধরার মত<br />আমি কোন কালেই বর্তমান বৈ অতীত ছিলাম না।</p>
<br /><p>দীর্ঘশ্বাসের মত একা হইনি কখনও<br />আমি নির্যাসহীন হিমঘরে গুনবো না প্রহর<br />সোনালী ফড়িঙ হয়ে ষোড়শীর মত<br />নির্জন নদীকে চঞ্চলা হরিণীর মত<br />ছলাত ছলাত বইয়ে দেব মৌটুসি হয়ে।</p>
<br /><p>সময়ের সিঁড়ি ভেঙ্গে পকেটে ভালবাসার খড়কুটো<br />দিয়ে হলদে তৃণ হয়ে জন্মাবো বার বার<br />আবারও বলছি, আমার অতীত পছন্দ নয়<br />আমাকে তুই বলেই ডাকবি <br />আপনি সম্বোধনটা খুব দূরে ঠেলে দেয়<br />যেন দূরের অনড় পাহাড় কিংবা সমুদ্রের গর্জন<br />যেখানে পঙক্তির মিছিল, সেখানেই আমাকে নিয়ে<br />লিখা হবে কবিতা , আমি হব মুল চরিত্র।</p>
<br /><p>ক্যাকটাসের কাঁটার মাঝেও<br />আমি ফুলেল সৌরভ ঢেলে দেব নির্দ্বিধায় ।<br />আমি খয়েরী আঁধার টপকিয়ে হলুদ বিকেলে<br />অরণ্যের শূন্যতা ঘুচিয়ে প্রকৃতি ও নারীর<br />সৌন্দর্যে শত প্রহেলিকা ভেদ করে<br />সুহৃদ সখ্যতার ইতিহাস লিখে যাব।</p>@ 2024 - কামরুন নাহার রুনু_https://www.bangla-kobita.com/runu123/post20151109112137/বাবা আমার2015-11-09T11:21:57-05:002023-06-26T02:19:47-04:00কামরুন নাহার রুনু_https://www.bangla-kobita.com/runu123/<p>দূর আকাশের নীলিমায়<br /> প্রতিটা তারার ভাঁজে ভাঁজে<br />তুমি মিশে আছ বাবা! <br />একবার শুধু একবার বল<br />তুমি কেমন আছ?</p>
<br /><p>জানি তুমি মাটির কোলে ঘুমুচ্ছ<br />ওই আকাশের সীমানায়<br />অভিমানী সাঁঝের মায়ায়,<br />তুমি কি এখন ভীষন একা?<br />তোমার ওখানে ও কি, <br /> শীতের ভোরে শিউলি ফোটে?<br />পাখি গায়, সূর্য উঠে?</p>
<br /><p>বাবা, চায়ের পেয়ালা হাতে<br />মা এখনও কি তোমার ঘুম ভাঙ্গায়?<br />তোমার অনুপস্থিতিতে দশ দিগন্তে<br />নদীর পাড় ভাঙ্গা ক্রন্দনরোল,<br />বহুদিন এই তৃষিত আঁখিতে<br />না দেখা তোমার পদচারনা।<br />এবার তুমি সবার থেকে সম দূরত্বে,<br /> আমি জানি তুমি চুপটি করে<br /> পৃথিবীর সুখ, দুখ, আলোকসজ্জায়<br />সফেত আবরনে নিশ্চিন্তে ঘুমুচ্ছ।</p>
<br /><p>আগের জায়গায় তোমার ইজিচেয়ার<br />আগের মত সব কাগজপত্র,<br />তোমার রেডিও টেবিলে পড়ে আছে,<br />এখন আর কেউ ভোর বেলায়<br />বিবিসির খবর শুনেনা,<br />ছোট্ট আয়না,<br />যা তোমাকে মা উপহার দিয়েছিল,<br />সেও পড়ে আছে, তোমার টেবিলের উপর।</p>
<br /><p>বাবা, এখন আর সাত সকালে কেউ <br />দরজায় কড়াঘাত করে বলে না<br />এই তোরা উঠ, সকাল হল<br />ফজরের নামাজ পড়ে নে।<br />তোমার চশমা তোমায় খুজে বাবা,<br />তোমার অবয়ব শুধুই পীড়া দেয়,<br />আমাদের চারপাশে পরিচিত পথ ঘাট,<br />কত মানুষের আনাগুনা<br />শুধু তুমি নেই বাবা।<br />শুধু তুমি নেই।</p>@ 2024 - কামরুন নাহার রুনু_https://www.bangla-kobita.com/runu123/post20151108041044/প্রতি মুহূর্তে আমি2015-11-08T04:11:25-05:002023-06-26T02:19:47-04:00কামরুন নাহার রুনু_https://www.bangla-kobita.com/runu123/<p>আমি আজ নেই জানি, তবুও<br />আমার অবয়ব পাবে আমতলা গ্রামে<br />একবার এসে দেখে যাও বন্ধু, <br />আমার শৈশব আর কৈশোর, <br />যদিও পথ বড় কাঁচা ,কিছুটা বন্ধুরও বটে; <br />থকথকে কাদায় পায়ের চপ্পল উধাও!<br />তবু মেঠোপথে মাটির বুনোগন্ধ; <br />বন্ধুর মত জড়াবে তোমার চিবুক<br />আর তখনই ছুঁয়ে যাব আমি তোমাকে।</p>
<br /><p>রাস্তার পাশেই ছোট টঙ্গী দোকান<br />মধুকাকা আজও চশমার কাঁচ ডিঙ্গিয়ে<br />চানাচুর, মটর আর আটার বিস্কুট বিক্রির প্রয়াসে ব্যস্ত! <br />একপাশে একখানা রেডিও। <br />একটু এগোলেই বাড়ির সামনে এঁদোপুকুর<br />এ সময়টায় মাছ ধরার তুমুল বাড়াবাড়ি<br />ওপাশটায় দেখতে পাবে কেউ একজন<br />মাছের নেশায় বিভোর….. আমগাছের ছায়ায়<br />গান গেয়ে যাওয়া সেই হলাম আমি।</p>
<br /><p>বাড়িতে ঢুকতেই শিরশিরে বাতাস <br />ঘিরে রবে তোমার চারপাশ,এ আর কিছু নয়<br />এ আমারই বন্ধুত্বের প্রকাশ<br />বাড়ীটা যদিও মাটিঘেঁষা; <br />তবে পাবে শিউলির বনে বিছানো হলুদ সুখ! <br />যেখানে শিশির আর শিউলির ভালবাসার কথন<br />কান পাতলেই শুনতে পাবে।</p>
<br /><p>সবুজ লতায় ঘেরা মাচাভরা লাউয়ের ডগা<br />ফ্যালফ্যাল করে নির্লজ্জের মত হাসছে দেখবে! <br />তুমি ভেবনা, ও কিছু নয়, এ তার অন্তরের মায়া।<br />হঠাৎ দেখবে, তোমাকে পাশ কাটিয়ে দুরন্ত বালক<br />এক হাতে তার লাটিম অন্য হাতে গুলাইল;<br />তোমাকে দেখেই সে দৌড়ে পালাবে,<br />বুঝে নিও সেই হলাম আমি।</p>
<br /><p>ভর দুপুরে প্রখর রোদে তোমার ছায়ার পাশে<br />আর একটি ছায়া, সেখানেও আমি।<br />আধো ছায়া আধো আলোয় মাঝ রাতে<br />আঙ্গিনা জুড়ে জোনাকির মেলা যেন<br />মাতাল হাসনাহেনার গন্ধে মন দোতারা! <br />ভোরের আবছা আলোয় বাড়ীর বেড়ার ফাঁকে<br />একজোড়া চোখ, সে অন্য কেউ নয়<br />আমারই কৈশোরের ভালবাসা।</p>
<br /><p>একবার এসো বন্ধু , নিমন্ত্রণ জেনো, <br />না হয় আমি নেই , তবুও আমি আছি ! <br />আমার শৈশব কৈশোরের আবির মাখা<br />সকাল সন্ধ্যায়, মিষ্টি আবেশে জড়িয়ে তোমায়।</p>@ 2024 - কামরুন নাহার রুনু_https://www.bangla-kobita.com/runu123/post20151106025440/পাথর এবার মানুষ2015-11-06T02:55:00-05:002023-06-26T02:19:47-04:00কামরুন নাহার রুনু_https://www.bangla-kobita.com/runu123/<p>বুকের ভেতরে আটকে পড়া পাথর <br />বার বার চিৎকার করে বলছে! <br />আমাদের ডাক পাঠাও,আমরা বাহির হয়ে আসবো <br />আমরাও ঝাঁক ঝাঁক মাছরাঙার সাথে ডুব সাঁতুরে হবো! <br />জলের ভাঁজে লুকানো ডুবন্ত সূর্যকে খুঁজে বের করবো<br />আমরা এতোদিন নির্বাক হয়ে তোমাদের গল্পের নগরীতে<br />দরজা এঁটে নিশ্চুপ ছিলাম, <br />আমরা এবার মানুষ হবো,আর আমাদের অধরের নিঃশ্বাসে<br />জন্ম নিবে এক জোড়া হাঁস।</p>
<br /><p>তোমাদের শ্যাওলা মাখা ঝাপটানো হাতে<br />আমাদের অস্তিত্ব দিন দিন অভিশপ্ত হয়ে <br />মরীচিকার দামে বিক্রি হয়েছে! <br />আমাদের ডাক বাক্সে জমা পড়েছে <br />হাজারো বৃক্ষের অপাঠ্য চিৎকার। <br />তোমরা যেদিন নির্মমভাবে খুন করেছ চাঁদের ঐশ্বর্য্, <br />যেদিন হত্যা করেছো কষ্টার্জিত শ্রমিকের<br />বিশ্বাসের পবিত্র বাতাস! </p>
