চারদিক যখন ভ্রাম্যমাণ অন্ধকারের আয়োজনে;
পৃথিবী ক্রমাগত দৈনতা আর দ্রোহে
ভাসিয়ে দিচ্ছে তার আঁচল!
এদিক সেদিক সময়ের আনাচ কানাচ জুড়ে
যত সব প্রোথিত মৃত্যু আছে চলো তাদের দেই সাড়া!
যারা এখন ও নিশ্চিন্তে ঘুমুচ্ছে;
নাকের ডগায় প্রাপ্তির তৃষ্ণা রেখে
অতৃপ্ত কঙ্কাল হয়ে রেখে যাচ্ছে আজন্ম পরাজয়!
সেক্ষেত্রে চলো আমার ফলাই কিছু কিছু সবুজ তরুলতা;
যার শাখায় তরুন বৃষ্টির ছাপ দারুন উৎকণ্ঠায় মুঝে দিবে
সকল বিপন্ন সময়,সফেত তোয়ালেতে তুলে নিবে;
ধুলোবালি মাখা জংধরা সব স্বপ্ন আর কালের ভাঙন।


যেখানে জলের মাঝেই ক্রমশ মৃত্যুমুখী জলের যৌবন,
যখন গহীন বনাঞ্চলে নামহীন কোন মানুষখেকো প্রাণী
চিবুচ্ছে মানুষের সব আশা,আকাঙ্ক্ষা আর প্রতিশ্রুতি!
তখন আসুন আমরা এমন ভাঙ্গনের অন্ত ঘটাই
ডুবুরী হয়ে খুঁজে নেই গভীর সব অদেখা মোড়কে মোড়া
সময়ের স্রোতে লুকানো বেঁচে থাকার চাবিকাঠি
চক্ষু খোলে দেখি স্বপ্ন আর জাগরনের খেলা!
নিঝুম রোদহীন দুপুরে আসুক এক চিলতে আলোর বন্যা
ফুরিয়ে যাওয়া গানের ধুন-
আবারও ফিরে আসুক নিজ অলঙ্কারে।


পূর্ব পশ্চিম উত্তর দক্ষিণ দশ দিগন্ত জুড়ে আসুক
আলোর আরাধনায় ঘেরা আলোকিত জীবন বন্দনা।