কাগজে  মোড়া শুদ্ধ জীবনের চাবিটা
যখন করলো, সিগারেটে আর চায়ের কাপে আত্মসমর্পণ!
কুঁকড়ে গেল তখন সোনালী ভোর,আর সেদিন থেকে
পুস্টিহীনতায় ভুগলো  সদ্য জন্ম নেয়া ছোট চারা গাছ।


শামুকের ঝিনুক ঝিনুক খেলা সমাপ্তি টানলো তমসা
বাহির হতে যতই ডাকাডাকি করছে সোনালী বালি;
বেড়িয়ে এসো কে আছ ভেতরে?
গুটিসুটি যেমন করে আধপেটা বিদীর্ণ আত্মা;
অঘুমের মাঝেও ভানরত ওম খুঁজে ছেঁড়া জ্যোৎস্নায়।


চেনা অক্ষরগুলো পৌষের কুহেলিকায় পর্দা টানছে অহরহ!
রাতজাগা পাখির সজাগ দৃষ্টি রাখে যেনো;
পরিচিত শ্বাসগুলো দীর্ঘশ্বাসে পরিনত না হয়!
ছত্রাকে আবৃত ঘাসফুল জীবনের হাসি ভুলে
শুদ্ধ চারণভূমির অপেক্ষায়।


ঘুণপোকায়  কাঁটা খিড়কীর কাঠ যেখানে;সেখানে-
পাঁচিল ডিঙ্গিয়ে বেজন্মা গাছ জন্ম নিলো আর একটা!
নতুন করে পুরাতন কঙ্কালের চিৎকার আজ
অনাবৃত শরীরে চায় জীবনের সজীবতা।।