<br /><p>যেদিন ন্যূনতম নুন ভাত এর বদলে,<br />প্রকৃতির সুবাতাসের বদলে, <br />চেয়েছো একান্তই নগ্ন প্রণয়ী সুখ, <br />চেয়েছো মুখরোচক রঙিন চুম্বন! <br />যেদিন তোমরা অনায়াসে ভক্ষণ করেছো,<br />হেমন্তের গোধূলি, ঘাস ফুলে শিশিরের হাসি ! <br />যেদিন অবহেলায় রক্তাক্ত করেছো তোমারই প্রাপ্তি<br />কাদামাটি দেহকে জীবন্ত ফসিল করে, <br />যেদিন তোমাদের আত্মপ্রতিকৃতি হয়ে উঠেছে; <br />গিরগিটির মতো অবিশ্বাসী রঙ ও চেহারাযুক্ত; <br />সেদিন আমরা পণ করেছি <br />আমরা এবার মানুষ হবো।</p>@ 2024 - কামরুন নাহার রুনু_https://www.bangla-kobita.com/runu123/post20151103075515/উল্লাস2015-11-03T19:55:43-05:002023-06-26T02:19:47-04:00কামরুন নাহার রুনু_https://www.bangla-kobita.com/runu123/<p>চারদিকে যখন মৃত্যুর খবর<br />আমি তখন গুটিয়েছিলাম হাত পা! <br />রুপোর রাত্রিতে ছবি আঁকছিলাম<br />কোন এক মাংশল শয্যার।</p>
<br /><p>সোনার চামচ মুখে দিয়েই যার জন্ম,<br />তার উঠোনে আগাছার জন্ম হতেই পারেনা! <br />হোক রাজপথে কানাঘুষা আর বিচিত্র আলাপন; <br />তাতে ভেসে যাক সব কটা অক্ষর<br />আমি তাতে কান দেব কেন?</p>
<br /><p>আমার তো আছেই <br />বৈভব ফাগুন ঝড়া ঝাড়বাতির আলোড়ন! <br />আমি কেন কারো সন্তাপের কাণ্ডারি হব? <br />যদি অকস্মাৎ আগুনে পুড়ে যায় শহর কিংবা গ্রাম; <br />যদি চিৎকার করে কাঁদে রাস্তায় নগ্নপায়ে বিবর্ণ কিশোর<br />তাতে আমার কি যায় আসে; <br />আমার আছে যৌবনের ছাদ! <br />আছে সোনার মোহরে গড়া গৃহের কপাট।</p>
<br /><p>সবুজ পাতা হোক না হলুদ কিংবা খয়েরী<br />আমার তো আছে সতেজ বাহুমূলে ঠোঁটচাপা হাসি<br />আছে রমণীর কাঁচা ঘ্রাণ, মথিত স্পর্শে এলানো শরীর।</p>@ 2024 - কামরুন নাহার রুনু_https://www.bangla-kobita.com/runu123/post20151101052230/তুমি এবার জাগো2015-11-01T05:23:14-05:002023-06-26T02:19:44-04:00কামরুন নাহার রুনু_https://www.bangla-kobita.com/runu123/<p>চশমাটা মেঝেতে পড়ে ফাটল দিল চার-পাঁচটা,<br />তাই আজকাল ঘোলাটে সব! <br />দেশ স্বাধীন হবার পর থেকে আমি এখনও ঘুমাই নি। <br />আমি কেবল জেগেছিলাম সোনালী শস্য দেখার জন্য! <br />শুধু চেয়েছিলাম, মানুষের মাঝে জাগুক হৃদ্যতা! <br />চাইনি এমন সমাজ, যেখানে কেবল জন্মেছে, নষ্ট ভ্রুনের অঙ্কুর!<br />পায়ের দগ্ধ ক্ষতে এখনও জ্বালাপোড়া করে! <br />এখনও শুশ্রূষার অভাবে গায়ের চামড়া চিংড়ির খোসার মত<br />ফুলে ফুলে উঠে! আমি কেবল দেখে যেতে চেয়েছিলাম; <br />আমরা কেবল দেখতে চেয়েছিলাম! <br />সবুজ মন নিয়ে মানুষ কেমন মানুষের মাঝে বেঁচে আছে; <br />দুধে-আলতা রঙে মানুষের বিশ্বাসী রোদ গায়ে মেখে<br />দেখে যেতে চেয়েছিলাম ;<br />প্রতিটা মানুষের ভেতর শ্রদ্ধা ও ভালবাসায় গজানো শেকড়।</p>
<br /><p>কিন্তু, কিন্তু এ কী?<br />আমি নির্বাক হয়ে জানালার পাশে কান পেতে শুনি<br />মানুষ হয়ে মানুষকে জ্যান্ত পুঁতে দেবার আহ্বান<br />শুনি গুলির আওয়াজের ধ্বনি! <br />দেখি,মানবতার নামে ছুরি হাতে ধেয়ে আসছে কিছু নষ্টজন্মা নরকী প্রেতাত্মা; মানুষ হয়েও যারা ধেয়ে আসে; রক্তের গন্ধ শুঁকতে! <br />তারা কি আদৌ মানুষ? <br />এ আমারই চির চেনা দেশ; তবু কেনো এতোটা অচেনা ?<br />মানুষের খোলসে এরা কারা?<br />আমার সোনার দেশে কেন আজ মানবতার শবদেহ ছিঁড়ে ছিঁড়ে<br />খাচ্ছে আছে যত বেজন্মা শেয়াল কুকুর। <br />এখনও মারণাস্ত্র নিয়ে ঘুমহীন যত লোকজ-নগর<br />এখনও কাটেনি সুনসান আঁধারে মোড়া আমাদের<br />প্রিয় নদী ও মানুষ, মানুষ ও প্রকৃতির অনিরুদ্ধ সীমানা। </p>
<br /><p>এ কেমন নগ্ন সভ্যতা? <br />আর কত রক্ত ঝরালে তুমি পুণ্যভূমিতে রূপান্তরিত হবে! <br />আর কত অমানবিক তীক্ষ্ণ ঠোঁটের কবলে<br />মৃত্যুর হার বাড়লে তুমি জাগবে? আর কত মানব ধোঁয়ার কুন্ডলীতে <br />তুমি টগবগিয়ে উঠবে মানুষ আর অমানুষের খেলায়? <br />হে আমার দেশ? <br />তুমি এবার জাগো!!!!!!!!!!!!!!</p>@ 2024 - কামরুন নাহার রুনু_https://www.bangla-kobita.com/runu123/post20151031065744/প্রেম ও ধোঁয়া2015-10-31T06:58:13-04:002023-06-26T02:19:44-04:00কামরুন নাহার রুনু_https://www.bangla-kobita.com/runu123/<p>আমি বলছি আমি!<br />এ বছর খরায় যদিও ঝরে গেছে আমার সবুজ ডালপালা<br />বাকি আছে কিছু খয়েরী পাতা; <br />যা এখন আধা-খাওয়া গাছ পোকার দখলে<br />তবু আমি আছি আমি!</p>
<br /><p>আমার ভেতরের আমিত্ব নিয়ে আমি আছি আমি!<br />গেল বছর সারা বছর জুড়ে,দেখা হয়েছিল তার সাথে<br />কিছু আলাপন, কিছু ছোট-বড় প্রেমের খসড়া উড়িয়ে<br />সময়ের আহলাদ মেখে গায়ে; আমরা জন্ম দিয়েছিলাম আমাদেরই<br />সদ্য প্রসূত কাব্য শিশুকে! তাই তাকে লালন-পালন করতে<br />বেঁচে রইলাম এখনও আমি! <br />হ্যাঁ আমি আছি আমি! </p>
<br /><p>আমার শেকড় থেকে মাথা পর্যন্ত;সমস্ত শরীর জুড়ে<br />প্রতি ইঞ্চিতে ইঞ্চিতে যার এতটা প্রভাব; যেখানে নগর বাউল<br />মাটির গন্ধে ঠোঁটের বানানে বিশুদ্ধ অক্ষরে গেয়ে যায় <br />আমাদের অষ্টাদশী রোদের প্রতি স্তবকের দাড়ি-কমা;<br />কিংবা আছে যত যতিচিহ্ন!<br />এখন যদিও আমাকে এড়িয়ে দ্রুত চলে যায় কত আন্তঃনগর ট্রেন,<br />মাড়িয়ে কাক ভেজা ভোর;কিংবা ছুঁয়ে আটপৌরে সময়ের ঘুমন্ত শরীর!<br />তবুও আমার চোখে ঘুম নেই; আমি আছি জেগে!</p>
<br /><p>বলতেই পারো; এ আমার জন্মগত গভীরের ক্ষত; কোন এক বনেদী বিশ্বাস; বলতেই পারো; শত শত আলোর মৃত্যুর মাঝে;<br />এ আমার একটিমাত্র বিশ্বাসী ঝকঝকে আয়না! সোনালী সুহৃদ! <br />আমার ভালবাসার একমাত্র আশ্রয় কিংবা ভেতরে ঘুমন্ত মাটিকে<br />বাঁচিয়ে রাখার একমাত্র প্রশ্রয় ! ঘাসের চাদরে মোড়া ঢেকে থাকা<br />গোপন দরজা! </p>
