কথা ছিলো অনেক কথা, কথা ছিলো ঢের
মায়ের দুগ্ধ আহারে যে স্বাধীনতা,তার হিসাব দেয়ার কথা নয় কোন শিশুর!
শীতের প্রকোপে সূর্যের ওম বুকে জড়িয়ে আলোর নির্যাসে নিজেকে জড়ানোর কোন হিসাব কাউকে দেবার কথা ছিলো না কোন পাতা কুড়ানির! তোমাকে পাবার পর, অসমাপ্ত সিগারেটের আগুনে ষোড়শীর সতেজ চেহারা গুচ্ছ গুচ্ছ মৃত ফুলে রূপ নেবার কথা ছিলো না। তাই, আজ তোমার সাথে ঢের কথা বলার ইচ্ছে আমার!


তুমি হয়তো ধ্বসে যাওয়া বুভুক্ষু শতাব্দীর পাটাতনে চাপা কান্নায় ফুঁপিয়ে  ফুঁপিয়ে কাঁদছো; তুমি হয়তো প্রসবকালীন ব্যথা ভুলতে পারছো না, আর অভিমানে আমাদের দিকে তর্জনী নিক্ষেপ করছো। আমিও আজ এই স্বাধীনতার দিনে উনপাজুঁরে স্বপ্ন-ভাঙা ওইসব মানুষের একজন। যাদের স্বপ্ন ও পতাকায় বিষবৃক্ষ জন্মেছে। সময়ের মহা-সড়কের এখানে-সেখানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে জায়গা করে নিয়েছে কদর্য শ্বাপদের ঢিবি।


তাই, তোমার সাথে ঢের কথা বলার ইচ্ছে আমার। আমিও চেয়েছিলাম তোমার আগমনে চিরযৌবনা হয়ে প্রতিটা খেটে-খাওয়া মানুষের শ্বেত-সিক্ত ললাটে পরম যত্নে চুমু এঁকে দেবো। আমিও চেয়েছিলাম সময়ের সব ভুল পৃষ্ঠা ছিঁড়ে শুদ্ধ অণুচ্ছেদে নতুন করে জীবনের সংজ্ঞাও ব্যাকরণ পাবো।


কথা ছিলো অনেক কথা, কথা ছিলো ঢের।