মুক্তজীবন প্রত্যাশায় মুক্ত মনে বাঁচার আশায়,
দাসত্বের সকল বন্ধন ছিন্ন করতে চায়।
সম্ভ্রম রক্ষার তাগিদে, ন্যায্য অধিকার আদায়ে,
প্রতিবাদে প্রতিরোধ গড়ে বঞ্চনায়।
পাক শাসনের কুচালে, নানান ছলা-কৌশলে ,
সুখ শান্তি ভঙ্গ করে চালায় নির্যাতন।
নিত্য জীবন প্রবাহে আধিপত্য বিস্তারে
বর্বরতার গ্লানিতে বিপর্যস্ত জীবন।
পাক স্বার্থের তাগিদে, ঠকাতে আর ঠেকাতে
শোষনের নীলনক্শা হয় প্রনয়ন।
রাজনৈতিক অঙ্গনে, অনেক উত্থান পতনে ,
তন্ত্র -মন্ত্র নানান ভাবে হয় আবর্তন।
মুক্তিসেনার বিপ্লবে ,রাজনৈতিক হোঁচটে
পাক -কৌশল সমূলে বিনাশ হয়ে যায়।
পরাধীনতার শৃঙ্খলে, পৈশাচিক নিপীড়নে,
জনগণ অধিক সোচ্চার জীবন সত্তায়।
পরিস্থিতির নীরিখে, লোভনীয় আহ্বানে
দূরভীসন্ধি নানা প্রস্তাব হয় উত্থাপন।
স্বদেশপ্রেমের দরদে,স্বাধীনতার দাবীতে
ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যাত পাক আহ্বান ।
গণআন্দোলন রুখিতে, পঁচিশে মার্চ গভীর রাতে
নারকীয় নৃশংস হত্যাযজ্ঞ চালায়।
মৃত্যু শোকে শক্তিতে , বুকফাটা বিক্ষোভে
জনতার আন্দোলন সংগ্রামে গড়ায়।
পাক শাসনের বিরুদ্ধে, ঝাপিয়ে পড়ে একসাথে
মুক্তি পাগল দামাল ছেলে যত বাংলার।
সকল পেশার সকল স্তরের প্রাণের স্পন্দনে
ছাব্বিশ মার্চ ঘোষনা আসে স্বদেশ স্বাধীনতার।
উৎপীড়নের জবাবে, সশস্ত্র সংগ্রামে
দীপ্তশপথে সপে দিল কত তাজা প্রান
মুক্তিযুদ্ধের বিজয়ে, লাল সবুজ পতাকা উড়ে
ষোল ডিসেম্ভর অর্জিত হয় স্বাধীনতার সন্মান।