তোকে ছুঁতে গিয়ে,
তোর মাদকতায় মাখামাখি;
আমার জমাট  নিঃশ্বাস।
মাটির গন্ধে এতই ভালবাসা যে
ফিরে গিয়েও বারবার;
এই প্রান্তরে আমারই  বসবাস।


ঘাসফুল আর ফড়িং যখন শিশিরের
সাথে  বন্ধুত্বে ব্যস্ত,তখন লজ্জাবতীর
ছোট ছোট গাছগুলো  নিজেকে লজ্জায় গুটিয়েছিল।
যদিও নদীর জলে ভাসছিলো কিছু পিপীলিকার দল;
খাবারের সন্ধানে হয়ত উজানে তাদের যাত্রা।
আমি তখন বৃক্ষ  হয়ে ভাসিয়েছিলাম
কিছু পাতার তরী!
পাছে পিঁপড়ার উজানে যেতে ব্যঘাত না হয়।


জুড়ে থাক এ মন তোর  তরঙ্গিণীতে
যেন  পদ্মপুকুরে সাঁতার না জানা
সাঁতারোর আত্মপক্ষ সমর্পণ।
তোর  কিনারায় একবার আমি
কাঁঠালচাঁপা হয়ে জন্মেছিলাম!
কোথা থেকে এক ঝাঁক পাখি এসে
বসলো আমার খয়েরী ডানায়।
কত গল্প , কত সুরে গান গাইলো তারা
ঠোঁটে ঠোঁট মিলিয়ে, কত কথা বলে গেল;
কত নামে ডাকাডাকি করলো সেদিন!
তাদের ভালবাসার স্পর্শ;
আমার গায়ে এখনো লেগে আছে।


যদিও সে বেশ আগের কথা, তবুও
সেই ছিল আমার সবচেয়ে সুন্দরতম প্রেয়সী ভালবাসা!
সেদিন,ফাল্গুনী হাওয়ার বাতাবী লেবুর গন্ধে
মাতাল সমীরণে…
তুই কেশ এলিয়েছিলি;আমার বুকের দেয়ালে!
একেবারে কাঁঠালচাঁপার গা ঘেঁষে;
তোর চুলে গুঁজা ছিল মাধবী লতা আর
হাতে ছিল বেলীফুলের মালা।


তোর  ঠোঁটে তারার উজ্জলতা  ছিল;
আর, আমি তখন বৃক্ষ  হয়েও তোর ভালবাসায়
হয়ে উঠলাম,এক পরিপূর্ণ যুবক!
সেদিন,তোর  নাভিমূলে এঁকে  দিয়েছিলাম
ভালবাসার রক্তিম গোধুলী।।