পথ পেড়িয়ে পথের মোড়ে
একটা  শালিক উড়ছে একাকি
হয়ত খুঁজছে আপন সত্বা!


হাঁটতে হাঁটতে সড়কের বাঁকে মাঠ পেড়িয়ে
চোখ বন্ধ করে আঁকা সবুজ ছবির মতগাঁও
ধানের জমিনে রূপোর রোদ্দুর,
যেন রূপালী পালকে, নদীতে মাছের খেলা!
দূর থেকে ভেসে আসছে ফসলের ঘ্রাণ
বৃষ্টি শেষে মাটির সুধা গন্ধে আবেগী মন
স্বপ্ন দেখে একটা গোলাপ কুঁড়ি।


হয়ত একটু আগেই বৃষ্টি এসে ভিজিয়ে দিয়ে গেল
কাঠখোট্টা ,ডালহীন সুতানো নামহীন গাছটাকে!
মাঠের ওপারে জমানো পানিতে দামাল ছেলেরা
নিজেদের মুখচ্ছবি দেখে নিজেই হাসিতে মাতাল
কেউ কেউ কাগজের নৌকা ভাসিয়ে দিচ্ছে জলে।
কেউ-বা  আবার সাইকেলের ভাঙ্গা চাকায় গাড়ি
বানিয়ে ভুঁ ভুঁ  শব্দ করে বেশ গাড়ি চালাচ্ছে।
মোহন বাতাসে কিশোরীর রেশমি উড়নার মত
সুপারীর ডাল দুলছে এপাশ-ওপাশ ।


একদল দুষ্ট বালক দৌড়াচ্ছে শহর থেকে আগত গাড়ীর পেছনে
সুপারীর ডগা বিছিয়ে কিশোরী টানছে রিক্সা
ছোট ভাইটি তার পিছনে বসে খিল খিল হাসছে অনবরত!
রোদের কণা নাকের নোলকে যেন ঘাস ফড়িঙের সোনালী সুখ!
একটু দূরে তালগাছে কলোনি গড়েছে
এক ঝাক বাবুই পাখি;
ঝুলানো গাগরী যেন ঝুলছে পাতাঝাড়ে
বাঁশ ঝাড় আর বেত ফলের গাছ মিশে গেছে
সুহৃদ বন্ধুর মত ওতপ্রোতভাবে ,পাশেই আমলকী
আর কদবেল গাছে পাখি বাসা বুনেছে, ওরা আছে পরম সুখে।


পেয়ারা গাছে চড়তেই মনে হল কিসের একটা ঝাঁকুনি
ঘুম ভেঙ্গে গেল, দেখি মা ডাকছেন, কই রে খোকা !
আজ যে গ্রামের বাড়ি যাবার কথা!
অনেক তো ঘুমালি, এবার  উঠ …………………………….