চশমাটা মেঝেতে পড়ে ফাটল দিল চার-পাঁচটা,
তাই আজকাল ঘোলাটে সব!
দেশ স্বাধীন হবার পর থেকে আমি এখনও  ঘুমাই নি।
আমি কেবল জেগেছিলাম সোনালী শস্য দেখার জন্য!
শুধু চেয়েছিলাম, মানুষের মাঝে জাগুক হৃদ্যতা!
চাইনি এমন সমাজ, যেখানে কেবল জন্মেছে, নষ্ট ভ্রুনের অঙ্কুর!
পায়ের দগ্ধ ক্ষতে এখনও জ্বালাপোড়া করে!
এখনও শুশ্রূষার অভাবে গায়ের চামড়া চিংড়ির খোসার মত
ফুলে ফুলে উঠে! আমি কেবল দেখে যেতে চেয়েছিলাম;
আমরা কেবল দেখতে চেয়েছিলাম!
সবুজ মন নিয়ে মানুষ কেমন মানুষের মাঝে বেঁচে আছে;
দুধে-আলতা রঙে মানুষের বিশ্বাসী রোদ গায়ে মেখে
দেখে যেতে চেয়েছিলাম ;
প্রতিটা মানুষের ভেতর শ্রদ্ধা ও ভালবাসায় গজানো শেকড়।


কিন্তু, কিন্তু এ কী?
আমি নির্বাক হয়ে  জানালার পাশে কান পেতে শুনি
মানুষ  হয়ে মানুষকে জ্যান্ত পুঁতে দেবার আহ্বান
শুনি গুলির আওয়াজের ধ্বনি!
দেখি,মানবতার নামে  ছুরি হাতে ধেয়ে আসছে কিছু নষ্টজন্মা নরকী প্রেতাত্মা; মানুষ হয়েও যারা ধেয়ে আসে; রক্তের গন্ধ শুঁকতে!
তারা কি আদৌ মানুষ?
এ আমারই চির চেনা দেশ; তবু কেনো এতোটা অচেনা ?
মানুষের খোলসে এরা কারা?
আমার সোনার দেশে কেন আজ মানবতার শবদেহ ছিঁড়ে ছিঁড়ে
খাচ্ছে আছে যত বেজন্মা শেয়াল কুকুর।
এখনও মারণাস্ত্র নিয়ে ঘুমহীন যত লোকজ-নগর
এখনও কাটেনি  সুনসান আঁধারে মোড়া আমাদের
প্রিয় নদী ও মানুষ, মানুষ ও প্রকৃতির অনিরুদ্ধ সীমানা।


এ কেমন নগ্ন সভ্যতা?
আর কত রক্ত ঝরালে তুমি পুণ্যভূমিতে রূপান্তরিত হবে!
আর কত অমানবিক তীক্ষ্ণ ঠোঁটের  কবলে
মৃত্যুর হার বাড়লে তুমি জাগবে? আর কত মানব ধোঁয়ার কুন্ডলীতে
তুমি টগবগিয়ে উঠবে মানুষ আর অমানুষের খেলায়?
হে আমার দেশ?
তুমি এবার জাগো!!!!!!!!!!!!!!