ষড়ঋতুর রূপসী বাংলায়
¯স্নিগ্ধতায় মুগ্ধ হয়েছি,
বাংলা নববর্ষে আমি বাংলার রূপ দেখেছি।
বৈশাখ দুপুরে দাবাদহে আমি ক্লান্ত বিকেলে ঠেকেছি,
কালবৈশাখীর তান্ডব শেষে জৈষ্ঠের ঝড়ে ভিজেছি।
আমি বাংলার রূপ দেখেছি।
খরা রোদ্দুরে অগ্নি দহনে, সজল মেঘরাশি গগনে গগনে,
গর্জনে বর্ষনে বর্ষাকন্যার কান্নার প্লাবন দেখেছি।
আমি বাংলার রূপ দেখেছি।।
ভাদ্র মাসের মেঘের ভেলায়, রোদেলা আকাশে আলোর খেলায়,
আশ্বিনের দ্বারে গিয়েছি।
নদীর ধারে শূভ্র কাঁশবনে, শিউলি তলে উদাস মনে
রাণীর বেশে ঐশ্বর্যের সেই শরতের দেখা পেয়েছি।
আমি বাংলার রূপ দেখেছি।।
কার্তিক আর অগ্রাহয়ন মাসে শিশির ভেজা দূর্বাঘাসে,
হেমন্ত বেলায় নুতন ফসলে নবান্নের আনন্দে মেতেছি।
আমি বাংলার রূপ দেখেছি।।
পৌষ মাসে শীতে কাতর আমি, মাঘেতে রিক্ত হয়েছি,
শুস্ক শীতে প্রকৃতির রূপে  সন্ন্যাস বেশ পেয়েছি।
আমি বাংলার রূপ দেখেছি।।                                                
ফাগুনে-চৈতে এ জগৎ আমি ঋতুরাজ রূপে দেখেছি,
বসন্তদিনে মধুর স্বওে কোকিলের গান শুনেছি।
আমি বাংলার রূপ দেখেছি।।
ঘুরে ঘুরে দেশে নৈসর্গ শোভা  রূপসী বাংলায় এঁকেছি,
বৈচিত্রে ভরা বিচিত্র সকলি  নববর্ষে উপহার দিয়েছি।
আমি বাংলার রূপ দেখেছি।