উৎসর্গঃ অর্থীকে
এ আমার পায়ে চলিবার পথ,
এই পথ নিয়া কতো মনোরথ
পুষিয়াছি এ অন্তরে অহর্নিশ;
জানেনা কেহই- জানে জগদীশ।
এই পথ ছায়ায় ঢাকা শ্রীমান,
চলাচলে মুখরিত বর্ষীয়ান।
এই পথে আসিয়াছি ফিরে ফিরে,
লাগিয়াছে হিমেল বায়ু শরীরে;
এই পথেই তাহার সঙ্গে দেখা,
প্রেম-ভালোবাসা এখানেই শেখা।
তাহার হাসোজ্জল শোভন মুখ,
কামময়ী কালো হরিণীর চোখ;
অদ্যাপি যে আমার পড়িছে মনে,
দাঁড়ায়ে ছিল সে সজল নয়নে।
ছিলনা কেহ শুচিস্মিতার সাথে,
প্রবল বাসনা ছিল আঁখিপাতে।
ভীরু ভীরু নেত্র দুটি কিছু বলে
চাহিয়াছে দুরপানে কৌতূহলে।
কী সে ভাষা, হয়নাই বোধোদয়;
প্রাণে প্রজ্জলিত কতো সংশয়!
ঠোঁট দুটি কাঁপিছে বলিতে কথা;
বলে নাই কিছু- শুধু নিরবতা।


রঙ্গিন পুতুল ছিল তা’র কোলে,
মাথার অলক হাওয়ায় দোলে।
সুদূরে করিল কী নজর বন্দি,
আঁটিয়াছে সে হেন কীসের ফন্দি!
বড় রহস্যময় তাহার ছায়া,
ক্ষণ অনুরাগ বাড়ায়েছে মায়া।
সে মায়ায় মোহিত ধরণীতল,
উদাসিনী বাট, নদী, বায়ু, জল।


সহসা মুখখানি ঘোমড়া করে,
চলিল সে আঁকাবাঁকা পথ ধরে।
আলোছায়া রহিয়াছে তা’রে ঘিরে,
একবার চাহিলনা পিছে ফিরে।
হঠাৎ হারাল চিরতরে দূরে,
সবুজ অরন্যে পথ শূন্য করে।


যবে এই পথে ফিরে ফিরে আসি,
তার মুখছবি চোখে আসে ভাসি।
ভূ-ধুলায় হেরি তার পদচিহ্ন,
অদ্যাপি কিছু হয়নাই নিশ্চিহ্ন।
পুরনো স্মৃতিরে করি রোমন্থন,
সব যেন অমলিন, চিরন্তন।


২ পৌষ ১৪১৭ বঙ্গাব্দ
১৫ ডিসেম্বর ২০১০ খ্রিস্টাব্দ