<br /><p>তাই আমি রয়ে যাই, নিরুত্তর প্রশ্নের উত্তর খুঁজে নিতে,<br />আমি রয়ে গেছি,মন্ত্র মুগ্ধের মতো তোমার আজন্ম পাঠক হয়ে<br />কেননা আমি জানি, রাতের নাজুক শরীর ছুঁয়ে<br />জন্ম নিবে নতুন ভোরের বিস্তৃত অক্ষর।</p>@ 2024 - কামরুন নাহার রুনু_https://www.bangla-kobita.com/runu123/post20151029072553/পিপাসার্ত চোখ2015-10-29T19:26:30-04:002023-06-26T02:19:44-04:00কামরুন নাহার রুনু_https://www.bangla-kobita.com/runu123/<p>আমাকে ফিরিয়ে দাও যদি, তবুও বার বার<br />তোমার বুকেই খুঁজে নিবো আমার ঘরবাড়ী চৌকাঠ! <br />তোমার সিথানে এতটুকু জায়গা পেলেই<br />আমি হবো সমস্ত আলোর শহর।</p>
<br /><p>তোমার কপালের বিন্দু বিন্দু ঘাম ছুঁয়ে; <br />জীবন বৃষ্টির কাছে সঁপে দেবো তনুমন। তখন <br />উপমা উৎপ্রেক্ষায় সাজিয়ে নিও আমার ভেতরে<br />বেড়ে উঠা দীর্ঘ সিঁড়িময় ভালোবাসার ভূ-খণ্ড টুকুতে। </p>
<br /><p>রহস্যময় তুমি তোমাকেই দেবো তুলতুলে সাদা মেঘ! <br />মায়াবী রাত, এঁকে দেবো কেতকী পাতার তরণীতে;<br />ঝলমলে তারার টিপ, তুমি সোনালি বিগ্রহে ভাসিয়ে নিও<br />আমার সোহাগী আঁচল,শ্বাস হয়ে ছড়িয়ে দিও ইরানী আতর।</p>
<br /><p>আমি চাইনা কোন ঘর, শুধু চাই এতটুকু বিশ্বাসী চাদর <br />যেখানে কুমারী গোধুলি পিপাসার্ত চোখ,তোমার বুকের<br />কমলা রঙের রোদে ভিজে শস্যের মতো হবে ফলবতী! <br />শামুকী শরীর থেকে খসে যাবে সোনার নাকফুল।</p>@ 2024 - কামরুন নাহার রুনু_https://www.bangla-kobita.com/runu123/post20151025065535/টাইম আপ2015-10-25T18:56:20-04:002023-06-26T02:19:44-04:00কামরুন নাহার রুনু_https://www.bangla-kobita.com/runu123/<p>গতিপথে রেড সিগন্যাল, অপেক্ষার পালা<br />আসছে অ্যাম্বার, ক্লিয়ার হলে যাতায়াত অনুমোদিত<br />রেড সিগন্যাল বরাবরই অনাকাঙ্ক্ষিত,<br />তবুও আমি আজন্ম রেস আরোহী! <br />একটু সতর্ক থাকুন, সামনে কোনো এলিয়েনও থাকতে পারে<br />রাস্তায় উড়ছে জন্মান্ধ আঁধার; তাই <br />এখনও আলোর খোঁজে কিছু গন্তব্যহীন পথিক<br />ছোট বড় পায়ের ছাপ, গাড়ি আর টায়ারের ক্ষত, <br />স্বপ্নের অন্তিম শয্যায়, নতুন ফসলের অন্তরে ক্যান্সার<br />তবুও যখন অবসন্ন পায়ে ফিনিশিং লাইনের কাছাকাছি...<br />তখন ই বেজে উঠে এক তীব্র চিৎকার….. <br />‘টাইম আপ, টাইম আপ’………………</p>@ 2024 - কামরুন নাহার রুনু_https://www.bangla-kobita.com/runu123/post20151022045719/আত্মসমর্পণ2015-10-22T04:57:43-04:002023-06-26T02:19:42-04:00কামরুন নাহার রুনু_https://www.bangla-kobita.com/runu123/<p>ক্ষণিকের আত্মসমর্পণে হাসছো বুঝি পথিক? <br />আমি ভুল রঙে ছুড়ে দিয়েছিলাম মৌন চুম্বন! <br />তুমি টেরও পাওনি জানি, জানতেও চাওনি কখনও; <br />যেখানে নৌকার পাটাতনে বাঁধা ছিলো <br />আমার সব বিশ্বাস।</p>
<br /><p>তাই পাহাড়ের বুকে জমেছিলো নীরব মেঘের বাসর! <br />দেখে নিও সেখানে এখনও জমে আছে, <br />ধোঁয়াটে প্রেমের সন্ধি! <br />সুউচ্চ পাহাড়, বিস্তৃত দিগন্ত ছুঁয়ে সবুজ ঐশ্বর্য<br />এতো চিরদিনের সৌন্দর্যময় প্রেমের গভীর নিঃশ্বাস! <br />আড়ি পেতে দেখো; <br />দৃশ্যের গভীরতায় আটকে আছে<br />কত সাবলীল ভোর! <br />নেশা ধরা দুপুরের নিদ্রাময় আয়োজন! <br />হেমন্তের গাঢ় জ্যোৎস্না মেখে মায়াবী রাতের ব্যাকুলতা। </p>
<br /><p>তাই এখনও অভিমানী মেঘ <br />শব্দের দ্বার ছুঁয়ে ঝরে অবলীলায়! <br />তুমি এলিয়েছিলে দরজার কপাট; <br />আমি তাতে ধূপ হয়ে জ্বলেছি! <br />পথিক তুমি কখনই জানতে পারনি <br />তার পূর্ণিমার ঘ্রাণ।</p>
<br /><p>যা তোমার কাছে ছিলো অপ্রাসঙ্গিক অস্থির! <br />সে ছিলো আমার প্রত্যয় প্রত্যাশার আহ্বান;<br />আমার আগামীকাল।</p>@ 2024 - কামরুন নাহার রুনু_https://www.bangla-kobita.com/runu123/post20151019020755/অনাবৃত শরীরে জীবনের সজীবতা2015-10-19T14:08:15-04:002023-06-26T02:19:42-04:00কামরুন নাহার রুনু_https://www.bangla-kobita.com/runu123/<p>কাগজে মোড়া শুদ্ধ জীবনের চাবিটা<br />যখন করলো, সিগারেটে আর চায়ের কাপে আত্মসমর্পণ! <br />কুঁকড়ে গেল তখন সোনালী ভোর,আর সেদিন থেকে<br />পুস্টিহীনতায় ভুগলো সদ্য জন্ম নেয়া ছোট চারা গাছ।</p>
<br /><p>শামুকের ঝিনুক ঝিনুক খেলা সমাপ্তি টানলো তমসা<br />বাহির হতে যতই ডাকাডাকি করছে সোনালী বালি;<br />বেড়িয়ে এসো কে আছ ভেতরে?<br />গুটিসুটি যেমন করে আধপেটা বিদীর্ণ আত্মা;<br />অঘুমের মাঝেও ভানরত ওম খুঁজে ছেঁড়া জ্যোৎস্নায়।</p>
<br /><p>চেনা অক্ষরগুলো পৌষের কুহেলিকায় পর্দা টানছে অহরহ! <br />রাতজাগা পাখির সজাগ দৃষ্টি রাখে যেনো; <br />পরিচিত শ্বাসগুলো দীর্ঘশ্বাসে পরিনত না হয়! <br />ছত্রাকে আবৃত ঘাসফুল জীবনের হাসি ভুলে<br />শুদ্ধ চারণভূমির অপেক্ষায়।</p>
<br /><p>ঘুণপোকায় কাঁটা খিড়কীর কাঠ যেখানে;সেখানে- <br />পাঁচিল ডিঙ্গিয়ে বেজন্মা গাছ জন্ম নিলো আর একটা! <br />নতুন করে পুরাতন কঙ্কালের চিৎকার আজ<br />অনাবৃত শরীরে চায় জীবনের সজীবতা।।</p>@ 2024 - কামরুন নাহার রুনু_https://www.bangla-kobita.com/runu123/post20151015020154/যদি ঘাতক হয়ে আসো তবে সরে দাঁড়াও2015-10-15T02:03:25-04:002023-06-26T02:19:42-04:00কামরুন নাহার রুনু_https://www.bangla-kobita.com/runu123/<p>যদি ঘাতক হয়ে আসো তবে সরে দাঁড়াও! <br />আমি চাইনা শান বাঁধানো ঘাটে এক রত্তি রক্তের তোলপাড়<br />এখানে শাপলা শালুকের গোলাপী আভায়;<br />সোনালি মাছের কোলাহলে চাইনা শ্বাসকষ্টের আঁচড়। </p>
<br /><p>অনেক কাজ বাকি……………….. <br />এখনও হয়নি সময় মৃত্যুর সাথে আলিঙ্গন করার! <br />আমি চাইনা কাঁটার আঘাতে নুয়ে পড়ুক অশ্বথের ডাল;<br />আমি চাইনা বিশ্বাস ভঙ্গ করে হাসুক মফস্বলি ঠোঁট,<br />এখানে এখনও বাকি সময় ছোট ছোট ভাবনার বড় হবার স্বাদ! <br />কিছুটা সময় দিতেই হবে এই পরাবাস্তব শহরকে।</p>
<br /><p>এখনও হাহাকার জড়ানো মুখগুলো ফুটপাতে অপাঠ্য চিৎকারে<br />প্রতিদিন মরছে, গুনছে আগত সবুজ বিশ্বাসের প্রশ্রয় পেতে! <br />যদি এমন আশ্বাস দিতে পারো তবে শুষে নাও সবটুকু তিক্ততা, <br />সুদীর্ঘ চুম্বনে, মাতাল বৃষ্টির ছোঁয়ায় মুছে দাও আড়মোড়া দেয়া<br />আমাদের সকরুণ দ্বন্দ্বের হামাগুড়ি ছাপ। </p>
