একদা এক গ্রাম ছিল নাম তার শকুনতলা
সেথায় থাকতো একটা মিষ্টি মেয়ে,
নাম তার কুসুমদোলা।
জন্মের পর হতভাগী পাইনি মায়ের সুখ
বড় হইয়াছে শুধু দেখিয়া বাবার মলিন মুখ।
উঠিত সকালে ঘুম থেকে সবার আগে
চুপিচুপি হইতো বাহির যেন,
বাবা নাহি ঘুম থেকে যাগে।
লাফিয়া লাফিয়া চলিত মাঠের পানে
একহাতে লাঠি,অন্যহাতে গাভীর কাচি টেনে টেনে।
উঠিয়া বাবা দেখিত যখন পাশে নাই মেয়ে,
কি বলিবে থাকতো মাঠের পানে চেয়ে।
দুপুরের খাবার হইতো যখন সারা,
লাফিয়া লাফিয়া গুরিতো সারা পারা।
সন্ধার আগেই ফিরিত যখন ঘরে,
বলিত বাবা হইছে কি গোরা মন ভরে?
রাত কাটিত বাবার কাছে রুপকথার গল্প শুনে,
কে যানিত গল্প শুনে কি যেন সপ্ন সে বুনে
হঠাৎ দূর দেশ থেকে আসিল এক নর,
বিয়ে করিয়া ওই মেয়েটিকে হইলো তার বর।
কিছুদিন পর বউকে নিয়া চলিল বর নিজ গাঁয়,
মা হারা মেয়ে বাবার মন যেতে দিতে নাহি চায়।
হতোভাগির কপালে বেশিদিন সইলোনা সামির সুখ,
অপবাদ দিয়া মারিত তারে কতোনা চাবুক।
কিছুদিন পর চলিয়া গেল সামির ঘর পর করে,
ফিরিল আপন গ্রাম তার নিজ বাবার ঘরে।
ওখানে গিয়া শুনিতে পাইলো যা,
তারপর তার আর বাচার মানে কিছুই থাকলো না,,,,,,,,,,