যদি সৃষ্টির ধর্মই হয় মানব ধর্ম
তবে কেন ক্ষয় হয় মানবতার ;
এইমাত্র জন্ম নিল যে শিশুটি
সে কেবলি মানব শিশু, তার চিন্তাবোধ
জাত, বর্ণ আর ধর্মের বিশ্বাস
বিভক্ত করে আমাদের মত
হীনমন্য মানুষের মানসিকতা।


একবার নতজানু হও
মাটির দিকে তাকাও
অপার ভালবাসায় উপলব্ধি কর
মাটির নীরব কান্না।
একবার মায়ের দিকে তাকাও
দেখ কতটা সরলতা তাঁর চোখে।


এইমাত্র যাকে বলা হল অস্ত্রধারী মাস্তান
তার বুকপকেটে গোঁজা আছে, প্রিয়তমার
দেয়া একখানা গোলাপ কলি।
একই মানুষ কত বিচিত্র তার রূপ
কখনও চণ্ডাল, কখনও বা  সাধু,
কখনও প্রেমিক আবার কখনও বা  ঘাতক।


মানুষকে আজ কতখানি চিনলে তুমি?
এখানে তোমার যেমন রূপ,
সর্বদা কি তুমি তেমন?
কখনও কি তুমি ভেবেছ, তুমি কেমন?
তুমি কি, আগন্তক ?
ঘাতক নাকি পলাতক?
মানুষ কি শুধুই আকৃতিতে মানুষ?


ভেতরের অবয়ব বাহিরে এলে, ভীষণ
লজ্জিত তুমি,কারণ  তুমি তখন
এক বেনামী অতীত  কিংবা বিষাক্ত বোধ।
পরিচিত মুখ মুখোশধারী যখন,
ইটের ভাটার মত মানুষ পোড়ায় তখন।
শুদ্ধ মানুষের ভীড়ে অরণ্যের শূন্যতা
যেন রঙ্গিন মোড়কে মোড়া অবিশ্বাসের ছোঁয়া।


যে লোক গোপনে
শরীর সপে বেশ্যার হাতে
সে আবার ভালবাসার আবেদন
জানায় বিবাহিতা পত্নীকে।


হাতে খুনের রক্ত মেখেও পাষাণ  লোকটা
যখন অন্ন বিতরণে ব্যস্ত মানুষের মাঝে,
তখন সে হয় দাতা।
ভিক্ষাবৃত্তি যে সমাজে হেয়,
সে সমাজে আবার স্যুট-কোট পরা
ব্যক্তি সজ্ঞানে ঘুষ কুড়ায় দু হাতে।


মানুষ আর অমানুষের খেলায়
হাসে দুষ্টু ইঁদুর।
মানুষের মাঝে বাস  করে
এক অস্পষ্ট কুয়াশা মানুষ।