<br /><p>আর যদি ঘাতক হয়ে আসো তবে সরে দাঁড়াও! <br />আমি দেবনা মাথা নত হতে আমাদের প্রিয়তম অনুভূতিদের;<br />দেবনা কোন এক নির্জন বেরসিক হাত এসে ছুঁয়ে দিক ,<br />আমাদের মানবতার ছায়া বনবীথিতল ওষ্ঠের পল্লব! <br />যেখানে ছড়িয়ে আছে চন্দনের ক্ষেত,আছে অনাবিল শস্যের শুভ্রতা;<br />জোনাকির চুমকি মেখে কৃষ্ণজল যেখানে নাচে অতল জলের আহ্বানে।</p>
<br /><p>যতই ভৈরবী সুর হারাক,যতই উচ্ছৃঙ্খল বাতাসে ওলোটপালট হোক! <br />আমাদের সদ্যোজাত সজল অনুভূতি এই কুহক সময়ে;<br />তবুও আমাদের আকাঙ্ক্ষার ডানা সতত মিশে থাকবে<br />আকাশের অভ্রে ও আবীরে। </p>
<br /><p>যদি ঘাতক হয়ে আসো তবে সরে দাঁড়াও!!</p>@ 2024 - কামরুন নাহার রুনু_https://www.bangla-kobita.com/runu123/post20151012064601/অগ্রজ2015-10-12T06:46:40-04:002023-06-26T02:19:42-04:00কামরুন নাহার রুনু_https://www.bangla-kobita.com/runu123/<p>চারদিকে কামিনী ফুলের সৌরভ! <br />মুগ্ধ আত্মবিশ্বাসে ভিজে গেলো আমাদের পূর্ব পুরুষের ভিটেমাটি;<br />চিলেকোঠা, ঘরের বারান্দা,রাত শয্যার তুলো<br />জ্যোৎস্নার নির্যাসে ভিজে গেলো <br />অযত্নে পরে থাকা বাবার ইজিচেয়ার! <br />হতাশা ভরা চাহনী আজ ভুলে গেলো <br />কপালে হাত ছোঁয়ানো আমাদের অগ্রজদের <br />কষ্টার্জিত বিন্দু বিন্দু ঘাম। </p>
<br /><p>শুধু এইটুকু ভেবে সুদিন আসবে<br />আবার আলো আঁধারের দুটি পথ ছুঁয়ে ছন্দের নৈবেদ্যে; <br />জন্ম নেবে আমলকি, কদবেল, জামরুল আর নাসপাতির কচি পাতা। <br />লুপ্ত ইতিহাস আবারও সকল ঝঞ্ঝাট ভেদ করে<br />সুবর্ণ বীজকোষে মাথা চারা দিয়ে উঠবে নতুন আগ্রহে।</p>
<br /><p>নোংরা বস্তি, ফুটপাতে শিশুর কান্না, উপাসনালয়ে লোক-দেখানো <br />প্রার্থনা, নিষিদ্ধ গণিকালয়ে মুখচোরা ভদ্রলোকের আনাগোনা, <br />সিগারেটের ধোঁয়ার মতো বন্ধুর বিশ্বাস, তাসের মতো ছড়ানো <br />প্রেমের প্রতিজ্ঞাবদ্ধতা যখন ক্রমশ এগিয়ে যাচ্ছে<br />ভুল পদক্ষেপে, ভুল সংজ্ঞায় তখন…………………</p>
<br /><p>রুদ্রের চুমুতে পীড়নের দাগ মুছে গিয়ে বক্ষবন্ধনী জুড়ে থাকুক<br />আমাদের পূর্বপুরুষের বিশুদ্ধ মাটির মায়া। <br />অযাচিত ভাঙন নয়, নয় সভ্যতার বিলুপ্তি, সম্পর্কের অস্থিরতা নয়; <br />সহাস্যে বিশুদ্ধতম মানুষ জন্মের জন্য ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনায় রত হোক <br />আমাদের প্রতিটা মৌসুমি রাত! </p>
<br /><p>তাদের জীবন ও জীবিকার পবিত্র উপাখ্যান লেখা হোক<br />আমাদের আগত সন্তানের বুকে।</p>@ 2024 - কামরুন নাহার রুনু_https://www.bangla-kobita.com/runu123/post20151008092947/তোকে ছুঁতে গিয়ে2015-10-08T09:30:23-04:002023-06-26T02:19:39-04:00কামরুন নাহার রুনু_https://www.bangla-kobita.com/runu123/<p>তোকে ছুঁতে গিয়ে,<br />তোর মাদকতায় মাখামাখি;<br />আমার জমাট নিঃশ্বাস।<br />মাটির গন্ধে এতই ভালবাসা যে<br />ফিরে গিয়েও বারবার;<br />এই প্রান্তরে আমারই বসবাস।</p>
<br /><p>ঘাসফুল আর ফড়িং যখন শিশিরের<br />সাথে বন্ধুত্বে ব্যস্ত,তখন লজ্জাবতীর<br />ছোট ছোট গাছগুলো নিজেকে লজ্জায় গুটিয়েছিল।<br />যদিও নদীর জলে ভাসছিলো কিছু পিপীলিকার দল;<br />খাবারের সন্ধানে হয়ত উজানে তাদের যাত্রা।<br />আমি তখন বৃক্ষ হয়ে ভাসিয়েছিলাম <br />কিছু পাতার তরী! <br />পাছে পিঁপড়ার উজানে যেতে ব্যঘাত না হয়।</p>
<br /><p>জুড়ে থাক এ মন তোর তরঙ্গিণীতে<br />যেন পদ্মপুকুরে সাঁতার না জানা <br />সাঁতারোর আত্মপক্ষ সমর্পণ।<br />তোর কিনারায় একবার আমি<br />কাঁঠালচাঁপা হয়ে জন্মেছিলাম! <br />কোথা থেকে এক ঝাঁক পাখি এসে<br />বসলো আমার খয়েরী ডানায়।<br />কত গল্প , কত সুরে গান গাইলো তারা<br />ঠোঁটে ঠোঁট মিলিয়ে, কত কথা বলে গেল;<br />কত নামে ডাকাডাকি করলো সেদিন! <br />তাদের ভালবাসার স্পর্শ;<br />আমার গায়ে এখনো লেগে আছে। </p>
<br /><p>যদিও সে বেশ আগের কথা, তবুও<br />সেই ছিল আমার সবচেয়ে সুন্দরতম প্রেয়সী ভালবাসা! <br />সেদিন,ফাল্গুনী হাওয়ার বাতাবী লেবুর গন্ধে <br />মাতাল সমীরণে…<br />তুই কেশ এলিয়েছিলি;আমার বুকের দেয়ালে! <br />একেবারে কাঁঠালচাঁপার গা ঘেঁষে; <br />তোর চুলে গুঁজা ছিল মাধবী লতা আর <br />হাতে ছিল বেলীফুলের মালা।</p>
<br /><p>তোর ঠোঁটে তারার উজ্জলতা ছিল;<br />আর, আমি তখন বৃক্ষ হয়েও তোর ভালবাসায় <br />হয়ে উঠলাম,এক পরিপূর্ণ যুবক! <br />সেদিন,তোর নাভিমূলে এঁকে দিয়েছিলাম<br />ভালবাসার রক্তিম গোধুলী।।</p>@ 2024 - কামরুন নাহার রুনু_https://www.bangla-kobita.com/runu123/post20151005041124/স্বপ্নের চিঠি2015-10-05T16:13:03-04:002023-06-26T02:19:39-04:00কামরুন নাহার রুনু_https://www.bangla-kobita.com/runu123/<p>একদিন স্বপ্ন শিরোনামে চিঠি পৌঁছে যাবে প্রতিটা রাস্তায়। <br />শহরের দেয়াল, টিএসসির বৈকালিক আড্ডা আর<br />চারুকলায় তুলির আঁচড় ছুঁয়ে প্রতিটি শিক্ষাঙ্গনে।</p>
<br /><p>চিঠির ঠিকানা পাওয়া যাবে রাস্তার অলিগলিতে<br />গ্রামের গেরুয়া পথে, মানুষের মিছিলে মিশে থাকা<br />অভুক্ত শিশুর শুকনো মুখে। <br />ঠিকানা পাওয়া যাবে পাতা কুড়ানি মেয়েটির চোখে<br />প্রখর রোদে কাতর পানি বিক্রেতা কিশোরের বুকে। <br />চিঠি পৌঁছে যাবে প্রতিটি মনের সবুজ নদীতে<br />যেখানে সযতন আকাশে ওড়ে শঙ্খচিল <br />যেখানে মসজিদ, মন্দির, গির্জার পবিত্রতা বহমান।</p>
<br /><p>এই চিঠিতে প্রশমিত হবে শিশুর কান্না <br />হবে ক্ষুধার অবসান, ওরা হবে চঞ্চল, সবুজ-তাপস। <br />এই চিঠির বিশুদ্ধ হাসিতে থেমে যাবে জগতের প্রবল ক্ষয়।</p>@ 2024 - কামরুন নাহার রুনু_https://www.bangla-kobita.com/runu123/post20151002032935/এই সব দিন রাত্রি2015-10-02T15:30:29-04:002023-06-26T02:19:39-04:00কামরুন নাহার রুনু_https://www.bangla-kobita.com/runu123/<p>এই ক্ষেপা শহরে চলছে হরদম<br />চায়ের কাপে ক্লান্তি দূরীকরণের উষ্ণ চুমুক! <br />এক একটা বিস্কুটের কামড়ে, এক-একটা ভুল বৃত্তান্ত! <br />শিকড়ে বাঁধা মাটি উপড়ে ফেলার তুখোড় আন্দোলন; <br />চলে পাইপের মত গলা বাড়িয়ে, অন্যের হাঁড়ির খবরের আগ্রহ। </p>
