চুমুকে চুমুকে চায়ের বুদবুদ ছড়ায় উত্তাপ
পৌষের ধোঁয়াটে ঘ্রাণ মেখে ঠোঁটে!
কলাইয়ের মাঠের প্রেমময় আঁচল
শীতের প্রবন্ধ রচনার ঘোরে;  
আহলাদি কুয়াশা জড়ানো বুকে!
তাই,রাতের মলাটের বাম-অলিন্দে এখন নিগূঢ় জ্যোৎস্না।


ঘাস শিশিরের ক্ষণিকের অভিসার,জোনাক-সঙ্গের মত
নির্বাক প্রহর শেষে নুয়ে পড়ে বিরহে এই শীতসন্ধ্যায় ।
কুয়াশা-ছুঁয়ে পরিযায়ীর পালক খসে
ধোঁয়াটে নিশ্বাস ভরা রাতের উচ্ছ্বাসে!
মধ্যমা আর কনিষ্ঠার পাশে প্রমিজ রিং করে খেলা;
শীতরাতে শস্যের মতো বর্ধিষ্ণু পারদনদীতে।


গোপন দরজা খুলে কে জানে প্রকৃতি করে কোন রহস্য!
কার টানে রাতের লাজুক শরীর বেয়ে আসে
লোকজনগরে এক অর্বাচীন দ্যুতি নিয়ে!
আমার দৈনন্দিনসূচী হয় ঘোলাজলে আনমনা;
দূরে শুনি ট্রেনের হুইসেল,ভেসে আসে বাতাসের অনুরণনে
আগত কাব্যের ধ্বনি।