একটি কিশোর সবুজ গাাঁয়ের রক্তিম তার নাম,
মায়ের আদরে পিতার স্নেহে বেড়ে চলে অবিরাম।
পিতা তাহার মুক্তিসেনা স্বদেশপ্রেমে পাগল,
সংগ্রামী চেতনার জাগরনে গড়ে মুক্তি সেনার দল।
পাক সেনাদের শোষন যখন সহ্য সীমার তুঙ্গে,
আন্দোলনের ঝড় উঠিল পাক শোষিত বঙ্গে।
স্বাধীনতার স্বপ্নে বিভোর বীর বাঙ্গালী জাতি,
অগ্নিঝড়া সংগ্রাম চলে কী বা দিন কী বা রাতি।
মুক্তি পিয়াসী বঙ্গ জনতা দীপ্ত শপথে রত,
ক্ষোভে বিক্ষোভে প্রতিবাদ ঝড়ে কভু নাহি হবে নত।
গাঁয়ের সকল দামাল সাবাল ছুটিল যুদ্ধ শিবির,
রণাঙ্গণের কৌশল নিয়ে রণে অবতীর্ণ মুক্তির।
নগরের পর নগর রেখে ছুটছে গ্রামান্তরে,
লক্ষ্য শুধু পাক নিধনের, স্বাধীনতা অন্তরে।
সবুজ গ্রামে পাক ঘাঁটি হল ইন্ধনে রাজাকার,
আলবদরেরা ঘুরে বেড়ায় সন্ধানে মুক্তি সেনার ।
অত্যাচারে দিশেহারা সবে জীবনযাপনে ভাটা,
বিনীদ্র রজনী কাটায় রক্তিম মাকে নিয়ে বড় একা।
অন্ধকারে আলোর ঝিলিক ভয়ে দেখে জানালাতে,
মুখঢাকা এক মুক্তির দল ডাকে তাকে ইশারাতে।
সবাই মিলে বুদ্ধি আঁটে আক্রমনে পাকঘাঁটিতে,
কেমন করে কোন বা পথে যাবে সেথা গভীর রাতে।
বিপ্লবী রক্তিম সাহস করিল, রাখিল জীবন পণ,
কৌশলে আঘাত আনিল ঘাঁটিতে যবে রাত নির্জন।
ঘরে ফিরে দেখে রক্তেভেজা মা যন্ত্রনায় ছটফট করে,
নিয়তি তাদের নির্মম হল পাকের অত্যাচারে  ।
যুদ্ধের শেষে সবুজগাাঁয়ে ঘরে ফিরে মুক্তির দল,
একজন শুধু ফিরিলনা আর রক্তিমের চোখ ছলছল।
স্বাধীন হল বিজয় হল, যুদ্ধ হল শেষ,
‘শহীদ পিতা’ আর ‘বীরাঙ্গনা মা’ রক্তিমের অবশেষ।
সবুজ গাাঁয়ে রক্তিম সূর্য্য গর্বিত আজীবন,
লক্ষ রক্তিমের জাগ্রত চেতনায় স্বাধীনতা অর্জন।