<br /><p>যে ছবি আজ গ্যালারীর শোভা হয়ে আছে! <br />একদিন সে ছিল হয়ত, কারো বুকে ঝড় তোলা বৃথা হয়রানী; <br />কিংবা ইশতেহার হাতে বিজ্ঞাপন আর সাইনবোর্ডে খুব পরিচিত মুখ।<br />সময়ের আবর্তনে ভেসে যায় বিগত সময়<br />শুধু রয়ে যায় তার কিছু ছাপ।</p>
<br /><p>বাড়ন্ত মধ্যপুকুর আর চৌরাস্তার প্রশস্ত বুকে আছড়ে পড়ে<br />নিভাঁজ শাড়ির আঁচলে রোদের আদর! <br />আলুথালু তন্দ্রাতুর চৈতন্য, কারো অজ্ঞাত ভূমিকায় গড়ে উঠে<br />কারো কারো নতুন নিবাস।<br />স্বপ্ন আর জীবিকার শেষ আশ্রয়টুকু চুষে খায়; <br />ইটপাথরের নিরেট পাথুরে শহর।<br />কোন এক অসতর্ক মুহূর্তে, কেউ কেউ জড়ায় স্বপ্ন ভাঙার<br />অবাঞ্ছিত চুম্বন রেখা। </p>
<br /><p>খুব সহজেই বদলে যায় এ<br />শহরের আলোময় এই সব দিন রাত্রি! <br />ঘুমায় মানুষের স্মৃতি জাগরণ! <br />মসৃণ জাজিমে জমা হয়,ধুলো মাখা ছত্রাক! <br />ভুলে ভরা আপদমস্তক কেবল পড়ে থাকে<br />হাড্ডিসার কঙ্কাল হয়ে।।</p>@ 2024 - কামরুন নাহার রুনু_https://www.bangla-kobita.com/runu123/post20150930064252/শরত সোহাগী2015-09-30T06:45:02-04:002023-06-26T02:19:39-04:00কামরুন নাহার রুনু_https://www.bangla-kobita.com/runu123/<p>আসমানে সাদা তুলার নাহান মেঘ, উঠানে চকচইক্যা রইদ <br />তহন সোহাগীর বুকে নাচে সমুদ্দুর, <br />টিনের চালে শালিকজোড়া কি কথা কয়! <br />আচমকা গরজায় আসমান – সোহাগীর কাঁপে না পরান<br />ঝুপ-ঝাপ মেঘের কান্দনে ভিজা একাকার সোহাগীর গতর। <br />মরদ দেহে, হায়রে বৌ একেবারে ভিজা লোতর পতর<br />আলতা মাখা পা; কাদায় মিশা একাকার<br />ছি ছি ছি! পাড়ার নুরী বেউয়া দেখলে কইবো কি?</p>
<br /><p>এই অবেলায় আসমানের এতো তেজ, বৃষ্টি নামছে জোরে<br />উঠানে সোহাগী নাচে ,যেন গাঙ্গের ঢেউ! <br />আড়ালে লুকাইয়া দেহে যদি কেও? <br />সোহাগী চোখে চোখে ঠারে ঠারে দেহে সুয়ামিরে <br />দেহ, এই মেঘের ভিতরে আসমানে ওই দূরে গাঙচিল উড়ে<br />মরদের ঠোটে চতুরির হাসি ;<br />সেই হাসিতে কাশবনে লিলুয়া বাতাসের কাঁপন<br />তবুও সোহাগী আইজ কেমুন কেমুন- উচাটন মন! </p>
<br /><p>ওই দেমাগি, এতই যদি বিগার ওই শরীরে, লো চকে যাই<br />ধানের ভাঙ্গা আইল সাড়াই ,পুড়া জমিন পানিতে ভরাই<br />সোহাগী চোখ নাচায়, ভাবখান-আমি কি ডরাই, কিসের বড়াই<br />বৃষ্টির জোর কমলে, ভাঙ্গা জমির আইল বান দেওন লাগবো ; <br />তবুও মরদ ফাঁসে সোহাগীর জালে,<br />মহুয়ার গন্ধমাতাল করে মন, চাষার পোলায় করবো কি অহন?</p>
<br /><p>জমির আইলে বেশরম বউ-তবু চোখ ফিরায় মরদ সবুজ ক্ষেত্রের দিকে<br />চাইর দিকে খালি সবুজ আর সবুজ, গুণটানা মাঝি আচমকা টানে সুর<br />মরদ গলায় দরদ আইনা কয়.........<br />দেখ বউ ফসলের মাঠ সবুজ ফসলে কিমুন বেসামাল! <br />ঐযে পুয়াতি বউয়ের মতন, ধানের শীষ ফাইটা ফাইটা যায় <br />সোনালি শীষ নাচবো কয়দিন পরে, জবর ফসল অইবরে বউ; <br />আমাগো কপাল ফিরবো , কয়দিন পরে গোলায় তুলুম ধান<br />আহারে সোনালি ধান, কয়টা খরার পরে,<br />এইবার সুখ আইব চাষার ঘরে।<br />এই শরতের শেষেই ফসল কাটুম <br />হেমন্তের উৎসব আগেই মানামু<br />অভাগী বইনডারে নাইওরে আনুম , <br />জংলি ছাপার শাড়ি কিন্না দিমু তারে<br />হইছে, তুই আবার মুখ গোমরা করিস না ,<br />তরে ও দিমু লিলাম্বরী শাড়ি।</p>
<br /><p>জেলে পাড়ায় যেন জীবনের মেলা<br />দরিয়ায় মাছ ধরে, জাউলার দল ভয় নাই বুকে <br />গহিন সমুদ্রে মাছ ধরে সুখে , <br />মহাজনের টেকা দিয়াও মেলা লাভ থাকে<br />মাছ যদি জুটে -জেল পাড়া নাচে সুখে <br />খ্যামটা নাচ ঝুমুর তালে! <br />কোমড় দোলায় যইবতি কন্যা ।</p>
<br /><p>মুখ ভার সোহাগী মরদের পেছনে পেছনে হাঁটে<br />মরদের হাত ছাইড়া গভীর কাশ বনে হারায়- <br />সোহাগিরে নিয়া- বেচাইন<br />বাতাসে কাশবনের ফুল দোল খায়,<br />কহনযে সোহাগী কাশবনে দিছে ডুব<br />বেচাইন মরদ……........................</p>
<br /><p>শরতের কবিতা(আঞ্চলিক ভাষায় লেখা)দুই যুগ দেশের বাহিরে তাই কবিতায় বানান ভুল হলে ক্ষমা করে দিবেন সবাই।</p>@ 2024 - কামরুন নাহার রুনু_https://www.bangla-kobita.com/runu123/post20150927052838/বাবা2015-09-27T17:32:51-04:002023-06-26T02:19:36-04:00কামরুন নাহার রুনু_https://www.bangla-kobita.com/runu123/<p>এখানে এই চৌরাস্তার মোড়ে ছিল<br />আমার প্রিয় কবিতার পংতি লেখা, <br />আজ রঙ্গিন পোষ্টারে মোড়া বিজ্ঞাপনে <br />ঢাকা পড়ে আছে সব।</p>
<br /><p>এই ঝাঁ ঝাঁ রোদ্দুরে একদিন আমার বাবা<br />জোয়াল ধরেছিলেন শক্ত হাতে<br />গ্রীষ্মের খাঁ খাঁ জমিনে বৃষ্টির নরম ছোঁয়ায়<br />পুরোটাই কর্ষণ করতে চেয়েছিলেন তার<br />আজ ওপারের পথে ঘুমন্ত তিনি <br />আগুনের স্ফুলিঙ্গের মত ইস্তেহার হাতে <br />হাঁটছেন যুগের পর যুগ।</p>
<br /><p>এ শহরের আনাচে- কানাচে <br />ফসলের গুচ্ছ হাতে <br />বুকে প্রশান্তির স্বাদ নিতে চেয়েছিলেন,<br />তবু, বারবার বেকার পুরুষ হয়ে <br />পথে পড়ে থাকা মাটির ঢিবি পেড়িয়ে<br />দিন শেষে শিস দিয়ে ঘরে ফিরেন তিনি।<br />কিছুই অসম্ভব নয় তবে বড় বেশী অসম্ভব<br />যথারীতি পূর্ণতা পাওয়ায়।</p>
<br /><p>মায়ের চুলে ঢেউ খেলা বাতাসের চঞ্চলতায়<br />দুরন্ত যুবকের মত স্বাদ নিতেন; যেমন করে ক্লান্ত পথিক <br />গলির মোড়ে একটানা নিঃশ্বাসে নেয়; কলতলা থেকে<br />জলের অমৃত আস্বাদ।</p>
<br /><p>ধূমায়িত বিতর্ক শেষে স্তূপীকৃত জঞ্জাল সরিয়ে<br />রোদের আদর মেখে ঝকঝকে আয়নায় <br />দেখতেন নিজের মুখাবয়ব , যেমন <br />মায়ের বুকের কাছে শান্ত শিশু।</p>
