বুড়িগঙ্গার বিদীর্ণ ভাগ উপচে পড়ছে ঢেউয়ের কার্নিশে
গভীর নিস্তব্ধতা যেন প্রকৃতির মানসপটে
জ্বলন্ত নক্ষত্র রঙ্গিন মায়ায় রকমারী সাইনবোর্ডে
ভ্রু কুচকে মেঘের বিরহজালে সোনামুখি সুঁই এ বুনছে
অগণিত দিন রাত্রির বিস্তৃত অক্ষর।


চারদিকে কেবল নিস্তব্ধতা, বিচ্ছিন্নতা
কোথাও কেউ নাই।
গোবরের ঢিবিতে ভিড় করছে অগণিত কীট
পরিন্দারা করে যাচ্ছে একটা দুটো মৃদু আওয়াজ
নদী জল মুছে দিচ্ছে পিঠ ভর্তি কলঙ্কের দাগ।


ভোর হতে না হতেই সোনার রোদে
গণিকালয় থেকে মাথায় ঘোমটা টেনে
পূরবী চলছে ঘরমুখী  হয়ে
তার আস্তিনের নীচে কতজনার
শরীরের ভাঁজ পড়ে আছে।
ইতস্তত কিছু পথিক  তাকালো, আড়চোখে
যখন পায়ের ঘুঙুর তার ছোঁয়ায় শীতের শিশির।
নিঃশ্বাসে অশুদ্ধ বাতাস
আঁচলের ফেস্যু ধুয়ে শুদ্ধ করে চলে
বুড়িগঙ্গার জলে।


কন্যা  তিলকের বায়নায় ভুলে যায় সে
কাল রাতের গল্পে ছিল কত চরিত্র
কত মুখ অপরিচিত।
পায়ে  পায়ে ঘুরে পুষি বিড়ালের মত
স্নেহাতুর মা জড়ায় তাকে বুকের গভীর অতলে।


জ্বালায় আগুন নিভন্ত উনুনে উপোস হাড়ির নীচে
চাদর, মশারি, চামচ,পিরিচ
চৌকি,  পিড়ি, ঘরের শতরঞ্জি
ঝকঝকে রোদ পড়ল যখন মলিন কাঁথার বালিশে
হেসে উঠে বলে............
এমন রোদ্দুরে দুঃখ গেছে দূরে
সবুজ পাতা হেসে বলে
জেগে থাক গ্রাম, জাগো লোকালয়।