লোক সমুদ্রের স্রোতে ভাসমান অস্তিত্ব
সুখ-দুখ ক্ষণিক বুদবুদের মত ;
হরহামেশাই নিত্য চলছে আদি-অন্ত ,
কে কাকে মনে রাখে বলো এ বিশ্ব খেলাগৃহে !
ভাঙ্গা-গড়া অস্তিত্বে প্রবাহমান-
তলদেশে তার খতিয়ে দেখার কিছু নেই ,
সঞ্চিত ধন নেই-নেই কারো কোন অবসর ।
এ নাট্যমঞ্চে শুধু এই আছে-নিত্য অভিনয়
কাছাকাছি মুখোমুখি আরও কাছে হয়তো দুটো হাত
এই যা আছে আমাদের দৃষ্টিপথে জীবনের অধ্যায় ।


তবু স্রোতের ও নাকি ক্লান্তি ,
নীরবতায় শ্যাওলা জমা অঙ্গ ;
কখনো জড় চেতনায় স্থবির অনুভূতি
সুখ-দুখের এই যে অপমৃত্যু ,
প্রাণের কাছে প্রাণের আমৃত্যু পরিহাস ।


জীবন চক্রে অবিরাম চলা-চলছে যত্রতত্র
যতসব যন্ত্রমানব,জড় প্রাণের কৃতিম উপহাসে—
পৃথিবীর পরিধী বেড়ে চলা আমাদের পথ;
তবুও বৃত্তের বাইরে কজন খুজে ফেরে
সেখানেও জ্যামিতি - জীবনের পরিমাপ
ত্রিকোণোমিতির চর্তুভাগ ধনাত্মক-ঋণাত্মকে
কোথাও না কোথও ভারসাম্য রেখে যায় ।
কিন্তু আমাদের বিশ্বজোড়া হাহাকারে
বাষ্পীয় বায়ুমণ্ডল,প্রাণ ভরে নিঃশ্বাস নেবার জো নেই ।
দৃষ্টিভঙ্গির জলন্ত অগ্নিশিখা দুঃখের যোনিতে –
আলো আর দেয় কবে, তাই পুনপুন এ দুখের জনম ।
তাই দুঃখ বিলাসী আমি ,আমাদের সুখ ‘আকাশ কুসুম’
এখানে বেশ আছি-স্বপ্নময় জীবনের ইতিবৃত্ত ,
রাজ্যের বাইরে কোন এক রাজত্ব
এই যা আছি যে যেমন,আমাদের থাকা ।।