<br /><p>চারদিকে মাকড়শার জালের মত<br />ভালবাসা ছড়াতে ছড়াতে<br />আত্মবিশ্বাসের কাছে আজন্ম ক্রীতদাস তিনি,<br />কাঙ্গাল মন তার-<br />ঘর ভরা দুপুরে এক ফালি বিশ্বাস খুঁজে<br />যেখানে হাড্ডিসার কঙ্কাল স্বরূপ কপাট আগলে রাখা<br />আমাদের উদ্ভট আকাঙ্ক্ষাগুলো ছড়ানো।</p>@ 2024 - কামরুন নাহার রুনু_https://www.bangla-kobita.com/runu123/post20150921024504/কলঙ্কের জলছাপ2015-09-21T02:48:39-04:002023-06-26T02:19:36-04:00কামরুন নাহার রুনু_https://www.bangla-kobita.com/runu123/<p>বুড়িগঙ্গার বিদীর্ণ ভাগ উপচে পড়ছে ঢেউয়ের কার্নিশে<br />গভীর নিস্তব্ধতা যেন প্রকৃতির মানসপটে <br />জ্বলন্ত নক্ষত্র রঙ্গিন মায়ায় রকমারী সাইনবোর্ডে<br />ভ্রু কুচকে মেঘের বিরহজালে সোনামুখি সুঁই এ বুনছে<br />অগণিত দিন রাত্রির বিস্তৃত অক্ষর।</p>
<br /><p>চারদিকে কেবল নিস্তব্ধতা, বিচ্ছিন্নতা<br />কোথাও কেউ নাই।<br />গোবরের ঢিবিতে ভিড় করছে অগণিত কীট<br />পরিন্দারা করে যাচ্ছে একটা দুটো মৃদু আওয়াজ<br />নদী জল মুছে দিচ্ছে পিঠ ভর্তি কলঙ্কের দাগ।</p>
<br /><p>ভোর হতে না হতেই সোনার রোদে <br /> গণিকালয় থেকে মাথায় ঘোমটা টেনে<br />পূরবী চলছে ঘরমুখী হয়ে<br />তার আস্তিনের নীচে কতজনার <br />শরীরের ভাঁজ পড়ে আছে।<br />ইতস্তত কিছু পথিক তাকালো, আড়চোখে <br />যখন পায়ের ঘুঙুর তার ছোঁয়ায় শীতের শিশির।<br />নিঃশ্বাসে অশুদ্ধ বাতাস<br />আঁচলের ফেস্যু ধুয়ে শুদ্ধ করে চলে<br /> বুড়িগঙ্গার জলে।</p>
<br /><p>কন্যা তিলকের বায়নায় ভুলে যায় সে<br />কাল রাতের গল্পে ছিল কত চরিত্র<br />কত মুখ অপরিচিত। <br />পায়ে পায়ে ঘুরে পুষি বিড়ালের মত<br />স্নেহাতুর মা জড়ায় তাকে বুকের গভীর অতলে।</p>
<br /><p>জ্বালায় আগুন নিভন্ত উনুনে উপোস হাড়ির নীচে<br />চাদর, মশারি, চামচ,পিরিচ<br />চৌকি, পিড়ি, ঘরের শতরঞ্জি <br />ঝকঝকে রোদ পড়ল যখন মলিন কাঁথার বালিশে<br />হেসে উঠে বলে............<br />এমন রোদ্দুরে দুঃখ গেছে দূরে<br />সবুজ পাতা হেসে বলে<br />জেগে থাক গ্রাম, জাগো লোকালয়।</p>@ 2024 - কামরুন নাহার রুনু_https://www.bangla-kobita.com/runu123/post20150918024515/কথোপকথন2015-09-18T02:49:08-04:002023-06-26T02:19:36-04:00কামরুন নাহার রুনু_https://www.bangla-kobita.com/runu123/<p>প্রান্তঃ একদিন গ্রীবা হতে ঘাড় পর্যন্ত তোর চুলের মুঠি ধরে ঐ আফিমের নেশা ভরা দুটো চোখে, আমি এঁকে যাব লতা, পাতা,গুল্ম আর প্রসূত হবে সহস্র ফুল। </p>
<br /><p>পূরবীঃ হা হা হা, হা হা হা, তোমার ঐ শূন্য সফেদ ক্যানভাসে স্পষ্ট ধরা পড়বে এক গোছা চুলের দাগ, যেখানে চোখ রেখে দেখবে কি অদ্ভুদ বেদনার রঙ, স্পষ্ট আবেদন মাখা নিরেট এক জোড়া চোখ। কোন দাবী নেই তার নেই অভিযোগ।</p>
<br /><p>প্রান্তঃ একদিন তোর সিঁথিতে এঁকে দেব লাল পালকের সিঁদুর , কপালে লাল টিপ সেদিন লাল পেড়ে শাড়ি তে তুই খুব মানাবি। তোর পুরোটা শরীর হবে দীঘল কবিতা। যেন উপমা অনুপ্রাসে ভরপুর চিত্রকল্প।</p>
<br /><p>পূরবীঃ হা হা হা , হা হা হা, আমার সিঁথিতে আলপনা এঁকে তুমি হবে নিস্ফল। চারদিকে ঘন অমানিশায় ঐ লাল রঙ ঢাকা পরবে অন্ধকার সমুদ্রের উত্তাল ঢেউয়ে। শুধু থেঁতলে যাওয়া কিছু আশংকার মেঘ ভেসে থাকবে আমার চোখে। যতই তুমি লালীমা আঁকবে ঐ চোখে, আমি কেবলি সাদা আবরনে হব উজ্জ্বল।</p>
<br /><p>প্রান্তঃ একদিন আমি তোর শাড়ীর ভাঁজে চোরাকাঁটা হয়ে তোর মাঝে হারাবো নিজের সত্ত্বা। হব তোর পায়ের নূপুর। হাতের চুরি হয়ে ঝন ঝন করে বেজে যাব সারাক্ষণ । হব তোর কমরের বিছা, থাকব তোকেই ঘিরে।</p>
<br /><p>পূরবীঃ হা হা হা, হা হা হা, আমি তখন নিঘাড় ঘুমে অচেতন নিঃসঙ্গ অধ্যায়। অনুভূতিহীন পাথরের গায়ে হয়ে রব অতৃপ্ত ছায়া। সৃষ্টির আনন্দ হতে দূরে, হব প্রবল ক্ষয়। আমার তখন শ্বাসে বিষাক্ত বিষ। </p>
<br /><p>প্রান্তঃ একদিন তুই দেখে নিস, আমি হব তোর চোখের কাজল, হরিয়াল সবুজ বনানী হয়ে ছেয়ে যাব তোর তনুমনে। কাশবনে সাদা বক হব দুজনে। উড়ে যাব শরতের আকাশে। হব তোর ঠোঁটের থর থর কাঁপুনি, লজ্জায় যখন তোর গাল লাল হয়ে উঠবে, তখন হব তোর ঠোঁটের তিলক।</p>
<br /><p>পূরবীঃ হা হা হা , হা হা হা, সেদিন আমি হব বড্ড জ্বালাময়ী বিষণ্ণ ছন্নছাড়া রাত। আমি তখন শুধুই তোমার অলীক মায়া, খয়েরী আঁধার, ধ্বংসানো নীলাভ শরীর। পুড়ে যাওয়া সলতের মত , বাদামের খোসার মত নিষ্প্রয়োজন অপয়া সংবাদ।</p>@ 2024 - কামরুন নাহার রুনু_https://www.bangla-kobita.com/runu123/post20150916011230/আমার চারপাশ2015-09-16T13:13:00-04:002023-06-27T03:31:26-04:00কামরুন নাহার রুনু_https://www.bangla-kobita.com/runu123/<p>আমার কোন ঘর কিংবা উঠোন ছিল না <br />যেখানে ভালোবাসার চৌকি কিংবা চৌকাঠ থাকবে।<br />ছিলনা আহলাদে ডুবে যাওয়া প্রিয় কারো বুক<br />কর্পূরের গন্ধে ভেসে যায়নি কখনও কোন <br />আলোছায়া মাখা আবির সন্ধ্যা।</p>
<br /><p>কখনও ধাবমান অশ্বের খুরে রাখেনি কেউ পা<br />একটা অপস্রিয়মাণ ছায়া নিঃসঙ্গ চেয়ারে<br />সারা রাত জেগে জাগিয়েছে প্রত্যাশার আগুন <br />সহস্র কোটি বছর থেকে একমুঠো পোড়া ছাই হাতে<br />আমি অপেক্ষমান মৃত্যুর জন্যে।</p>
<br /><p>এখানে উন্মত্ত উল্লাসে জাগেনি রাত<br />চারদিকে কেবল ছিল একটা কালছায়া<br />আমাকে ভাসায়নি অরণ্যচারী কোন ঢেউ<br />দম বন্ধ করা উচ্ছ্বাসে জলের চুম্বনে <br />পানকৌড়ির মত হয়নি সচকিত চাহনী আমার।</p>
<br /><p>আমি দেখেছি মটরশুঁটি বেড়ে উঠা ভালবাসার জমিন<br />দেখেছি পতঙ্গের ডানা মেলা হরিত বন<br />দেখেছি বাড়ন্ত ঘাসে নিজেকে সমর্পিত <br />শিশিরের কোমল আবেদন। আমি দেখেছি<br />সোনালী শস্যের বুকে শিহরিত আলগোছে বাতাস<br />দেখেছি জ্যোৎস্নায় ভেসে যাওয়া নদীজল টলমল।</p>
<br /><p>যেদিন ভালবাসা শব্দটা উচ্চারন করতে চেয়েছি<br />সেদিন আমার বিলুপ্ত নগরীতে তীব্র আর্তনাদে<br />রক্তের বন্যায় ভেসে গেছে মন মহুয়ার বন<br />আমার ঘন কালো চুল মুহূর্তে হয়ে গেছে<br />মরা শিউলি গাছের ডাল।</p>
