চৈত্রের শেষে দিন অবসানে , শেষ রাতি যবে গত
সূর্যাদয়ে বৈশাখে বাঙ্গালী  বর্ষবরনে রত।
অনেক দু:খ অনেক গ্লানি, অনেক শোকের ব্যাথা
সুখেতে ভুলে আনন্দে মজে মনেতে জাগে মমতা ।।
জীর্ণ চেতনায়, শীর্ণ বেদনার যবে অন্তিম প্রহর
নবউদ্যমে নবদিগন্তে ছুটিবে আনন্দ ঝড়।
রুগ্ন হৃদয়ে যত ভেদাভেদ, বিবাদ অতীব পুরান                                                                                      
নব প্রত্যয়ে মুছে যাবে সব আছে যত অভিমান।।
বঙ্গজননীর কোলেতে সকলে মিলিয়া করিবে পণ
সুখে দু:খে সদা রবে পাশাপাশি সকলে আপনজন।।
নবজাগরনে নবরূপ সাজে নুতন উদ্দীপন
নব চেতনায় বাঙ্গালী সত্ত্বার মনে জাগে শিহরণ।
গাছের ডালিতে পত্র-পল্লবে সতেজ সবুজে ভরা
নানান ফুলে রঙিন সাজে রাঙায় বসুন্ধরা।।
নব প্রভাতে পাখীর কন্ঠে ভোরের বন্ধনা গীতি
নব অভিষেকে শঙ্খধ্বনিতে আনন্দ-সুখ-প্রীতি।
সুখের জীবন করিতে রচন দু:খের বিসর্জন
অনাগত দিনে হীনতা ছেড়ে পবিত্রতায় আলিঙ্গন ।।
আজি নবর্বষ দিনে, ¯স্রষ্টার পানে করজোর প্রার্থনার
অগ্নিস্নানে সব ভস্ম  হয়ে যাক, যন্ত্রনা জীবনের ।
চরম মুক্তির পরম আশে মুক্তির আলোর প্লাবন
নব বর্ষের পবিত্র পরশে পূণ্যময় হোক জীবন।।