এখানে এই চৌরাস্তার মোড়ে ছিল
আমার প্রিয় কবিতার পংতি লেখা,
আজ রঙ্গিন পোষ্টারে মোড়া বিজ্ঞাপনে
ঢাকা পড়ে আছে সব।


এই ঝাঁ ঝাঁ রোদ্দুরে একদিন আমার বাবা
জোয়াল ধরেছিলেন শক্ত হাতে
গ্রীষ্মের খাঁ খাঁ জমিনে বৃষ্টির নরম ছোঁয়ায়
পুরোটাই  কর্ষণ করতে চেয়েছিলেন তার
আজ ওপারের পথে  ঘুমন্ত তিনি
আগুনের স্ফুলিঙ্গের মত ইস্তেহার হাতে
হাঁটছেন যুগের পর যুগ।


এ শহরের আনাচে- কানাচে
ফসলের গুচ্ছ হাতে
বুকে প্রশান্তির স্বাদ নিতে চেয়েছিলেন,
তবু, বারবার বেকার পুরুষ হয়ে
পথে পড়ে থাকা মাটির ঢিবি পেড়িয়ে
দিন শেষে শিস দিয়ে ঘরে ফিরেন তিনি।
কিছুই অসম্ভব নয় তবে বড় বেশী অসম্ভব
যথারীতি পূর্ণতা পাওয়ায়।


মায়ের চুলে ঢেউ খেলা বাতাসের চঞ্চলতায়
দুরন্ত যুবকের মত স্বাদ নিতেন; যেমন করে ক্লান্ত পথিক
গলির মোড়ে একটানা নিঃশ্বাসে নেয়; কলতলা থেকে
জলের অমৃত আস্বাদ।


ধূমায়িত বিতর্ক শেষে স্তূপীকৃত জঞ্জাল সরিয়ে
রোদের আদর মেখে ঝকঝকে আয়নায়
দেখতেন নিজের মুখাবয়ব , যেমন
মায়ের বুকের কাছে শান্ত শিশু।


চারদিকে মাকড়শার জালের মত
ভালবাসা ছড়াতে ছড়াতে
আত্মবিশ্বাসের কাছে আজন্ম ক্রীতদাস তিনি,
কাঙ্গাল মন তার-
ঘর ভরা দুপুরে এক ফালি বিশ্বাস খুঁজে
যেখানে হাড্ডিসার কঙ্কাল স্বরূপ কপাট আগলে রাখা
আমাদের উদ্ভট আকাঙ্ক্ষাগুলো ছড়ানো।