<br /><p>আমিও চেয়েছিলাম কারো উষ্ণ অঙ্গুলি ছুঁয়ে দিক<br />আমার চিবুক, আমার নরম দুটি চোখ<br />রেশমি খোঁপা খুলে ভালবাসার অসহ্য উত্তাপে<br />ভিজিয়ে দিক আমার শাড়ির আঁচল।<br />আমিও চেয়েছিলাম নিথর পাথরে ফোটুক <br />চন্দ্র মল্লিকার গোপন পাপড়ি।</p>@ 2024 - কামরুন নাহার রুনু_https://www.bangla-kobita.com/runu123/post20150915015500/টোকাই2015-09-15T13:56:32-04:002023-06-26T02:19:34-04:00কামরুন নাহার রুনু_https://www.bangla-kobita.com/runu123/<p>মা ওমা, লোকে বলে<br />আমার নাম নাকি টোকাই;<br />আমার নাম টোকাই কেন মা?</p>
<br /><p>এই নামডা আমার ভাল্লাগেনা মা<br />জান মা, সবাই বলে মা জননী নাহি<br />বড় শব্দ, বড় উঁচু কথা;<br />আমি তো কোনদিন দেহি নাই তোমারে<br />তুমি কত হান উঁচু মা? তুমি কতহান লম্বা?<br />তোমারে দেখবার বড় ইচ্ছা হয় মা;<br />তুমি কি আকশের নাহান নীল?<br />নাহি, সাগরের নাহান ব্লীন?</p>
<br /><p>হুনছি, মা নাহি তার বাচ্চারে <br />নিজের বুকের সাথে জড়াইয়া বড় করে<br />আমি তো এমন কোন মারে পাই নাই;</p>
<br /><p>জান মা? সারাদিন কিচ্ছু না খাইয়া <br /> রাস্তার মোড়ে ঘুমাইতেছিলাম, আর<br />ঐ পুলিশ বেটা দিল এক লাঠির বারি,<br />মনে হইল যেন মইরা গেলাম মা।<br />উইঠা পূবের দিকে দৌড়াইয়া<br />খোলা আকাশের নীচে তোমারে<br />খুঁজতে গেলাম ; কই মা তুমি তো নাই;</p>
<br /><p>আমিও খাইবার চাই মা, আমিও ঘুমাইবার চাই<br />আমি তোমার গায়ের গন্ধ নিবার চাই মা<br />আমি আল্লাদ কইরা মা ওমা, মা ডাকবার চাই।<br />আমি স্কুলে যাইবার চাই মা<br />আমি ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ার কত কিছু হইবার চাই <br />আমি তোমার শাড়ী আঁচল ছুঁইয়া দেখবার চাই।</p>
<br /><p>শুনছি, মায়ের কাছে চাইলেই সব পাওয়া যায়<br />মা ওমা আমারে একখান মা আইন্না দিবা মা?<br />একখান মা...............</p>@ 2024 - কামরুন নাহার রুনু_https://www.bangla-kobita.com/runu123/post20150914025804/আরেক রকম মানুষ2015-09-14T02:59:52-04:002023-06-26T02:19:34-04:00কামরুন নাহার রুনু_https://www.bangla-kobita.com/runu123/<p>অভিজাত প্রকোষ্ঠে ময়ূরীর নাচ<br />এ যেন ফিকে পরা বেরঙ্গী হাসির<br />আদলে ঢাকনার ভেতরে অস্পষ্ট অসুখ।</p>
<br /><p>সুন্দর মুখমন্ডল , হেলানো দোলানো<br />আধুনিক বাক্যপ্রলাপ, হাঁটার স্টাইলটাও আমদানীরত<br />ওরা কেবলি আঁধারে দিচ্ছে ডুব।</p>
<br /><p>আপাতঃ দৃষ্টিতে ঝাড়বাতির আলোতে<br />দেহ মনে অসাড় চেতনায় <br />স্বপনালোকে ভ্রমনে ব্যস্ত<br />অভিজাত বেডরুমে দামী দামী পোষাকে<br />মানুষ বেচা কেনার ধুম।</p>
<br /><p>শুকনো কাশির মত বড় আঠালো<br />সভ্যতার এ অবেলায় ফনা তুলে<br />ছোবলের পর ছোবল দিয়ে<br />চলছে বিষাক্ত সরীসৃপ।</p>
<br /><p>রক্তাক্ত বিছানা বালিশ, রক্তাক্ত চাতাল<br />হিম কুয়াশায় রক্তাক্ত পাতার শরীর<br />কচু পাতার জলের মত ক্ষণস্থায়ী<br />সম্পর্ক ,পদবী, সম্ভ্রম আর সময়।</p>
<br /><p>আজ সভ্যতা বড় উসকো খুসকো<br />মানুষের ভেতরে আরেক রকম মানুষ<br />অনবরত গিলছে আলোর ছায়াপথ।</p>@ 2024 - কামরুন নাহার রুনু_https://www.bangla-kobita.com/runu123/post20150913051032/ঝরা পাতা2015-09-13T05:11:02-04:002023-06-27T11:47:53-04:00কামরুন নাহার রুনু_https://www.bangla-kobita.com/runu123/<p>আমি পাতাদের দলে ওগো পাতাদের দলে,<br />জংলীপাতার ভিড়ে আধ ফোঁটা এক ফুল ফুটে<br />তাকে ঘিরে হয় মাতামাতি, হয় কত আহাজারী।</p>
<br /><p>যদি ঝরি আমি, ঝরা পাতা কয় লোকে<br />ঝরা পাতা আমি ঝরি তোমারই চরণতলে।<br />অভিমানে দাও ছুঁয়ে এই আমারে<br />কর বিবর্ণ, দাও কুঁচকে আমার বসতবাটি।<br />বাতাসের আনন্দলোকে আমি হাওয়ায় উড়ি<br />মায়ের বুক হতে আমি খসে পড়ি।<br />শিশির সিক্ত ঘাসে ঘুমাই পরম আদরে<br />আমার বুকেতে কত পথচারী <br />আঁকে পায়ের চিহ্নখানি<br />অবুঝ বুক চিরে এমন শীতের সকালে।</p>
<br /><p>আমি পাতাদের দলে ওগো পাতাদের দলে<br />বইয়ের ভাঁজে, কিশোরীর প্রেম সাজে<br />যতনে শুকনো পাতা স্পষ্ট স্মৃতি ভাসে।<br />ঘুমাই দূর্বাঘাসে তবু আমার বিচরণ<br />কিশোরীর বুকের ভাঁজে। <br />ঝরা পাতা আমি ঝরি অহরহ<br />গাড়ীর চাকার নীচে, ভাংগা কুলার নীচে<br />পাবে হেথা হোথা, ফেলানো ছাইয়ের নীচে।<br />ঝাড়ুর শলার কাছে করি মাথা নত<br />দেয় চর কসিয়ে আমায় অবিরত।</p>
<br /><p>ঝরা পাতা ওগো আমি ঝরা পাতা<br />আমার বুকেতে আঁক প্রেমের ছোট্ট কবিতা <br />কলমের আঁচড়ে বুকে লাগে ব্যথা<br />তবু খস খস করে বলি, ব্যথা লাগে লাগুক<br />বুকেতে আমার হোক ভালবাসার কথন <br />ওগো পথিক জন।</p>@ 2024 - কামরুন নাহার রুনু_https://www.bangla-kobita.com/runu123/post20150912025157/মা আজন্ম আলোকিত তুমি2015-09-12T02:52:47-04:002023-06-26T02:19:34-04:00কামরুন নাহার রুনু_https://www.bangla-kobita.com/runu123/<p>মায়ের গল্প শুনতে চাও? <br />তিনি ছিলেন প্রকৃতির মতো সবুজ<br />যেনো শৈশবে দুলানো দোলনার সুখ<br />তিনি ছিলেন শিউলি গাছের মত হলুদ সজ্জায় সুসজ্জিত<br />প্রতিদিন যার কাছ থেকে কুড়িয়ে নিতাম শিউলির সৌন্দর্য<br />যার কণ্ঠে ছিলো ভোরের পাখির সুমধুর গান <br />অবয়বে ছিলো উঠান জুড়ে পিপাসার্ত বৈশাখী খরায় <br />একমুঠো উজ্জ্বল সোনালী রোদের হাসি।</p>
<br /><p>মায়ের গল্প সমস্ত আকাশ জুড়ে জ্যোৎস্নার মতো<br />যে কিনা আঁধারে ঝি ঝি পোকার গায়ে ছড়ায় আলোর বন্যা<br />যে আলোয় ভিজে যায় চিলেকোঠা, ঝর্নার জল<br />সন্তানের ভুল প্রশ্নের উত্তর, বাবার বিশ্বাস<br />ঘরের আসবাবপত্র আর হেঁসেলের রেশমি ধোঁয়া<br />প্রাঞ্জল দীঘিতে সুকোমল লালচে ফুলের প্রফুল্লরা<br />যার আলোতে চৈতন্যে বয়ে যাওয়া ক্লেদ কিংবা আশ্লেষ<br />অঙ্কুরোদগমের আগেই পরিণত হয় টলটলে জলে।</p>
<br /><p>মায়ের কথা শুনবেই যদি তবে তাকে দেখেছি<br />সমস্ত আঙ্গিনা জুড়ে আমাদের বুকের পাঁজরে<br />ডালপালা পাখি ফুল ফল এই সবই ছিলো মায়ের চারপাশ<br />তিনি ছিলেন ক্লান্ত ঘর্মাক্ত খড়ায়<br />এক চিলতে বৃষ্টির ছোঁয়া, ছিলেন রঙিন প্রজাপতির পাখা <br />তিনি ছিলেন হরিত বৃক্ষের কচি পাতা<br />শব্দের খুব কোমল ছুঁয়া, তার বাঁধা সাঁকোতে কখনোই <br />মরিচা দেখিনি, তিনি ছিলেন মা ডাকার অহংকার। </p>
<br /><p>মা বলতেই ভালোবাসার নকশীকাঁথায় সাজানো <br />আমাদের চারপাশ,ঘরের বারান্দায় রাখা টিয়ে পাখির গান<br />আমাদের শৈশব কৈশোর আমাদের যৌবন<br />তিনি ছিলেন নিঃশ্বাস রাখার দৈনন্দিন ঝুড়ি <br />আমাদের মা কাচা সোনা রোদে ঘরের পাঁজরের হাড়<br />মা আছেন, মা থাকবেন আমাদের চলন বলনে<br />আমাদের অহংকারে, আমাদের মাথা উঁচু করে<br />বাঁচার স্বাধীনতায়। তিনি আজও আমাদের অহংকার। <br />তিনি থাকবেন। তিনি আছেন।</p>@ 2024 - কামরুন নাহার রুনু_https://www.bangla-kobita.com/runu123/post20150911012122/পবিত্র নকশায় মা2015-09-11T01:27:34-04:002023-06-26T02:19:31-04:00কামরুন নাহার রুনু_https://www.bangla-kobita.com/runu123/<p>শীতের ভোরে দূরের আবছা গ্রাম হয়ে<br />তুমি হাতছানী দাও, প্রিয় নাম ধরে ডাকো <br />যেখানে মায়াভরা রূপালী থালা হাতে<br />তুমি দুধমাখা ভাত নিয়ে, নীল পেড়ে শাড়ী পরে দাঁড়িয়ে;<br />ফুল তোলা শাল গায়ে, মিটিমিটি হাসি মুখে<br />তুমি মা তুমি, আর আমি মুখ নত তোমার দিকে তাকিয়ে<br />কেবল তোমার দিকেই তাকিয়ে, যেন অন্ধকারে<br />তোমার সহজিয়া চোখ আমার দিক নির্দেশনার প্রতিক।<br />কত জনম দেখিনি ঐ শব্দহীন আবেগ মাখা মুখ <br />শান্ত নদীর মত বয়ে চলা শীতল জল<br />আমি খড়কুটো হয়ে ভাসি তোমার ছত্রছায়ায়।</p>
<br /><p>প্রিয় জায়নামাজে পবিত্র নকশায়<br />তোমার মুখচ্ছবি আমায় একপশরা <br />বৃষ্টি ভেজা সন্ধ্যায়, দীপ জ্বালানো ঝড়ো হাওয়ায় <br />বুকে আগলে রাখা এক অদৃশ্য মানবী হয়ে দাঁড়ায় পাশে<br />আমি জড়সড় হয়ে স্বর্ণলতার মত জড়াই তোমার আঁচল <br />মাগো আজ শিরোনামে তুমি<br />তোমাতেই ছিল আমার শুরু, আমার তৃষ্ণার্থ আলোর রেখা<br />আমার জ্ঞাত, অজ্ঞাত অনুভূতি তোমার দিকেই ধাবিত।<br />এখন তুমি কেমন আছ মা ? <br />জানি, আজ তুমি খুব অভিমানী হয়ে উঠেছ <br />তোমার ডালপালা এতই বড় হয়েছে যে <br />এদের আগলাতে আগলাতে তুমি এখন খুব ক্লান্ত<br />তোমার ঘুম পাড়ানো গান, বখতিয়ারের ঘোড়ার গল্প<br />রাত জাগানিয়া পাখি হয়ে হাত পাখার শব্দ <br />খুব যতনে ঘুমন্ত এখন।</p>
<br /><p>চারদিকে এত কোলাহল, জলের শব্দ, নদীতে <br />ষ্টীমারের কল্লোল, রেলগাড়ি, ট্রেন , রিকশার এত শব্দ, তবুও<br />তুমি অকস্মাৎ বাতিহীন ঘরে নিজেকে আটকে নিলে<br />মা, আজ ইতস্তত বিক্ষিপ্ত জাহাজ হাঙ্গরের মুখে ধাবিত, <br />একবার তাকাও,দেখ এ সব ই তোমার অস্তিত্বের শেকড়।<br />সত্য আর মিথ্যের লড়াইয়ে এখন তোমাকে বড় বেশী প্রয়োজন। <br />একবার সাহস দাও, যে কিনা তাম্রজালে ঢাকা পড়ে <br />এখনো জানেনা সঠিক পথের ঠিকানা।</p>@ 2024 - কামরুন নাহার রুনু_https://www.bangla-kobita.com/runu123/post20150910052312/এই মানুষ সেই মানুষ2015-09-10T05:26:35-04:002023-06-26T02:19:31-04:00কামরুন নাহার রুনু_https://www.bangla-kobita.com/runu123/<p>যদি সৃষ্টির ধর্মই হয় মানব ধর্ম<br />তবে কেন ক্ষয় হয় মানবতার ;<br />এইমাত্র জন্ম নিল যে শিশুটি<br />সে কেবলি মানব শিশু, তার চিন্তাবোধ<br />জাত, বর্ণ আর ধর্মের বিশ্বাস<br />বিভক্ত করে আমাদের মত<br /> হীনমন্য মানুষের মানসিকতা।</p>
<br /><p>একবার নতজানু হও<br />মাটির দিকে তাকাও<br />অপার ভালবাসায় উপলব্ধি কর<br />মাটির নীরব কান্না।<br />একবার মায়ের দিকে তাকাও<br />দেখ কতটা সরলতা তাঁর চোখে।</p>
<br /><p>এইমাত্র যাকে বলা হল অস্ত্রধারী মাস্তান<br />তার বুকপকেটে গোঁজা আছে, প্রিয়তমার<br />দেয়া একখানা গোলাপ কলি।<br />একই মানুষ কত বিচিত্র তার রূপ<br />কখনও চণ্ডাল, কখনও বা সাধু,<br /> কখনও প্রেমিক আবার কখনও বা ঘাতক।</p>
<br /><p>মানুষকে আজ কতখানি চিনলে তুমি?<br />এখানে তোমার যেমন রূপ, <br />সর্বদা কি তুমি তেমন?<br />কখনও কি তুমি ভেবেছ, তুমি কেমন?<br />তুমি কি, আগন্তক ?<br />ঘাতক নাকি পলাতক?<br />মানুষ কি শুধুই আকৃতিতে মানুষ?</p>
<br /><p>ভেতরের অবয়ব বাহিরে এলে, ভীষণ<br />লজ্জিত তুমি,কারণ তুমি তখন <br />এক বেনামী অতীত কিংবা বিষাক্ত বোধ।<br />পরিচিত মুখ মুখোশধারী যখন,<br />ইটের ভাটার মত মানুষ পোড়ায় তখন।<br />শুদ্ধ মানুষের ভীড়ে অরণ্যের শূন্যতা<br /> যেন রঙ্গিন মোড়কে মোড়া অবিশ্বাসের ছোঁয়া।</p>
<br /><p>যে লোক গোপনে<br /> শরীর সপে বেশ্যার হাতে<br />সে আবার ভালবাসার আবেদন<br /> জানায় বিবাহিতা পত্নীকে।</p>
<br /><p>হাতে খুনের রক্ত মেখেও পাষাণ লোকটা <br />যখন অন্ন বিতরণে ব্যস্ত মানুষের মাঝে,<br /> তখন সে হয় দাতা।<br />ভিক্ষাবৃত্তি যে সমাজে হেয়,<br /> সে সমাজে আবার স্যুট-কোট পরা<br />ব্যক্তি সজ্ঞানে ঘুষ কুড়ায় দু হাতে।</p>
<br /><p> মানুষ আর অমানুষের খেলায়<br /> হাসে দুষ্টু ইঁদুর।<br />মানুষের মাঝে বাস করে<br />এক অস্পষ্ট কুয়াশা মানুষ।</p>@ 2024 - কামরুন নাহার রুনু_https://www.bangla-kobita.com/runu123/post20150909065155/দায়বদ্ধতা2015-09-09T18:53:41-04:002023-06-26T02:19:31-04:00কামরুন নাহার রুনু_https://www.bangla-kobita.com/runu123/<p>কথা দিচ্ছি… শূন্যতার কাছে চেয়ে নেব এক টুকরো উষ্ণতা<br />জলের কাছে পিপাসার ঠিকানা,<br />উত্তাল সমুদ্রের কাছে খুঁজে নেব এক টুকরো নীল।</p>
<br /><p>কথা দিচ্ছি… মৃত্তিকার শূন্য পেয়ালায়<br />পুঁতে দেব লক্ষ লক্ষ জীবাণুমুক্ত বোধ।<br />হেমন্তের হিম বাতাসে, ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র জোনাকির উজ্জ্বলতায়<br />জীবন তুলীতে আঁকব বিশ্বাসের বারতা।</p>
<br /><p>কথা দিচ্ছি… যেখানে মরণ ব্যাধি, সেখানে থেকেই হবে জীবনের সূচনা।<br />জরায়ুর ডিম্বাশয়ে জন্মেছিল যে বীজ, কঙ্কালসার আহত দুর্বল,<br />এবার সদ্য প্রসূত হবে, জরাজীর্ণহীন প্রসন্ন্ সচেতন আত্মার।</p>@ 2024 - কামরুন নাহার রুনু_